ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

সেই হেলমেটধারী যুবক আটক

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বুধবার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাফিয়ে ভাঙচুর করেন এক যুবক। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই যুবকের ছবি। অবশেষে সেই যুবককে আটক করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

ডিবি সূত্র থেকে জানা যায়, গাড়িতে উঠে হেলমেট পরা ওই যুবক রাজধানীর একটি ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি। তার নাম এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান।

ঘটনার সময় তার হেলমেট পরিহিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিট হেলমেট পরিহিত ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে ও তাকে আটকের জন্য তদন্ত শুরু করে।

ওই হামলায় অংশ নেওয়া আরও দুই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সোহাগ ভূঁইয়া ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে রবীন। আশরাফুল ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোহাগ শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনার দিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে মিছিল নিয়ে সোহাগ ভূঁইয়া, হোসেন আলী ও আশরাফুল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এসেছিলেন বলে ডিবির ওই সূত্র দাবি করেছে।

এর আগে ওই দিন পুলিশের গাড়িতে দেশলাই দিয়ে যে যুবককে আগুন দিতে দেখা যায়, তাকে শনাক্ত করার দাবি করেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস। শাহজালাল খন্দকার নামের ওই যুবক পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানান মিশু বিশ্বাস। তবে শাহজালাল খন্দকারকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয় পল্টন থানায়। মামলাগুলোতে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ আনা হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

সেই হেলমেটধারী যুবক আটক

আপডেট টাইম ০৪:১৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর ২০১৮

মাতৃভূমির খবর ডেস্ক :   রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বুধবার বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় হেলমেট পরে পুলিশের গাড়ির ওপর উঠে লাফিয়ে ভাঙচুর করেন এক যুবক। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে সেই যুবকের ছবি। অবশেষে সেই যুবককে আটক করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।

ডিবি সূত্র থেকে জানা যায়, গাড়িতে উঠে হেলমেট পরা ওই যুবক রাজধানীর একটি ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সভাপতি। তার নাম এইচ কে হোসেন আলী ওরফে হৃদয় খান।

ঘটনার সময় তার হেলমেট পরিহিত একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে ছবিটি ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরেই আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিট হেলমেট পরিহিত ওই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করতে ও তাকে আটকের জন্য তদন্ত শুরু করে।

ওই হামলায় অংশ নেওয়া আরও দুই যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন সোহাগ ভূঁইয়া ও আশরাফুল ইসলাম ওরফে রবীন। আশরাফুল ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সোহাগ শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনার দিন মির্জা আব্বাসের পক্ষে মিছিল নিয়ে সোহাগ ভূঁইয়া, হোসেন আলী ও আশরাফুল নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে এসেছিলেন বলে ডিবির ওই সূত্র দাবি করেছে।

এর আগে ওই দিন পুলিশের গাড়িতে দেশলাই দিয়ে যে যুবককে আগুন দিতে দেখা যায়, তাকে শনাক্ত করার দাবি করেন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের সহকারী কমিশনার মিশু বিশ্বাস। শাহজালাল খন্দকার নামের ওই যুবক পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে জানান মিশু বিশ্বাস। তবে শাহজালাল খন্দকারকে গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয় পল্টন থানায়। মামলাগুলোতে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ আনা হয়।