ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

সুপার ওভারের লড়াইয়ে খুলনাকে হারাল চিটাগং

স্পোর্টস ডেস্ক :  টানা তিন ম্যাচে হারের পর ভেঙে পড়াটাই স্বাভাবিক একটা দলের জন্য। আজকে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে হারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথটা অনেক ক্ষীণ হয়ে যেত খুলনা টাইটানসের। টানা হারের কোনও কারণই খুঁজে পাচ্ছিল না টাইটানস কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। এমনটাই জানিয়েছিলেন তৃতীয় ম্যাচে হারের পর। এত ভালো একটা দল গড়েও এমন ব্যর্থতা মেনে নেয়া কঠিনই বটে।

গতকাল শনিবারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স ও চিটাগং ভাইকিংস। সুপার ওভারে চিটাগংয়ের কাছে ১ রানে হেরেছে তারা। ফলে ইতিহাস হলো এই সুপার ওভারের ম্যাচ।

মিরপুরের উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে খুলনা। সেই রান তুলতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংস। খুলনার সমান রান তোলে তারাও। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

খুলনার হয়ে মাহমুদুল্লাহ এ ম্যাচে ৩৩ রান করেন। এছাড়া ম্যালান করেন ৪৫ রান। কিন্তু শেষ দিকে ভালো রান তুলতে পারেনি খুলনা। এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের পথেই ছিল চিটাগং। মুশফিক এবং ইয়াসির আলী ভালো ব্যাটিং করেন। দলকে জয়ের পথে রাখেন তারা।

ইয়াসির আলী ৪১ রান করে ফেরেন। এরপর ভুল শট খেলে আউট হন মুশফিক। তিনি খেলেন ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তার আগে ২৩ রান করে আউট হন মোসাদ্দেক। ম্যাচ বেরিয়ে যায় চিটাগংয়ের হাত থেকে।

শেষ ওভারে চিটাগংয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। আরিফুলকে বল করার দায়িত্ব দেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ ওভারে স্পিন না করার সিদ্ধান্ত থেকে আরিফুলকে বলে দেওয়া। কিন্তু তিনি রান আটকে ম্যাচ বের করে নিতে পারেননি। দিয়ে বসেন ১৮ রান। ম্যাচ টাই হয়।

এরপর মাঠেন গড়ায় বিপিএল ইতিহাসের প্রথম সুপার ওভার। সেই সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে চিটাগং তোলে ১১ রান। খুলনার হয়ে বল করেন আলী খানের বদলে বিপিএল খেলতে আসা জুনায়েদ খান। জবাবে খুলনা তুলতে পারে ৯ রান। চিটাগংয়ের হয়ে শেষ ওভারে তিন ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ টাই করা ফ্রাইলিংকই সুপার ওভারে ম্যাচ জেতান চিটাগংকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইটান্স:  ২০ ওভারে ১৫১/৬ (স্টার্লিং ১৮, জুনায়েদ ২০, মালান ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, ব্র্যাথওয়েট ১২, শান্ত ৬, আরিফুল ৭*, মাহিদুল ৪*; ফ্রাইলিঙ্ক ১/৩০, সানজামুল ২/৩৭, নাঈম ১/১৬, মোসাদ্দেক ০/৭, খালেদ ১/২৮, রাহী ১/২৯)

চিটাগাং ভাইকিংস:   ২০ ওভারে ১৫১/৮ (শেহজাদ ১০, ডেলপোর্ট ১৭, ইয়াসির ৪১, মুশফিক ৩৪ , সিকান্দার ৪, মোসাদ্দেক ১২, ফ্রাইলিঙ্ক ২৩, নাঈম ৮, সানজামুল ০*  ; জুনায়েদ ১/২৪, ব্র্যাথওয়েট ২/৩০, শরিফুল ২/৩১, স্টার্লিং ০/৯, তাইজুল ১/২৩, মালান ০/১৪, আরিফুল ০/১৮)

সুপার ওভার

চিটাগাং ভাইকিংস: ১১/১  (ডেলপোর্ট,  ফ্র্যাইলিঙ্ক ৪, মুশফিক ১*  ; জুনায়েদ ১/১১)

খুলনা টাইটান্স:  ১০/১ ( ব্র্যাথওয়েট ১, মালান ৬ , স্টার্লিং ৩ ; ফ্র্যাইলিঙ্ক ০/১০  )

ফল: চিটাগাং ভাইকিংস সুপার ওভারে ১ রানে জয়ী।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

সুপার ওভারের লড়াইয়ে খুলনাকে হারাল চিটাগং

আপডেট টাইম ০৩:৩০:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক :  টানা তিন ম্যাচে হারের পর ভেঙে পড়াটাই স্বাভাবিক একটা দলের জন্য। আজকে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে হারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার পথটা অনেক ক্ষীণ হয়ে যেত খুলনা টাইটানসের। টানা হারের কোনও কারণই খুঁজে পাচ্ছিল না টাইটানস কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। এমনটাই জানিয়েছিলেন তৃতীয় ম্যাচে হারের পর। এত ভালো একটা দল গড়েও এমন ব্যর্থতা মেনে নেয়া কঠিনই বটে।

গতকাল শনিবারের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইটান্স ও চিটাগং ভাইকিংস। সুপার ওভারে চিটাগংয়ের কাছে ১ রানে হেরেছে তারা। ফলে ইতিহাস হলো এই সুপার ওভারের ম্যাচ।

মিরপুরের উইকেটে ১৫১ রান সংগ্রহ করে খুলনা। সেই রান তুলতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংস। খুলনার সমান রান তোলে তারাও। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

খুলনার হয়ে মাহমুদুল্লাহ এ ম্যাচে ৩৩ রান করেন। এছাড়া ম্যালান করেন ৪৫ রান। কিন্তু শেষ দিকে ভালো রান তুলতে পারেনি খুলনা। এরপর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের পথেই ছিল চিটাগং। মুশফিক এবং ইয়াসির আলী ভালো ব্যাটিং করেন। দলকে জয়ের পথে রাখেন তারা।

ইয়াসির আলী ৪১ রান করে ফেরেন। এরপর ভুল শট খেলে আউট হন মুশফিক। তিনি খেলেন ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস। তার আগে ২৩ রান করে আউট হন মোসাদ্দেক। ম্যাচ বেরিয়ে যায় চিটাগংয়ের হাত থেকে।

শেষ ওভারে চিটাগংয়ের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। আরিফুলকে বল করার দায়িত্ব দেন মাহমুদুল্লাহ। শেষ ওভারে স্পিন না করার সিদ্ধান্ত থেকে আরিফুলকে বলে দেওয়া। কিন্তু তিনি রান আটকে ম্যাচ বের করে নিতে পারেননি। দিয়ে বসেন ১৮ রান। ম্যাচ টাই হয়।

এরপর মাঠেন গড়ায় বিপিএল ইতিহাসের প্রথম সুপার ওভার। সেই সুপার ওভারে প্রথমে ব্যাট করে চিটাগং তোলে ১১ রান। খুলনার হয়ে বল করেন আলী খানের বদলে বিপিএল খেলতে আসা জুনায়েদ খান। জবাবে খুলনা তুলতে পারে ৯ রান। চিটাগংয়ের হয়ে শেষ ওভারে তিন ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ টাই করা ফ্রাইলিংকই সুপার ওভারে ম্যাচ জেতান চিটাগংকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

খুলনা টাইটান্স:  ২০ ওভারে ১৫১/৬ (স্টার্লিং ১৮, জুনায়েদ ২০, মালান ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, ব্র্যাথওয়েট ১২, শান্ত ৬, আরিফুল ৭*, মাহিদুল ৪*; ফ্রাইলিঙ্ক ১/৩০, সানজামুল ২/৩৭, নাঈম ১/১৬, মোসাদ্দেক ০/৭, খালেদ ১/২৮, রাহী ১/২৯)

চিটাগাং ভাইকিংস:   ২০ ওভারে ১৫১/৮ (শেহজাদ ১০, ডেলপোর্ট ১৭, ইয়াসির ৪১, মুশফিক ৩৪ , সিকান্দার ৪, মোসাদ্দেক ১২, ফ্রাইলিঙ্ক ২৩, নাঈম ৮, সানজামুল ০*  ; জুনায়েদ ১/২৪, ব্র্যাথওয়েট ২/৩০, শরিফুল ২/৩১, স্টার্লিং ০/৯, তাইজুল ১/২৩, মালান ০/১৪, আরিফুল ০/১৮)

সুপার ওভার

চিটাগাং ভাইকিংস: ১১/১  (ডেলপোর্ট,  ফ্র্যাইলিঙ্ক ৪, মুশফিক ১*  ; জুনায়েদ ১/১১)

খুলনা টাইটান্স:  ১০/১ ( ব্র্যাথওয়েট ১, মালান ৬ , স্টার্লিং ৩ ; ফ্র্যাইলিঙ্ক ০/১০  )

ফল: চিটাগাং ভাইকিংস সুপার ওভারে ১ রানে জয়ী।