স্পোর্টস ডেস্ক : জয় দিয়ে আসর শুরু করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শেষ ওভারে মীমাংসিত ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সকে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেটে। ১৯.৫ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা। ফলে ৪ উইকেটে জয় পায় স্মিথের দল।এদিন আগে ব্যাট করে কুমিল্লাকে ১২৭ রানের টার্গেট দেয় সিলেট সিলেট সিক্সার্স।
এর আগে, শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয়ে পড়ে কুমিল্লা। দলীয় ২১ রানের মাথায় ইমরুল কায়েস আউট হলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দলটি। রানের খাতা খুলার আগেই মোহাম্মদ ইরফানের বলে সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে চলে যান তিনি। এরপর ওপেন করতে আসা এলভিন লুইস ৯ বল খেলে ৫ রান করে আউট হলে তৃতীয় উইকেট হারায় দলটি।
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে শহিদ আফ্রিদি খেলছেন কুমিল্লার হয়ে। রবিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। এই ম্যাচে ব্যাটে ঝড় তুলেন আফ্রিদি। তার ব্যাটিং ণৈপুন্যে ৪ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা।
শেষ ২ বলে জয়ের জন্য কুমিল্লার দরকার ছিল ২ রান। অলক কাপালির বলে চার মেরে এক বল বাকি থাকতেই কুমিল্লাকে জয়ের স্বাদ দেন আফ্রিদি।
এর আগে,টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট ৮ উইকেটে ১২৭ রান করে। মাঝারি মানের লক্ষ্যটা কুমিল্লা টপকে যায় ১৯ ওভার ৫ বলে। ৬ উইকেটে ১৩০ রান তোলে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
সিলেটের হয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন নিকোলাস পুরান। ছয়ে নেমে ২৬ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সিলেটের এই ব্যাটসম্যান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট ৫৬ রানের মধ্য ৫ উইকেট হারায়। লিটন দাস, ডেভিড ওয়ানার, আফিফ, সাব্বিরদের মতো ব্যাটসম্যানরা নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তবে পুরানের ব্যাটিং ণৈপুন্যে স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে!
অলক কাপালি তাকে কিছুটা সঙ্গত দিয়েছে। ২০ বলে ১৯ রান করেন তিনি। পুরানের ২৬ বলের ইনিংসটি সাঁজানো ছিল পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কায়। কুমিল্লার হয়ে দুইটি করে উইকেট পান মেহেদী, শহিদ ও সাইফ উদ্দিন।
১২৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা কুমিল্লার হয়ে লুইস, ইমরুল, বিজয়, শোয়েব মালিক, স্মিথরা ব্যাটে আলো ছড়াতে পারেননি। তামিম ৩৪ বলে ৩৫ রান করেন। দলকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন আফ্রিদি। ২৫ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংসটি তিনি সাঁজান ৫টি চার ও ২টি ছক্কায়।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ১৩০/৬ (১৯.৫) তামিম ৩৫, স্মিথ ১৬, আফ্রিদি , সাইফুদ্দীন ; ইরফান ১৯/১, আল আমিন ২৭/২ লামিচানে ১৬/২।