ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

সিরিজ বোমা: পাঁচ জেএমবি সদস্যের ১২ বছরের কারাদণ্ড

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে বোমা হামলার এক মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিনি বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। রোববার মহানগর দুই নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আল মামুন এই রায় দেন।

আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবদুল্লাহ আল সুহাইল, হাবিবুর রহমান হাবিব (পলাতক), মো. মুসা ওরফে মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে সামাদ ওরফে মিন্টু (পলাতক) মো. আবদুর রহমান মাসুদ, মো. নূরুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ওরফে জুবায়ের।

আসামিদের ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, আনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহাবুদ্দিন।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রথম দু’জন পলাতক থাকলেও অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।

জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত ওভারব্রিজের কাছে রাজউক মার্কেটের সামনে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনের জন্য বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। ওই ঘটনায় খিলক্ষেত থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. কাওসার আলম মামলাটি করেন।

পরে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর এ ৫ আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩/৬ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই বছরই ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত এবং ২০০৬ সালের ১২ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় মোট ১৯ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আতাউর রহমান সানিও এই মামলায় আসামি ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

সিরিজ বোমা: পাঁচ জেএমবি সদস্যের ১২ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট টাইম ০৮:৩৫:০৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে বোমা হামলার এক মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিনি বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যকে ১২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত। রোববার মহানগর দুই নম্বর বিশেষ ট্রাইবুনালের বিচারক মো. আল মামুন এই রায় দেন।

আরো পড়ুন : প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আবদুল্লাহ আল সুহাইল, হাবিবুর রহমান হাবিব (পলাতক), মো. মুসা ওরফে মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে সামাদ ওরফে মিন্টু (পলাতক) মো. আবদুর রহমান মাসুদ, মো. নূরুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ওরফে জুবায়ের।

আসামিদের ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, আনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহাবুদ্দিন।

দণ্ডপ্রাপ্ত প্রথম দু’জন পলাতক থাকলেও অপর আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।

জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত ওভারব্রিজের কাছে রাজউক মার্কেটের সামনে জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনের জন্য বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। ওই ঘটনায় খিলক্ষেত থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. কাওসার আলম মামলাটি করেন।

পরে ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর এ ৫ আসামির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ৩/৬ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। ওই বছরই ২০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত এবং ২০০৬ সালের ১২ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলায় মোট ১৯ জন বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, একটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জেএমবি নেতা আতাউর রহমান সানিও এই মামলায় আসামি ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়।