নাজমুল হোসেন (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি চারদিন ধরে ধীরগতিতে কমতে কমতে টানা নয়দিন পর বিপদসীমার নিচে নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার ( ৭ জুলাই) সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী একেএম রফিকুল ইসলাম জানান,
গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ২৭ সেন্টিমিটার কমে মঙ্গলবার সকাল ৬ টায় বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে এবং একই সময় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ডপয়েন্টে যমুনার পানি ১৯ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ব্রহ্মপুত্র যমুনা নদ-নদী সমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এদিকে যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসলেও নদীপাড়ের মানুষেরা এখনও দুর্ভোগে রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যা কবলিত পাঁচটি উপজেলা সিরাজগঞ্জ সদর,কাজিপুর,বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরসংলগ্ন এলাকার মানুষেরা এখনও শুকনো খাবার,বিশুদ্ধ পানি,জ্বালানি,পয়ঃনিস্কাশন ও গো-খাদ্যের সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। করোনা মহামারি ও বন্যায় কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যে খাদ্য সংকট প্রকট হচ্ছে
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যায় সিরাজগঞ্জে পাঁচ উপজেলার ৩৩টি ইউনিয়নের ২১৬টি গ্রামের এক লাখ ৫৯ হাজার ১৫৩ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩০টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ এবং পাঁচটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২২০টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১০৬০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৮৪ পরিবার ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় রয়েছে। এরই মধ্যে বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১২৫ মেট্রিক টন চাল।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (ডিডি) মো. হাবিবুল হক জানান, জেলার বন্যা কবলিত পাঁচটি উপজেলার ১১ হাজার ১৭ হেক্টর জমির পাট, তিল ও আখ পানিতে ডুবে ক্ষতি হয়েছে।
#