হাফিজুর রহমানঃ পিতৃ পরিচয় ও মরহুম বাবার উত্তরাধিকার হিসেবে সম্পত্তির দাবিতে প্রশাসনসহ স্থানীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত এক যুবক আমির হোসেন মিঠু(৩৭)। তিনি নিজেকে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্দিরগঞ্জ থানার বাতনপাড়া মিজমিজি গ্রামের মরহুম সাহাবুদ্দিন কাজীর দ্বিতীয় স্ত্রীর একমাত্র সন্তান বলে দাবি করেন। মিঠুর দাবি, তার বাবা সাহাবুদ্দিন কাজী ১৯৮০ ইং সালে তার মা আম্বিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন। আমার মাকে বিয়ে করার আগে বাবা প্রথম বিয়ে করেন। সেখানেও তার দু’টি সন্তান ছিলো। আমার মাকে বিয়ে করার পর দু’জন স্ত্রীকে নিয়েই বাবা তার গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। আমার জন্মের কয়েক বছর পর আমার মা রাজধানীর ডেমরার পূর্ব বক্সনগর, রিশিপাড়া ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। আমার মা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একজন সরকারি কর্মচারি। কর্মস্থলের সুবিধার এর আগে আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় বাবার বাড়িতে বসবাস করতাম। কিন্তু ডেমরার ভাড়া বাসা নেয়ার পর থেকে বাবা আমার মায়ের সাথেই ডেমরার বাসায় থাকতেন। কিন্তু সিদ্দিরগঞ্জের নিজ বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর রাতে বার্ধক্রজনিত কারনে মারা যান বাবা। তার সন্তান হিসেবে আমাকে কিংবা আমার মাকে বাবার মৃত্যু সংবাদটিও দেয়নি আমার সৎ মা ও সৎ ভাইবোন। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই সৎ মা মাফিয়া বেগমের শুরু হয় নানা পরিকল্পনা, পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে আমাকে বঞ্চিত করার বিভিন্ন ষঢ়যন্ত্র করতে থাকেন তিনি। মিঠু বলেন, বাবা মারা যাবার পরে আমাকে তার সন্তান হিসেবে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন তোলেন। বিভিন্ন অপপ্রচার করেন কাউন্সিলরের কাছেও। মিঠু বলেন, আমি বাবার ওয়ারিশ হিসেবে পৈত্রিক সম্পত্তির ভোগদখল চাই। অপর দিকে আমার স্কুল সার্টিফিকেট, ইউনিয়ন সনদসহ আমার মায়ের সরকারী চাকুরীর ফরম পর্যন্ত আমার পিতা মৃত সাহাবুদ্দিন কাজীর নাম থাকার পর ও সকল কাগজ পত্রে অজ্ঞাত উল্লেখ করে সিদ্দিরগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ১নং ওয়ার্ড পঞ্চায়েত কমিটি থেকে একটি চিঠি দিয়েছে। তিনি নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে সৎ মায়ের অপকর্মের শিকার সন্তান পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ
- মাতৃভূমির খবর ডেস্ক
- আপডেট টাইম ০৩:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর ২০২০
- ৮২৮ বার পড়া হয়েছে
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ