আনোয়ার হোসাইন
রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নে নানা সমালোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অর্থ বিতরণ কার্যক্রম। যাদের ভাতা প্রয়োজন নেই, তাঁদের তালিকাভুক্ত করা; যাঁদের প্রয়োজন আছে, তাঁদের তালিকার বাইরে রাখা এবং ভাতাভোগীদের অর্থ থেকে স্থানীয় পর্যায়ে দায়িত্বরত ব্যক্তিদের একটা অংশ রেখে দেওয়ার ঘটনা চোখে পড়ার মতো। ৭ নং ওয়ার্ডের আজাত নামের জনৈক ব্যাক্তি সফিয়া দম্পত্তির নিকট ৬০০০ টাকা আমতাজ দম্পতির নিকট ৬৫০০ টাকা সামাদ আলীর স্ত্রীর নিকট ২৮০০ আসমা বেগমের ১২০০ ইউনুস মেকারের স্ত্রীর নিকট ২০০০ এদোমাইের নিকট ২৮০০ টাকা আত্মসাৎ করলেও চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে তা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। ৪ নং ওয়ার্ডের খোকা ঠাকুর আদিবাসী দম্পতির নিকট ৬৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে সেটিও ফেরত দিতে বাধ্য হন। দূর্নীতির খন্ডচিত্র যেগুলো প্রকাশ্য তার চিত্র এটি তবে অন্তরালের খবর যে সুখকর নয় তার বলার অপেক্ষা রাখে না।
৮ নং ওয়ার্ডের একটি চিত্র প্রকাশ করছি আমরা, যেখানে স্বামী থাকতে বিধবা দেখানো হয়েছে গুলজান বেগমকে,মেনেকা রাণী মহন্তের নিকট ৫০০০ টাকা নিয়ে বইয়ের ব্যাবস্থা করে দেওয়া হয়েছে,শুটকি পাহান ও পুনিয়া পাহানের ৪০০০ টাকা কেটে নেওয়া হয়েছে পুরো ওয়র্ডের চিত্র এমনটিই মনে করেন উপকারভোগী পরিবারগুলো।
তাদের সকলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ যেমন রয়েছে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেও অনিহা ঠিক ততটাই রয়েছে তাদের। উপকারভোগীদের মধ্যে মেম্বারের ভাই বোন অন্তত চার জন যারা প্রত্যেকেই স্বচ্ছল। আর্থিক সুবিধা নিতে অন্য ওয়ার্ডের এমনকি অন্য ইউনিয়নের লোকজন লিস্ট এ আছে বলে ধারণা করছেন সাবেক দুই মেম্বার।উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন লিস্টের অনেক নাম তাদের অচেনা।অভিযোগ রয়েছে উপকারভোগী অনেকেই নিকটাত্মীয় ছাড়াও বাকীদের পার্সেন্টেজ ২০০০/৩০০০ টাকা আদায় করেছেন বলে সর্বজনস্বীকৃত।
এটুআই সেবা পরিকল্পনার অধীনে সরকারী সাহায্য পাবার জন্য জিটুপি (গভর্মেন্ট টু পারসন) ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় আটটি উইংয়ের মাধ্যমে নানা কর্মসূচি হাতে নিলেও শতভাগ সচ্ছতার অন্তরায় হয়ে দাড়াচ্ছেন কিছু অসাধু জনপ্রতিনিধি।
তবে আন্তরিকতার অভাব ছিলো না সাবেক শিক্ষক উক্ত ইউনিয়নের সফল চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়ার, যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন নিজেকে দূর্নীতির উর্ধে রাখতে এবং যতটুকু তাঁর নজরে এসেছে তারা সবাই টাকা ফেরত পেয়েছেন। তিনি মনে করেন সঠিক মনিটরিং ভোটার আইডি কার্ডের স্বচ্ছতার মধ্যদিয়ে বিতরণ করলে সরকারের শতভাগ নিরাপত্তা বেষ্টনী যথাযথ স্বার্থক হবে।