জোবাইর বিন জিহাদী,চট্টগ্রামঃ চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া কেরাণীহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় গুটি গুটি বৃষ্টিতে ভয়ংকর রুপ নিয়েছে মহাসড়ক সহ চলাচলের প্রায় রাস্তাঘাট।সাতকানিয়া জুড়ে চলছে মাটি খেকোদের মাটি কাটার মহোৎসব।অভিযান চালিয়েও থামাতে পারছে না প্রশাসন।মাটি খেকোদের অদৃশ্য দাপটে যেন অসহায় সকলেই।
১৯ মার্চ (রবিবার) সকালে গুটি গুটি বৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে উঠে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের কেরাণীহাট অংশ সহ বিভিন্ন স্থানে।ফলে দীর্ঘ যানজট আর দূর্ঘটনার ঘটনা ঘটে বিভিন্ন জায়গায়।যানজট দেখা যায় মহাসড়কের কেরাণীহাট হতে মৌলভীর দোকান পর্যন্ত।একই অবস্থা সাতকানিয়ার কাঞ্চনা ফুলতলা থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ রাস্তায়।মাটি কাটার মহোৎসবে মেতে উঠা মাটি খেকোদের জন্যই এমন অবস্থা সাতকানিয়ার।কোনভাবেই থামানো যাচ্ছে না এসব মাটি খেকোদের।
গত দুইমাস থেকেই চলছে সাতকানিয়া জুড়ে মাটি খেকোদের আধিপত্য। দিনের বেলায় প্রশাসনের ভয়ে মাটি কাটা বন্ধ রাখলেও রাতের গভীর আঁধারে সাতকানিয়ার প্রায় জায়গায় চলে মাটি খেকোদের মাটি কাটার মহোৎসব।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় রাতের আঁধারে অভিযান চালিয়ে প্রশাসনের লাখ টাকার জরিমানাতেও থামছে না তারা।ইটভাটার মাটি কিংবা বাড়িঘর জায়গা জমি ভরাটের জন্য ডেম্পার কিংবা ট্রাক দিয়ে মাটি বহন করায় সাতকানিয়ার প্রায় রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী।
স্থানীয়দের অনেকেই জানায়, মাটি কাটার ফলে রাস্তার এমন অবস্থা হয়ে গেছে ধুলো বালির কারণে হেঁটে যাওয়ারও অবস্থা নাই।
এদিকে এই বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরফাত সিদ্দিকী বলেন, আমরা রাতে কিংবা দিনে যখনই যেখানে তথ্য বা খবর পাচ্ছি আমরা সেখানেই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।অল্প সময়েই ব্যাপক অভিযান চালিয়েছি।মানুষ যদি সচেতন না হয়।যারা এসব করছে তারা যদি জনস্বার্থের কথা চিন্তা না করে।আমরা আমাদের অভিযান চালিয়েও এসব বন্ধ করতে পারবো না।
অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ক্ষমতাধর বা প্রভাবশালী কারো প্রভাবের সম্মুখীন হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের কোন বাঁধার সম্মুখীন হইনি।আমরা যখনই তথ্য পাচ্ছি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছি।যারা মাটির কাঁটার মূল হোতা তাদেরকে তো আলোর মুখে দেখা যায় না।তারা সবসময় আড়ালে থাকে,লেবার শ্রেণির লোকজন থাকে সামনে।
তিনি আরো বলেন,রাস্তার বেহাল দশার যে সমস্যাটা তৈরি হয়ে গেছে আমরা এটাতে কি করতে পারি বা কি করণীয় সেই বিষয়ে ইউএনও মহোদয় ভালো বলতে পারবেন যেহেতু প্রশাসনিক বিষয় জড়িত।
এই বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তোজ জোহরা বলেন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের সমস্যা সমাধানে ইতিমধ্যে কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে রাস্তা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।