ঢাকা ০১:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

সাংবাদিকদের পারিশ্রমিক / সম্মানী ভাতা/ফি রাষ্ট্রের মালিক জনগন থেকে চাই

ওকিলের নিকট পরামর্শ নিতে টাকা দেন,
ডাক্তার থেকে পরামর্শ নিতে টাকা দেন, অন্য সব জায়গায় বিনিময় দিলেও সাংবাদিকদের বেলায় টাকা দেয়া/ নিতে পারবে না কেন?

সাংবাদিকরা আপনার জন্য খাটবে ও পরামর্শ দিবে কার খেয়ে কার পরে, সাংবাদিকদের মন্তব্য না আপনাদের বিবেককে প্রশ্ন করুন।

সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে — রাষ্ট্র বলতে জনগনের জন্য জীবন বাজি রেখে সারাদিন ছুঁটে সংবাদের জন্য।

যদিও বাংলাদেশে কিছু সরকারী গনমাধ্যম আছে কিন্তু এসব গনমাধ্যম আদো কি? জনগনের সকল খবর / সংবাদ প্রচার করতে পারছে কি? সরকারী গনমাধ্যম গুলো হলঃ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাদেশ বেতার।

বাংলাদেশে অন্য সবগুলা গণমাধ্যম বেসরকারী মালিকানাধীন। তাহলে আপনাদের নিকট মতামত ছেড়ে দিলাম। আপনারা যাচাই করুন দৈনিক কি পরিমান সংবাদ কোথায় কাভারেজ হয় কিংবা প্রচার করা হয় বেশি। তাহলে নিঃসন্দেহে বেসরকারী সংবাদ মাধ্যমগুলিই বেশি অবদান রাখছে।

বেসরকারী গনমাধ্যম চলে বিজ্ঞাপনের আয় দিয়ে। এই আয় দিয়ে মালিকরা সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সবাইকে বেতনভাতা দিয়ে থাকে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এই বিজ্ঞাপন অনেকাংশে কমতে থাকে। যার ফলে সংবাদ প্রচারের হাউজগুলো বিলুপ্তি হতে শুরু করে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগায় রাজনীতিবিদ, বড় বড় গ্রুপের মালিক ও কালবাজারীরা। যখন সংবাদ মাধ্যমের মালিকেরা বিজ্ঞাপন কম থাকায় বিলুপ্তি হতে শুরু করল, ঠিক তখনি এরা এসে তাদের নিজস্ব টাকা ব্যয় করে তাদের সংবাদ মাধ্যম চালাতে শুরু করল।

কেউ কি নিজস্ব টাকা খরচ করে অন্যের উপকারটা প্রথমে দেখবে নাকি নিজেদের, এই প্রশ্ন রইল আমার বাংলার সাধারন জনগনের নিকট? অবশ্যই ওনারা ওনাদের স্বার্থকে প্রথমে দেখবে ।

আপনারা সাংবাদিকদের থেকে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ আশা করেন, এটা আমি বুঝি ও অনুভব করি। কিন্তু আপনাদের ভাইবোন সাংবাদিকরা যে উপরের কর্তাদের ইশারায় চলে। তাহলে কিভাবে করবে সংবাদ? মাসের পর মাস দৌড়াদৌড়ি করে কোন রাজনীতিবিদের/গ্রুপ অভ কোম্পানির/কালোবাজারিদের বিপক্ষে নিউজ তৈরী করে যখন হাউজে পাঠায় তখন বন্ধু, দলীয়, সহকর্মীর দোহাই দিয়ে মালিক পক্ষ এখানে হস্তক্ষেপ করে কিংবা নিষেধ করে তাহলে একজন সংবাদকর্মীর কি? আর করার থাকে। যদি কোন সংবাদকর্মী হাউজের কথার বাহিরে যায়, তার চাকরী নট আউট। যেই লাউ সেই কদু না থাকার চেয়ে চাকরীটা বাচিয়ে রাখাই ভাল।

যদি জনগনের নিকট থেকে ‘ফি’ চালু থাকত তাহলে সংবাদকর্মীরা হাউজের /কালবাজারিদের/ সরকারের গোলামী না করে জনগনের দিকে নজর দিয়ে তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকত।

রাষ্টের মালিক জনগন, আর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে। তাই রাষ্ট্রের মালিক জনগনই, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ‘গণমাধ্যমকে’ টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই আপনাদের নিকট আমার উদাত্ত আহবান, আপনরা সংবাদকর্মীদের জন্য ‘ফি’ /সম্মানী দিয়ে রাষ্ট্রের অন্য ৩টি স্তম্ভের সহিত লড়াই করুন। প্রকাশ করুন আপনাদের নিজস্ব মতামত ও আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুন। ( প্রাথমিক)

লেখক, মোঃ ফরহাদ

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

সাংবাদিকদের পারিশ্রমিক / সম্মানী ভাতা/ফি রাষ্ট্রের মালিক জনগন থেকে চাই

আপডেট টাইম ০৫:২১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০১৯

ওকিলের নিকট পরামর্শ নিতে টাকা দেন,
ডাক্তার থেকে পরামর্শ নিতে টাকা দেন, অন্য সব জায়গায় বিনিময় দিলেও সাংবাদিকদের বেলায় টাকা দেয়া/ নিতে পারবে না কেন?

সাংবাদিকরা আপনার জন্য খাটবে ও পরামর্শ দিবে কার খেয়ে কার পরে, সাংবাদিকদের মন্তব্য না আপনাদের বিবেককে প্রশ্ন করুন।

সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে — রাষ্ট্র বলতে জনগনের জন্য জীবন বাজি রেখে সারাদিন ছুঁটে সংবাদের জন্য।

যদিও বাংলাদেশে কিছু সরকারী গনমাধ্যম আছে কিন্তু এসব গনমাধ্যম আদো কি? জনগনের সকল খবর / সংবাদ প্রচার করতে পারছে কি? সরকারী গনমাধ্যম গুলো হলঃ বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) ও বাংলাদেশ বেতার।

বাংলাদেশে অন্য সবগুলা গণমাধ্যম বেসরকারী মালিকানাধীন। তাহলে আপনাদের নিকট মতামত ছেড়ে দিলাম। আপনারা যাচাই করুন দৈনিক কি পরিমান সংবাদ কোথায় কাভারেজ হয় কিংবা প্রচার করা হয় বেশি। তাহলে নিঃসন্দেহে বেসরকারী সংবাদ মাধ্যমগুলিই বেশি অবদান রাখছে।

বেসরকারী গনমাধ্যম চলে বিজ্ঞাপনের আয় দিয়ে। এই আয় দিয়ে মালিকরা সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সবাইকে বেতনভাতা দিয়ে থাকে।

দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে এই বিজ্ঞাপন অনেকাংশে কমতে থাকে। যার ফলে সংবাদ প্রচারের হাউজগুলো বিলুপ্তি হতে শুরু করে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগায় রাজনীতিবিদ, বড় বড় গ্রুপের মালিক ও কালবাজারীরা। যখন সংবাদ মাধ্যমের মালিকেরা বিজ্ঞাপন কম থাকায় বিলুপ্তি হতে শুরু করল, ঠিক তখনি এরা এসে তাদের নিজস্ব টাকা ব্যয় করে তাদের সংবাদ মাধ্যম চালাতে শুরু করল।

কেউ কি নিজস্ব টাকা খরচ করে অন্যের উপকারটা প্রথমে দেখবে নাকি নিজেদের, এই প্রশ্ন রইল আমার বাংলার সাধারন জনগনের নিকট? অবশ্যই ওনারা ওনাদের স্বার্থকে প্রথমে দেখবে ।

আপনারা সাংবাদিকদের থেকে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশ আশা করেন, এটা আমি বুঝি ও অনুভব করি। কিন্তু আপনাদের ভাইবোন সাংবাদিকরা যে উপরের কর্তাদের ইশারায় চলে। তাহলে কিভাবে করবে সংবাদ? মাসের পর মাস দৌড়াদৌড়ি করে কোন রাজনীতিবিদের/গ্রুপ অভ কোম্পানির/কালোবাজারিদের বিপক্ষে নিউজ তৈরী করে যখন হাউজে পাঠায় তখন বন্ধু, দলীয়, সহকর্মীর দোহাই দিয়ে মালিক পক্ষ এখানে হস্তক্ষেপ করে কিংবা নিষেধ করে তাহলে একজন সংবাদকর্মীর কি? আর করার থাকে। যদি কোন সংবাদকর্মী হাউজের কথার বাহিরে যায়, তার চাকরী নট আউট। যেই লাউ সেই কদু না থাকার চেয়ে চাকরীটা বাচিয়ে রাখাই ভাল।

যদি জনগনের নিকট থেকে ‘ফি’ চালু থাকত তাহলে সংবাদকর্মীরা হাউজের /কালবাজারিদের/ সরকারের গোলামী না করে জনগনের দিকে নজর দিয়ে তাদের সুখে দুঃখে পাশে থাকত।

রাষ্টের মালিক জনগন, আর সাংবাদিকরা রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে। তাই রাষ্ট্রের মালিক জনগনই, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ‘গণমাধ্যমকে’ টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই আপনাদের নিকট আমার উদাত্ত আহবান, আপনরা সংবাদকর্মীদের জন্য ‘ফি’ /সম্মানী দিয়ে রাষ্ট্রের অন্য ৩টি স্তম্ভের সহিত লড়াই করুন। প্রকাশ করুন আপনাদের নিজস্ব মতামত ও আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী সরকার কিংবা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুন। ( প্রাথমিক)

লেখক, মোঃ ফরহাদ