ঢাকা ০৮:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিঘলিয়া উপজেলার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় গভীর রাতে কৃষি জমির মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে কারাদণ্ড … নড়াইলে মসজিদ ইমামের স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ভাড়াটিয়া পলাতক চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন: প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা প্রচণ্ড দাবদাহে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের স্বস্তির উদ্যোগ।

সরিষাবাড়ী নির্বাচনী হালচাল: ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামীলীগ, নিরব বিএনপি, সুযোগের অপেক্ষায় জাপা

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষবাড়ী:   জেলার গুরুত্বপূর্ন আসন জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)। স্বাধীনতার পর এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ চারবার, বিএনপি তিনবার, কমিউনিস্ট পার্টি একবার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার এ আসনটি ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এবারও জাতীয় পার্টি আশায় রয়েছে এ আসনটি নিয়ে। বিগত সংসদ নির্বাচনে জোটগত কারণে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এ কারণেই এ আসনের বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার। তবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি কোনোভাবেই ছাড় দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। এ নিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির স্নায়ুযুদ্ধ। আওয়ামী পরিবারে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে স্নায়ুযুদ্ধ থাকলেও ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে নারাজ দলটি। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিনা ভোটে নির্বাচিত হন মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার। মহাজোট ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচনেও তিনি কোনোভাবেই এই আসন হাতছাড়া করতে চান না বলে দলটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী উপজেলার ১টি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়ন এবং জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ও তিতপল্লা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। গুরুতবপূর্ণ এ আসনে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫২ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬জন। সব মিলিয়ে এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ১২৮জন।

তেজগাঁও (মহানগর উত্তর) থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি উপেজলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গিয়ে বাড়ি বাড়ি উঠান বৈঠক করে সরকারের উন্নয়ন ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন এবং সবার কাছে দোয়া চাইছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন।

নবম জাতীয় সংসদ সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ ডা. মুরাদ হাসান। তিনি জামালপুর জেলা আ,লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জেলা আ,লীগের সভাপতি , মুক্তিযুদ্ধের সময় বিচারিক দায়িত্বে নিয়োজিত মরহুম এ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারের ছোট ছেলে। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন ও দলীয় হাইকমান্ডের কাছে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এমপি থাকাকালে রা¯তা-ঘাট, রেললাইন, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,ব্রীজ- কালভাট, এতিমখানা,গোরস্থান নির্মাণ ছাড়াও যমুনা নদীর ভাঙন রোধকল্পে বাঁধ নির্মাণসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন ।

অপরদিকে, দীর্ঘদিন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগকে বুকে ধারণ করে তিলতিল করে লালন করেছিলেন সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ ও সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল মালেক। তার ছেলে প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সরিষাবাড়ী উপজেলার একাধিক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারও তিনি। তিনি বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক গণসংযোগ ও জোর লবিং করেও তিনি শুধু জোটগত নির্বাচনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে মনোনয়ন বঞ্চিত হন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সরিষাবাড়ী পৌরসভাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গণসংযোগসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডেণ্ড নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। মনোনয়ন পেলে জয়ের আশাবাদী তিনি।

দলের আরেক প্রবীণ নেতা মাওলানা নূরুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারকে হারিয়ে জয়ী হন। তিনিও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা এ আসনে নৌকার মাঝি হতে চান। তিনি উঠান বৈঠক করে সরকারের উন্নয়নের চিত্র ভোটারদের কাছে তুলে ধরাসহ, হাটে-বাজারে, পাড়া মহল্লায় উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করার পাশাপাশি ভোটারদের দোয়া কামনা করে নৌকায় ভোট চাইছেন।

অপরদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম দলের একমাত্র প্রার্থী। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা। চাচার রাজনৈতিক সুনাম ধরে রাখতে দৃঢ়প্রত্যয় তার। উপজেলা চেয়ারম্যান পদটি এখনো তিনি সততার বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছেন। কঠোর পরিশ্রমী এ মানুষটি মানুষের কাজের জন্য দিনরাত ছুটে বেড়ান। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় গণসংযোগ করছেন।

তবে পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টি। নির্বাচন সামনে রেখে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ জোয়াদ্দার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় খুব একটা আসেন না। তার পরিবর্তে ছোট ভাই এনামুল হক জোয়াদ্দার এলাকায় ছায়া এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির আরেক উদীয়মান নেতা সরিষাবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনের প্র¯তুতি নিচ্ছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল পর্যায়ে গণসংযোগ করছেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ।

সরিষাবাড়ী নির্বাচনী হালচাল: ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামীলীগ, নিরব বিএনপি, সুযোগের অপেক্ষায় জাপা

আপডেট টাইম ০২:৩০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

রাইসুল ইসলাম খোকন, সরিষবাড়ী:   জেলার গুরুত্বপূর্ন আসন জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী)। স্বাধীনতার পর এ আসন থেকে আওয়ামী লীগ চারবার, বিএনপি তিনবার, কমিউনিস্ট পার্টি একবার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবার এ আসনটি ফিরে পেতে আওয়ামী লীগ মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এবারও জাতীয় পার্টি আশায় রয়েছে এ আসনটি নিয়ে। বিগত সংসদ নির্বাচনে জোটগত কারণে এ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এ কারণেই এ আসনের বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার। তবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনটি কোনোভাবেই ছাড় দিতে নারাজ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। এ নিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির স্নায়ুযুদ্ধ। আওয়ামী পরিবারে নিজেদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে স্নায়ুযুদ্ধ থাকলেও ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে নারাজ দলটি। বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিনা ভোটে নির্বাচিত হন মামুনুর রশিদ জোয়ার্দার। মহাজোট ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচনেও তিনি কোনোভাবেই এই আসন হাতছাড়া করতে চান না বলে দলটির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

জানা যায়, জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী উপজেলার ১টি পৌরসভা, ৮টি ইউনিয়ন এবং জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ও তিতপল্লা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। গুরুতবপূর্ণ এ আসনে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৫২ জন এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৭৬জন। সব মিলিয়ে এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫২ হাজার ১২৮জন।

তেজগাঁও (মহানগর উত্তর) থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি উপেজলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গিয়ে বাড়ি বাড়ি উঠান বৈঠক করে সরকারের উন্নয়ন ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন এবং সবার কাছে দোয়া চাইছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন।

নবম জাতীয় সংসদ সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলহাজ ডা. মুরাদ হাসান। তিনি জামালপুর জেলা আ,লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জেলা আ,লীগের সভাপতি , মুক্তিযুদ্ধের সময় বিচারিক দায়িত্বে নিয়োজিত মরহুম এ্যাডভোকেট মতিয়র রহমান তালুকদারের ছোট ছেলে। এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন পেতে মাঠে নিরলসভাবে কাজ করছেন ও দলীয় হাইকমান্ডের কাছে জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এমপি থাকাকালে রা¯তা-ঘাট, রেললাইন, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,ব্রীজ- কালভাট, এতিমখানা,গোরস্থান নির্মাণ ছাড়াও যমুনা নদীর ভাঙন রোধকল্পে বাঁধ নির্মাণসহ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন ।

অপরদিকে, দীর্ঘদিন সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগকে বুকে ধারণ করে তিলতিল করে লালন করেছিলেন সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ ও সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আব্দুল মালেক। তার ছেলে প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল। তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। সরিষাবাড়ী উপজেলার একাধিক শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারও তিনি। তিনি বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক গণসংযোগ ও জোর লবিং করেও তিনি শুধু জোটগত নির্বাচনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে মনোনয়ন বঞ্চিত হন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সরিষাবাড়ী পৌরসভাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে গণসংযোগসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডেণ্ড নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। মনোনয়ন পেলে জয়ের আশাবাদী তিনি।

দলের আরেক প্রবীণ নেতা মাওলানা নূরুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারকে হারিয়ে জয়ী হন। তিনিও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ ছানোয়ার হোসেন বাদশা এ আসনে নৌকার মাঝি হতে চান। তিনি উঠান বৈঠক করে সরকারের উন্নয়নের চিত্র ভোটারদের কাছে তুলে ধরাসহ, হাটে-বাজারে, পাড়া মহল্লায় উন্নয়নের প্রচারপত্র বিলি করার পাশাপাশি ভোটারদের দোয়া কামনা করে নৌকায় ভোট চাইছেন।

অপরদিকে, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম দলের একমাত্র প্রার্থী। তিনি বিএনপির সাবেক মহাসচিব ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের ভাতিজা। চাচার রাজনৈতিক সুনাম ধরে রাখতে দৃঢ়প্রত্যয় তার। উপজেলা চেয়ারম্যান পদটি এখনো তিনি সততার বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছেন। কঠোর পরিশ্রমী এ মানুষটি মানুষের কাজের জন্য দিনরাত ছুটে বেড়ান। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় গণসংযোগ করছেন।

তবে পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টি। নির্বাচন সামনে রেখে দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ জোয়াদ্দার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় খুব একটা আসেন না। তার পরিবর্তে ছোট ভাই এনামুল হক জোয়াদ্দার এলাকায় ছায়া এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এবারও তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চাইবেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির আরেক উদীয়মান নেতা সরিষাবাড়ী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনের প্র¯তুতি নিচ্ছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল পর্যায়ে গণসংযোগ করছেন।