বিশেষ প্রতিনিধি: মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ প্রধান এক ঝালমুড়িওয়ালাকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঈদের আগের দিন উপজেলার তিতারভিটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ঝালমুড়িওয়ালা এখন হাসপাতালে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। ঘটনাটি থানাকে জানানো হয়েছে।
ঝালমুড়ি বিক্রেতার নাম মানিক মিয়া। তাঁর বাড়ি উপাদী উত্তর ইউনিয়নের উপাদী গ্রামে। তাঁর পিতার নাম তাজুল ইসলাম। মানিক মিয়া অভিযোগ করেন, গত শুক্রবার দুপুরে তিনি উপজেলার তিতারভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে যান। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ প্রধানের কাছে ভিজিএফের কিছু চাল চাইলে তিনি চাল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর কোমরে বেশ কয়েকটি লাথি মারেন। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। চেয়ারম্যানের হুমকি-ধামকিতে বিষয়টি চেপে যান এবং কিছুক্ষণ পর বাড়িতে চলে যান। কোমরের ব্যথা সহ্য করতে না পেরে আজ বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। সেখানে তাঁর কোমরের এক্স-রে করানো হয়। তীব্র ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তিনি। আজ দুপুরে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। সুস্থ হওয়ার পর থানায় মামলা করবেন।
চেয়ারম্যান অনেক লোকের সামনে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে মারধর করেন। লাথি মেরে তাঁর কোমর ও কোমরের হাড় থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না। তিনি একজন সামান্য ঝালমুড়ি বিক্রেতা। প্রতিদিন মুড়ি বিক্রি করে যা আয় করেন তা দিয়েই সংসারের খরচ চালিয়ে আসছেন। এখন কোমর থেঁতলে যাওয়ায় সব কাজকর্ম বন্ধ। পরিবারের সদস্যরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে ওই চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান শহিদ উল্লাহ প্রধান জানান, তিনি ওই ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে ভিজিএফের চাল দিয়ে বিদায় করে দিয়েছেন। কোনো প্রকার মারধর করেননি। মারধরের অভিযোগটি ভিত্তিহীন। এটি তাঁর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এ ঘটনা সাজিয়েছেন।