ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

সফলতার উদাহরন বাবা ও ছেলে

উপজেলা প্রতিনিধি সারিয়াকান্দি (বগুড়া) এক জন তরুন সফল উদ্যোগক্তা হওয়ার পিছনের কথা। মোঃএনামুল হক সবুজ সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুকান্দি গ্রামের একজন তরুন যুবক। সাধারণ একজন যুবক তার বাবা মোঃশামসুর রহমান ছুনছু শখের বসে গরু পালতে গিয়ে হয়ে উঠেন একজন সফল খামারি।

২০১২ সালে ৪টি গরু নিয়ে শুরু করেন খামার। খামারে এখন১৬ টি গরু রয়েছে। উৎপাদিত হচ্ছে দৈনিক ৪০-৪৫ লিটার দুধ। প্রতি লিটার ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করছেন সবুজ। প্রতি কোরবানের ঈদে বিক্রি করেন গরু। এবারের ঈদ বিক্রি করেছেন ৫ টি গরু ।শুরুটা হয়েছিল বাড়ির অল্প কিছু জায়গায়। এখন ৩০ শতক জায়গায় দাঁড়িয়েছে খামার। খামারের দেখাশোনার জন্য রয়েছে ২জন কর্মচারী ও তারাও তিনজন দেখাশোনা করেন। গরুর খামারের সাথে দেশি মুরগি ও ভেড়া পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
পুকুরে করেছেন মাছের চাষ।খামারের গোবর চাষে সার হিসেবে ব্যবহার করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করার।

সবুজ জানান, এ সাফল্যের পেছনে পরিবারের সদস্যদের ছিল বড় ধরণের সহযোগিতা। বিশেষ করে তার মা ও বাবা অনুপ্রেরণায় তাকে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে।

৯ বছর আগে পরিবারে খাঁটি দুধের চাহিদা মেটাতে ৪টি উন্নত জাতের গাভী কিনেছিলেন সবুজের বাবা। সেই থেকেই মূলত খামার গড়ার স্বপ্ন সত্যিই হতে থাকে সবুজের। তিনি বলেন, বাড়ির আঙিনায় গোয়ালে গাভী পালন শুরু করেছিলাম। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত দুধ এলাকার মানুষজন কিনে নেন। এভাবেই বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। পুষ্টিকর, খাঁটি ও মান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদনে লক্ষ্যে গড়া বলেই এ খামারের নাম দিয়েছি ‘রহমান ডেইরী ফার্ম’।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসকদের সার্বিক পরামর্শ পেয়ে আসছেন জানিয়ে সবুজ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ও গো-খাদ্যের দাম বাড়তি থাকায় কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকার সম্প্রতি ১৫ হাজার টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন।’

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব উদ্যোক্তারা দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদার এক বিশাল যোগানদাতা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

সফলতার উদাহরন বাবা ও ছেলে

আপডেট টাইম ১১:১৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অগাস্ট ২০২১

উপজেলা প্রতিনিধি সারিয়াকান্দি (বগুড়া) এক জন তরুন সফল উদ্যোগক্তা হওয়ার পিছনের কথা। মোঃএনামুল হক সবুজ সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুকান্দি গ্রামের একজন তরুন যুবক। সাধারণ একজন যুবক তার বাবা মোঃশামসুর রহমান ছুনছু শখের বসে গরু পালতে গিয়ে হয়ে উঠেন একজন সফল খামারি।

২০১২ সালে ৪টি গরু নিয়ে শুরু করেন খামার। খামারে এখন১৬ টি গরু রয়েছে। উৎপাদিত হচ্ছে দৈনিক ৪০-৪৫ লিটার দুধ। প্রতি লিটার ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করছেন সবুজ। প্রতি কোরবানের ঈদে বিক্রি করেন গরু। এবারের ঈদ বিক্রি করেছেন ৫ টি গরু ।শুরুটা হয়েছিল বাড়ির অল্প কিছু জায়গায়। এখন ৩০ শতক জায়গায় দাঁড়িয়েছে খামার। খামারের দেখাশোনার জন্য রয়েছে ২জন কর্মচারী ও তারাও তিনজন দেখাশোনা করেন। গরুর খামারের সাথে দেশি মুরগি ও ভেড়া পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
পুকুরে করেছেন মাছের চাষ।খামারের গোবর চাষে সার হিসেবে ব্যবহার করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করার।

সবুজ জানান, এ সাফল্যের পেছনে পরিবারের সদস্যদের ছিল বড় ধরণের সহযোগিতা। বিশেষ করে তার মা ও বাবা অনুপ্রেরণায় তাকে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে।

৯ বছর আগে পরিবারে খাঁটি দুধের চাহিদা মেটাতে ৪টি উন্নত জাতের গাভী কিনেছিলেন সবুজের বাবা। সেই থেকেই মূলত খামার গড়ার স্বপ্ন সত্যিই হতে থাকে সবুজের। তিনি বলেন, বাড়ির আঙিনায় গোয়ালে গাভী পালন শুরু করেছিলাম। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত দুধ এলাকার মানুষজন কিনে নেন। এভাবেই বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। পুষ্টিকর, খাঁটি ও মান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদনে লক্ষ্যে গড়া বলেই এ খামারের নাম দিয়েছি ‘রহমান ডেইরী ফার্ম’।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসকদের সার্বিক পরামর্শ পেয়ে আসছেন জানিয়ে সবুজ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ও গো-খাদ্যের দাম বাড়তি থাকায় কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকার সম্প্রতি ১৫ হাজার টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন।’

উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব উদ্যোক্তারা দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদার এক বিশাল যোগানদাতা।