উপজেলা প্রতিনিধি সারিয়াকান্দি (বগুড়া) এক জন তরুন সফল উদ্যোগক্তা হওয়ার পিছনের কথা। মোঃএনামুল হক সবুজ সারিয়াকান্দি উপজেলার হিন্দুকান্দি গ্রামের একজন তরুন যুবক। সাধারণ একজন যুবক তার বাবা মোঃশামসুর রহমান ছুনছু শখের বসে গরু পালতে গিয়ে হয়ে উঠেন একজন সফল খামারি।
২০১২ সালে ৪টি গরু নিয়ে শুরু করেন খামার। খামারে এখন১৬ টি গরু রয়েছে। উৎপাদিত হচ্ছে দৈনিক ৪০-৪৫ লিটার দুধ। প্রতি লিটার ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করছেন সবুজ। প্রতি কোরবানের ঈদে বিক্রি করেন গরু। এবারের ঈদ বিক্রি করেছেন ৫ টি গরু ।শুরুটা হয়েছিল বাড়ির অল্প কিছু জায়গায়। এখন ৩০ শতক জায়গায় দাঁড়িয়েছে খামার। খামারের দেখাশোনার জন্য রয়েছে ২জন কর্মচারী ও তারাও তিনজন দেখাশোনা করেন। গরুর খামারের সাথে দেশি মুরগি ও ভেড়া পালনের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।
পুকুরে করেছেন মাছের চাষ।খামারের গোবর চাষে সার হিসেবে ব্যবহার করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট করার।
সবুজ জানান, এ সাফল্যের পেছনে পরিবারের সদস্যদের ছিল বড় ধরণের সহযোগিতা। বিশেষ করে তার মা ও বাবা অনুপ্রেরণায় তাকে এগিয়ে যেতে সাহস যুগিয়েছে।
৯ বছর আগে পরিবারে খাঁটি দুধের চাহিদা মেটাতে ৪টি উন্নত জাতের গাভী কিনেছিলেন সবুজের বাবা। সেই থেকেই মূলত খামার গড়ার স্বপ্ন সত্যিই হতে থাকে সবুজের। তিনি বলেন, বাড়ির আঙিনায় গোয়ালে গাভী পালন শুরু করেছিলাম। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত দুধ এলাকার মানুষজন কিনে নেন। এভাবেই বাড়তে থাকে খামারের পরিধি। পুষ্টিকর, খাঁটি ও মান সম্পন্ন খাদ্য উৎপাদনে লক্ষ্যে গড়া বলেই এ খামারের নাম দিয়েছি ‘রহমান ডেইরী ফার্ম’।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে কর্মরত চিকিৎসকদের সার্বিক পরামর্শ পেয়ে আসছেন জানিয়ে সবুজ বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতিতে ও গো-খাদ্যের দাম বাড়তি থাকায় কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়েছিল। এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকার সম্প্রতি ১৫ হাজার টাকা প্রণোদনা দিয়েছেন।’
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারী সার্জন কর্মকর্তা বলেন, ‘এসব উদ্যোক্তারা দেশে দুধ ও মাংসের চাহিদার এক বিশাল যোগানদাতা।