ঢাকা ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে এমপিদের হাতাহাতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন সংসদ সদস্যরা (এমপি)। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটল। খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাজাপাকসের সমর্থক এমপিরা সংঘর্ষে জড়ান রনিল বিক্রমসিংহের এমপিদের সঙ্গে।

পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সুরিয়া বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, শ্রীলঙ্কার এখন কোনো প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভা নেই। বুধবার অনাস্থা ভোটে হেরে যান মাহিন্দা রাজাপাকসে। স্পিকার কণ্ঠভোট গ্রহণের সময় রাজাপাকসের সমর্থকরা চিৎকার ও স্লোগান দেন। এরপরই পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

রাজাপাকসে পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে স্পিকারের এই পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব সমর্থন করতে এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান। এরপরই তার সমর্থক এমপিরা প্রতিদ্বন্দ্বী দলের এমপিদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অনেকে স্পিকারের দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।

শ্রীলঙ্কার এই রাজনৈতিক সংকটের শুরু হয় ২৬ অক্টোবর। ওই দিন প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে স্থলাভিষিক্ত করেন। পরদিনই পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করেন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখের গত সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু যখন প্রতীয়মান হয় যে, রাজাপাকসে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে জয়ী হতে পারবেন না তখন সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়।

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। এখানে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের নেতৃত্বে থাকলেও নির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রেসিডেন্টের হাতে। মন্ত্রিসভাও তার অধীনেই পরিচালিত হয়। সামপ্রতিক মাসগুলোতে দিল্লির সঙ্গে বিক্রমাসিংহের ইউএনপির ঘনিষ্ঠতা এবং সিরিসেনাকে হত্যায় ‘ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ’ নিয়ে দলটির সঙ্গে ইউপিএফএর মিত্রতায় ছেদ পড়ে। এরপরই এক সময়ের মিত্র রাজাপাকসের দিকে ঝুঁকে পড়েন সিরিসেনা। খবর বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে এমপিদের হাতাহাতি

আপডেট টাইম ০৪:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছেন সংসদ সদস্যরা (এমপি)। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটল। খালিজ টাইমসের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাজাপাকসের সমর্থক এমপিরা সংঘর্ষে জড়ান রনিল বিক্রমসিংহের এমপিদের সঙ্গে।

পার্লামেন্টের স্পিকার কারু জয়সুরিয়া বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, শ্রীলঙ্কার এখন কোনো প্রধানমন্ত্রী বা মন্ত্রিসভা নেই। বুধবার অনাস্থা ভোটে হেরে যান মাহিন্দা রাজাপাকসে। স্পিকার কণ্ঠভোট গ্রহণের সময় রাজাপাকসের সমর্থকরা চিৎকার ও স্লোগান দেন। এরপরই পার্লামেন্টে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

রাজাপাকসে পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে স্পিকারের এই পদক্ষেপকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তাব সমর্থন করতে এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান। এরপরই তার সমর্থক এমপিরা প্রতিদ্বন্দ্বী দলের এমপিদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অনেকে স্পিকারের দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারেন।

শ্রীলঙ্কার এই রাজনৈতিক সংকটের শুরু হয় ২৬ অক্টোবর। ওই দিন প্রেসিডেন্ট মৈত্রিপালা সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহকে বরখাস্ত করে রাজাপাকসেকে স্থলাভিষিক্ত করেন। পরদিনই পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করেন। আন্তর্জাতিক চাপের মুখের গত সোমবার পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হয়। কিন্তু যখন প্রতীয়মান হয় যে, রাজাপাকসে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে জয়ী হতে পারবেন না তখন সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দেন এবং আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দেয়।

উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় সরকার ব্যবস্থায় প্রেসিডেন্টই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাধর। এখানে প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের নেতৃত্বে থাকলেও নির্বাহী ক্ষমতা থাকে প্রেসিডেন্টের হাতে। মন্ত্রিসভাও তার অধীনেই পরিচালিত হয়। সামপ্রতিক মাসগুলোতে দিল্লির সঙ্গে বিক্রমাসিংহের ইউএনপির ঘনিষ্ঠতা এবং সিরিসেনাকে হত্যায় ‘ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার জড়িত থাকার অভিযোগ’ নিয়ে দলটির সঙ্গে ইউপিএফএর মিত্রতায় ছেদ পড়ে। এরপরই এক সময়ের মিত্র রাজাপাকসের দিকে ঝুঁকে পড়েন সিরিসেনা। খবর বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকার।