হতদরিদ্র রমজান আলীর অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে সাদিকুল ইসলাম শিবলু (১৪)রহস্যজনক মৃত্যুর পুনরায় তদন্তের দাবিতে ১৯ নভেম্বর মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে বক্তাদের বক্তব্যে এবং পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলে জানা যায়। গাজীপুরের শ্রীপুরে তেলীহাটি ইউনিয়ন এর টেংরা গ্রামের হতদরিদ্র রমজান আলী অভাবের তাড়নায় করোনা কালীন সময় তার অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলেকে একই গ্রামের শফির উদ্দিন আহমেদের মেয়ে ধর্নাঢ্য ব্যক্তি রওশন আরার (৫৫)বাড়িতে কাজ করতে দেন। গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিবলু বাড়িতে না পৌঁছালে তার পরিবারের লোকজন রওশন আরার বাড়িতে শিবলুর খোঁজ নিলে রোশন আরা তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে জানান। শিবলুর পরিবারের লোকজন এবং আত্মীয়-স্বজনরা রাত আটটা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেও সেগুলোর কোনো খোঁজ পাননি। রাত আটটার রওশন আরা একটি প্রাইভেটকার যুগে চলে যাওয়ার পর এক প্রতিবেশীর খবর দেন রওশনারা বাড়ির সামনে শিবলুর মৃতদেহ পড়ে আছে। পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসী অভিযোগ , যেখানে শিবলুকে বারবার খোঁজা হয়েছিল সেখানেই রওশন আরার বাড়ির সামনে গলায় কাপড় পেচানো শিবলুর মৃতদেহ পড়ে আছে এবং শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল।
বিষয়টি শ্রীপুর থানা পুলিশকে অবগত করলে এসআই মহসিন লাশটি উদ্ধার করে পোস্টমাডাম এর জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পোসমাডাম রিপোর্টে জানা যায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিবলু মৃত্যুবরণ করেছে। শিবলুর পরিবারের দাবি রওন আরা প্রভাবশালী হওয়ায় টাকার বিনিময়ে পোস্টমর্ডাম রিপোর্টটি নিজের মনগড়া মত করিয়েছে এবং রওশন আরার লোকজন প্রতিনিয়ত শিবলুর পরিবারের লোকদের হুমকি দিচ্ছে। গত ১১ নভেম্বর রওশন আরা সহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন শিবলুর পরিবার।
বিষয়টি পুনরায় তদন্তের দাবিতে গত ৮ নভেম্বর গাজীপুর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন এবং এলাকাবাসীকে নিয়ে ১৯ নভেম্বর মানববন্ধন করেছে।