ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

শ্রীপুরে ভূমি জরিপের নামে চলছে ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব, অসহায় ভুক্তভোগী ভূমি মালিক

সজীব খান (শ্রীপুর প্রতিনিধি)
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একটি মৌজায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে চলছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে ( বি ডি এস ) এর জরিপ কাজ। ভূমি জরিপের নামে চলছে ভুক্তভোগী জমির মালিকদের হয়রানি। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। টাকা না হলে কাগজের গড়মিল দেখিয়ে ভূমি জরিপে মাঠ পর্যায়ের সার্ভেয়ারা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব অর্থ। সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও ভুক্তভোগী জমির মালিককে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের ঘুষ। অনেকটাই বাধ্য করে জমির মালিককের কাগজপত্রে গড়মিল দেখিয়ে এসব অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলছেন জমির মালিকারা। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় মাঠ পর্যায়ে জমি মাপজোখ শেষে কাগজপত্রের চাহিদা চাওয়ার পর শুরু হয় অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল। সুকৌশলে ভূমির মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় অর্থ। অপরদিকে ভূমি জরিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষ বলছে কাজের সচ্ছতার জন্য প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।

সরজমিন ঘুরে খোঁজ খবর নিয়ে ভুক্তভোগী জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, উপজেলার ৭৯টি মৌজার মধ্যে মাত্র একটি ৪৩নম্বর শ্রীপুর মৌজার প্রাথমিক কাজ শুরু হয় গত জুন মাসে। এরই মধ্যে জমির শ্রেনী অবস্থান ,দখলসহ মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ পর্যায়। পূর্বের আরএস ৬টি ম্যাপের স্হলে বর্তমানে বিডিএস ৯০টি ম্যাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিকদের কাজে সম্পৃক্ত করতে এবং সু-শৃঙ্খল ভাবে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভুমি সেবা ডিজিটাল বদলে যাচ্ছে দিনকাল। এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শ্রীপুর সেটেলমেন্ট অফিসের আয়োজনে ৪৩নম্বর শ্রীপুর মৌজার জমির মালিকদেরকে নিয়ে চলমান ডিজিটাল ভুমি বিষয়ক সেবা নামক গনসংযোগ সভার আয়োজন করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে জমির মালিকানা ও ডিজিটাল জরিপের নানা সুবিধা, নিয়ম ও আইনি ব্যাখ্যাসহ বিভিন্ন বিধি-বিধান উপস্থাপন করেন ঢাকা বিভাগের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার উপ-সচিব মো. আশরাফ হোসেন। প্রকৃত জমির মালিককে অহেতুক হয়রানী না করারও নির্দেশনা দেয়া হয় ওই গনসংযোগ অনুষ্ঠানে। ডিজিটাল জরিপ কাজে একজন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার,ছয়জন উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, পনেরোজন সার্ভেয়ার এবং প্রতি সার্ভেয়ারের অধীনে তিনজন মাঠকর্মী রয়েছেন।

শ্রীপুর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী জমির মালিক আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, আমার জমি মাপজোখ করার পর ভুমি জরিপের অফিসে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলে সার্ভেয়ার মফিজুল ইসলাম। এরপর জমির সকল কাগজপত্র দেওয়ার পর আমার জমির কাগজ সঠিক নেই বলে জানান তিনি। এরপর আমাকে বাহিরে নিয়ে জমির কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার জন্য আমার কাছে তিনলাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আমি হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করে ৩০হাজার টাকা দেয়। এছাড়াও একই ওয়ার্ডের সার্ভেয়ার মনির হোসেন ভুক্তভোগী জমির মালিক লাল মিয়ার কাগজপত্রের সমস্যা রয়েছে বলে দালালের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা দাবি করে। এরপর ভুক্তভোগী জমির মালিক তার সকল কাগজপত্র সঠিক রয়েছে জানিয়ে অফিস থেকে চলে জান।

১নম্বর ওয়ার্ডের জমির মালিক মোতাহার হোসেন বলেন, সার্ভেয়ার তরিকুল ইসলাম আমার জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সমস্যা দেখিয়ে আমার কাছে ৫০হাজার টাকা দাবি করে, আমি তাকে ২০হাজার টাকা দেয়। একই ওয়ার্ডের রিপন মিয়ার কাছ থেকে জমির কাগজপত্রে সমস্যা দেখিয়ে সার্ভেয়ার তরিকুল ইসলাম হাতিয়ে নিয়েছে ১৫হাজার টাকা। একই ওয়ার্ডের শাহাদাত হোসেন বলেন, কাগজপত্রের কোন সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য আমার কাছ থেকে সার্ভেয়ার তরিকুল ইসলাম আমার কাছে ৪০হাজার টাকা চেয়েছে। আমি গরিব মানুষ কি করবো বুঝতে পারছি না।

এছাড়াও একাধিক ভুক্তভোগী জমির মালিক অভিযোগ জানান,,মাঠ পর্যায়ে যারা জমির ধরন এবং দখল স্ক্যাচম্যাপ করেছেন তাতে যে অসামনজস্য দেখা দিয়েছে তা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই করেছে। আমরা দীর্ঘদিন আরএস মুলে জমি ভোগদখল করে আসছি। নতুন জরিপে জমির সীমানায় মারাত্বক গড়মিল দেখিয়ে টাকা নেয়ার ধান্ধায় নেমেছে জরিপের লোকজন। আমরা যারা জমির মালিক তাদের জমির মালিকানা সংক্রান্ত প্রায় সকল প্রকার কাগজ রয়েছে। বর্তমান রেজিস্ট্রি আইন অনুযায়ী আমরা মুলত জমির বিক্রির ক্ষেত্রে জমির নামজারী করে থাকি,তা না হলে নামজারী বিষয়টি জমির মালিকগন তেমন একটা গুরুত্ব দেইনি। সুতরাং তাদের সৃষ্ট স্ক্যাচম্যাপ সমস্যা ও নামজারীর না থাকায় নানা ভয়ভীতি আর হয়রানীর মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নাই। ওদের ইচ্ছা মাফিক চলতে হচ্ছে আমাদের বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান।

অভিযুক্ত সার্ভেয়ার তারিকুল হাসানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি। তার অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সার্ভেয়ার মফিজুর রহমানের সঙ্গে তার অস্থায়ী কার্যালয়ে গেলে তিনি জানান, টাকা পয়সা নেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আপনার সঙ্গে আরও কথা আছে পাশের রুমে চলেন।

ভূমি জরিপের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবিষয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে আমরা শুনেছি। নিদিষ্ট কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। কেউ শতভাগ সচ্ছলতার সঙ্গে মধ্যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমি অফিসে আসেন, আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎতে বিস্তারিত বলবো।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রেহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে আমাকে অনেকেই জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আমি রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এটা সম্পুর্ন আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট, তার সরাসরি আমি এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে দেয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি বলতে পারবো না। আপনি তাদের উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেন।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

শ্রীপুরে ভূমি জরিপের নামে চলছে ঘুষ বাণিজ্যের মহোৎসব, অসহায় ভুক্তভোগী ভূমি মালিক

আপডেট টাইম ০৮:০২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

সজীব খান (শ্রীপুর প্রতিনিধি)
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার একটি মৌজায় পাইলট প্রকল্প হিসেবে চলছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে ( বি ডি এস ) এর জরিপ কাজ। ভূমি জরিপের নামে চলছে ভুক্তভোগী জমির মালিকদের হয়রানি। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। টাকা না হলে কাগজের গড়মিল দেখিয়ে ভূমি জরিপে মাঠ পর্যায়ের সার্ভেয়ারা হাতিয়ে নিচ্ছে এসব অর্থ। সকল কাগজপত্র সঠিক থাকলেও ভুক্তভোগী জমির মালিককে দিতে হচ্ছে মোটা অংকের ঘুষ। অনেকটাই বাধ্য করে জমির মালিককের কাগজপত্রে গড়মিল দেখিয়ে এসব অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলছেন জমির মালিকারা। স্থানীয় বাসিন্দা ও ভুক্তভোগী জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় মাঠ পর্যায়ে জমি মাপজোখ শেষে কাগজপত্রের চাহিদা চাওয়ার পর শুরু হয় অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল। সুকৌশলে ভূমির মালিকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় অর্থ। অপরদিকে ভূমি জরিপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষ বলছে কাজের সচ্ছতার জন্য প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।

সরজমিন ঘুরে খোঁজ খবর নিয়ে ভুক্তভোগী জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানাযায়, উপজেলার ৭৯টি মৌজার মধ্যে মাত্র একটি ৪৩নম্বর শ্রীপুর মৌজার প্রাথমিক কাজ শুরু হয় গত জুন মাসে। এরই মধ্যে জমির শ্রেনী অবস্থান ,দখলসহ মাঠ পর্যায়ের কাজ শেষ পর্যায়। পূর্বের আরএস ৬টি ম্যাপের স্হলে বর্তমানে বিডিএস ৯০টি ম্যাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। জমির প্রকৃত মালিকদের কাজে সম্পৃক্ত করতে এবং সু-শৃঙ্খল ভাবে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভুমি সেবা ডিজিটাল বদলে যাচ্ছে দিনকাল। এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শ্রীপুর সেটেলমেন্ট অফিসের আয়োজনে ৪৩নম্বর শ্রীপুর মৌজার জমির মালিকদেরকে নিয়ে চলমান ডিজিটাল ভুমি বিষয়ক সেবা নামক গনসংযোগ সভার আয়োজন করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে জমির মালিকানা ও ডিজিটাল জরিপের নানা সুবিধা, নিয়ম ও আইনি ব্যাখ্যাসহ বিভিন্ন বিধি-বিধান উপস্থাপন করেন ঢাকা বিভাগের জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার উপ-সচিব মো. আশরাফ হোসেন। প্রকৃত জমির মালিককে অহেতুক হয়রানী না করারও নির্দেশনা দেয়া হয় ওই গনসংযোগ অনুষ্ঠানে। ডিজিটাল জরিপ কাজে একজন সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার,ছয়জন উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, পনেরোজন সার্ভেয়ার এবং প্রতি সার্ভেয়ারের অধীনে তিনজন মাঠকর্মী রয়েছেন।

শ্রীপুর পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী জমির মালিক আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করে বলেন, আমার জমি মাপজোখ করার পর ভুমি জরিপের অফিসে কাগজপত্র নিয়ে যেতে বলে সার্ভেয়ার মফিজুল ইসলাম। এরপর জমির সকল কাগজপত্র দেওয়ার পর আমার জমির কাগজ সঠিক নেই বলে জানান তিনি। এরপর আমাকে বাহিরে নিয়ে জমির কাগজপত্র ঠিক করে দেয়ার জন্য আমার কাছে তিনলাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আমি হাতে পায়ে ধরে অনুরোধ করে ৩০হাজার টাকা দেয়। এছাড়াও একই ওয়ার্ডের সার্ভেয়ার মনির হোসেন ভুক্তভোগী জমির মালিক লাল মিয়ার কাগজপত্রের সমস্যা রয়েছে বলে দালালের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা দাবি করে। এরপর ভুক্তভোগী জমির মালিক তার সকল কাগজপত্র সঠিক রয়েছে জানিয়ে অফিস থেকে চলে জান।

১নম্বর ওয়ার্ডের জমির মালিক মোতাহার হোসেন বলেন, সার্ভেয়ার তরিকুল ইসলাম আমার জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সমস্যা দেখিয়ে আমার কাছে ৫০হাজার টাকা দাবি করে, আমি তাকে ২০হাজার টাকা দেয়। একই ওয়ার্ডের রিপন মিয়ার কাছ থেকে জমির কাগজপত্রে সমস্যা দেখিয়ে সার্ভেয়ার তরিকুল ইসলাম হাতিয়ে নিয়েছে ১৫হাজার টাকা। একই ওয়ার্ডের শাহাদাত হোসেন বলেন, কাগজপত্রের কোন সমস্যা যাতে না হয় সেজন্য আমার কাছ থেকে সার্ভেয়ার তরিকুল ইসলাম আমার কাছে ৪০হাজার টাকা চেয়েছে। আমি গরিব মানুষ কি করবো বুঝতে পারছি না।

এছাড়াও একাধিক ভুক্তভোগী জমির মালিক অভিযোগ জানান,,মাঠ পর্যায়ে যারা জমির ধরন এবং দখল স্ক্যাচম্যাপ করেছেন তাতে যে অসামনজস্য দেখা দিয়েছে তা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই করেছে। আমরা দীর্ঘদিন আরএস মুলে জমি ভোগদখল করে আসছি। নতুন জরিপে জমির সীমানায় মারাত্বক গড়মিল দেখিয়ে টাকা নেয়ার ধান্ধায় নেমেছে জরিপের লোকজন। আমরা যারা জমির মালিক তাদের জমির মালিকানা সংক্রান্ত প্রায় সকল প্রকার কাগজ রয়েছে। বর্তমান রেজিস্ট্রি আইন অনুযায়ী আমরা মুলত জমির বিক্রির ক্ষেত্রে জমির নামজারী করে থাকি,তা না হলে নামজারী বিষয়টি জমির মালিকগন তেমন একটা গুরুত্ব দেইনি। সুতরাং তাদের সৃষ্ট স্ক্যাচম্যাপ সমস্যা ও নামজারীর না থাকায় নানা ভয়ভীতি আর হয়রানীর মাধ্যমে ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এ যেন দেখার কেউ নাই। ওদের ইচ্ছা মাফিক চলতে হচ্ছে আমাদের বলে একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান।

অভিযুক্ত সার্ভেয়ার তারিকুল হাসানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা রিসিভ করেননি। তার অস্থায়ী কার্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। সার্ভেয়ার মফিজুর রহমানের সঙ্গে তার অস্থায়ী কার্যালয়ে গেলে তিনি জানান, টাকা পয়সা নেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। আপনার সঙ্গে আরও কথা আছে পাশের রুমে চলেন।

ভূমি জরিপের সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা সুধীর চন্দ্র সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এবিষয়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে আমরা শুনেছি। নিদিষ্ট কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। কেউ শতভাগ সচ্ছলতার সঙ্গে মধ্যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমি অফিসে আসেন, আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎতে বিস্তারিত বলবো।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রেহেনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে আমাকে অনেকেই জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আমি রীতিমতো উদ্বিগ্ন। এটা সম্পুর্ন আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট, তার সরাসরি আমি এবিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারি না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে দেয়া হবে।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি বলতে পারবো না। আপনি তাদের উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেন।