স্টাফ রির্পোটার: টানা বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন : আদালতের কার্যক্রম পরিদর্শনে বিচারপতি শওকত
নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় রূপগঞ্জ উপজেলায় কাঞ্চণ সেতুর পূর্বপাড়ে দাউদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্যা শিমুলিয়া এলাকায় অভিযান শুরু করা হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত অভিযানে এসএসবি, এনএসটিবি, বিএবি নামের ৩টি ইটভাটার বর্ধিত অংশ, একটি মুরগীর খামারের বর্ধিতাংশ, ৫টি ড্রেজার পাইপ, ৫টি দেয়াল, ২টি বাঁশের জেটি, ৫টি টিনের ঘর সহ ২৩টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমান আদালত। একই সঙ্গে অবৈধভাবে নদীর তীর দখল করে ৪টি ইটভাটার সামনে স্তুপ করে রাখা রাখা বালু, কয়লা ও মাটি ৪ লাখ ২৪ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।
শুরুতে নদীর তীর দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ মুরগীর খামারের সামনের অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয় এবং নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত তিনটি ড্রেজার পাইপ লাইন গুড়িয়ে দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। পরে ইটভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালিত হয়।
নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শীতলক্ষার এই অংশে নতুনভাবে সীমানা নির্ধারণের কাজ চলছে। নতুন সীমানায় কোন অবৈধ স্থাপনা থাকলে তা উচ্ছেদ করে দখলমুক্ত করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ন-পরিচালক শেখ মাসিুদ কামাল জানান, নদী দখলকারীরা যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদেরকে ছাড় দেয়া হবেনা। নদী অবৈধ দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযান উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এর আগে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রূপগঞ্জ উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদীর উভয় তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছে নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।