ঢাকা ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

শিক্ষার গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে যিনি উজ্জ্বল উদাহরণ

মুবিন বিন সোলাইমান, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি:
মার্মা সমাজে বিবাহ একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। সমাজে স্বীকৃত বিবাহের পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘চুং-মাং-লে’ বা ‘গংউ নাইট’ অনুষ্ঠান। পাত্রপক্ষ একটি থকিং (থামী), রূপা বা স্বর্ণের একটি আংটি দিয়ে পাত্রীকে আশীর্বাদ করেন। সামাজিক বিবাহের দ্বিতীয় পর্ব পাত্রপক্ষের উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পদুয়া ইউনিয়ন পেকুয়া পাহাড়ি মার্মা পল্লির সব চেয়ে উচ্চ শিক্ষিত বর সাইমাং মার্মার সাথে বান্দরবন উদালবনিয়ার কনে আপ্রূ মার্মার সাথে সামাজিক রীতিনিয়ম মেনে বিবাহউত্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২৩ইং তারিখ পটিয়া কেলিশহর সীমান্তবর্তী পদুয়া পেকুয়া মার্মা পল্লি দর্গম এলাকাটি অপরুপ সাজে সেজেছে সাইমাং মার্মার বাড়িতে, পরিবারটির আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপর্শীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, অনুষ্ঠানে অন্যনার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রুপালি রাঙ্গুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক এনায়তুর রহিম, দৈনিক আমার সময় পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার মুবিন বিন সোলাইমান, দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি, সানি বড়ুয়া। দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আল মামুন সহ আরো অনেকে শুভাকাঙ্ক্ষী।

উল্লেখ্য, পদুয়া ইউনিয়নে মার্মার পল্লির উদীয়নমান শিক্ষিত তরুণ সাইমাং মার্মাই এই এলাকার একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। ২০০৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা কেন্দ্র দূরবর্তী হওয়ায় রাত দুইটায় ঘর থেকে বের হতো। তখন ছিলনা বিদুৎ ব্যবস্থা, ছিলনা সোলার সিষ্টেমও,হারিকেনের আলোতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হতো। কেরোসিন না থাকলে দিনের আলোতেই পড়ালেখা শেষ করতে হতো। ঐ এলাকাতে সাইমাং মার্মা একাই স্রোতের প্রতিকূলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষে সর্বশেষ চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ২০১২ সালে পোস্ট গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করে।

কর্মজীবনে সাইমাং মার্মা প্রথম আবুল খায়ের গ্রুপে চাকুরি শুরু করে, বর্তমানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে শিক্ষা প্রকল্পে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।

সাইমাং মার্মা বলেন, “এই এলাকাতে তরুণদের মধ্যে উদ্বুদ্ধ করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গত এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

শিক্ষার গুরুত্বের প্রেক্ষাপটে যিনি উজ্জ্বল উদাহরণ

আপডেট টাইম ০৬:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মুবিন বিন সোলাইমান, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি:
মার্মা সমাজে বিবাহ একটি সামাজিক অনুষ্ঠান। সমাজে স্বীকৃত বিবাহের পূর্বশর্ত হচ্ছে ‘চুং-মাং-লে’ বা ‘গংউ নাইট’ অনুষ্ঠান। পাত্রপক্ষ একটি থকিং (থামী), রূপা বা স্বর্ণের একটি আংটি দিয়ে পাত্রীকে আশীর্বাদ করেন। সামাজিক বিবাহের দ্বিতীয় পর্ব পাত্রপক্ষের উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পদুয়া ইউনিয়ন পেকুয়া পাহাড়ি মার্মা পল্লির সব চেয়ে উচ্চ শিক্ষিত বর সাইমাং মার্মার সাথে বান্দরবন উদালবনিয়ার কনে আপ্রূ মার্মার সাথে সামাজিক রীতিনিয়ম মেনে বিবাহউত্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ২০২৩ইং তারিখ পটিয়া কেলিশহর সীমান্তবর্তী পদুয়া পেকুয়া মার্মা পল্লি দর্গম এলাকাটি অপরুপ সাজে সেজেছে সাইমাং মার্মার বাড়িতে, পরিবারটির আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপর্শীদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, অনুষ্ঠানে অন্যনার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রুপালি রাঙ্গুনিয়া পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক এনায়তুর রহিম, দৈনিক আমার সময় পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার মুবিন বিন সোলাইমান, দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকার রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি, সানি বড়ুয়া। দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি আল মামুন সহ আরো অনেকে শুভাকাঙ্ক্ষী।

উল্লেখ্য, পদুয়া ইউনিয়নে মার্মার পল্লির উদীয়নমান শিক্ষিত তরুণ সাইমাং মার্মাই এই এলাকার একমাত্র উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি। ২০০৪ সালের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষা কেন্দ্র দূরবর্তী হওয়ায় রাত দুইটায় ঘর থেকে বের হতো। তখন ছিলনা বিদুৎ ব্যবস্থা, ছিলনা সোলার সিষ্টেমও,হারিকেনের আলোতে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হতো। কেরোসিন না থাকলে দিনের আলোতেই পড়ালেখা শেষ করতে হতো। ঐ এলাকাতে সাইমাং মার্মা একাই স্রোতের প্রতিকূলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শেষে সর্বশেষ চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ২০১২ সালে পোস্ট গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করে।

কর্মজীবনে সাইমাং মার্মা প্রথম আবুল খায়ের গ্রুপে চাকুরি শুরু করে, বর্তমানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনে শিক্ষা প্রকল্পে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।

সাইমাং মার্মা বলেন, “এই এলাকাতে তরুণদের মধ্যে উদ্বুদ্ধ করে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে গত এক যুগ ধরে কাজ করে যাচ্ছি।