ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

শিক্ষক সংকটে চন্দ্রদ্বীপে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা।

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ। খুব সহজে এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এই ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে উপজেলার শিক্ষার হার একেবারে নগণ্য। তবে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মোট ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫০ জন আর শিক্ষকের পদ রয়েছে ৩৩টি। কিন্তু বাস্তবে ছয়টি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক। এর মধ্যে চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন তিনজন, দক্ষিণ চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন, চররায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন, চরকচুয়া-মিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন, চরব্যারেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন ও আসম ফিরোজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে কখনো একই কক্ষে একাধিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে পাঠদান করাতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘দারিদ্র্যতার কারণে এখানকার শিশুরা সহজে স্কুলমুখী হয় না। তার ওপর শিক্ষক স্বল্পতার কারণে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় এখানে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন শিক্ষক বদলি এবং সংযুক্তি বন্ধ করে রাখায় এ সমস্যার সমাধানও হচ্ছে না।’
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আফরোজা বেগম বলেন, ‘এমনিতেই আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তার উপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা না হলে আরও পিছিয়ে যাব। তিনি বলেন, দুর্গম জনপদ হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করেন না। আমি চন্দ্রদ্বীপের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূ্ন্যপদ পূরণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা বলেন, ‘প্রতিটি বিদ্যালয়ে মাত্র ২-৩ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, ‘বদলি ও সংযুক্তি বন্ধ থাকায় সেখানে শিক্ষক পোস্টিং দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বদলির আদেশ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

শিক্ষক সংকটে চন্দ্রদ্বীপে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা।

আপডেট টাইম ১১:২৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ইউনিয়ন চন্দ্রদ্বীপ। খুব সহজে এ ইউনিয়নের বাসিন্দারা উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে না। বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে সদর থেকে বিচ্ছিন্ন এই ইউনিয়নের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। বর্তমানে উপজেলার শিক্ষার হার একেবারে নগণ্য। তবে বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসীন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের মোট ৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৫০ জন আর শিক্ষকের পদ রয়েছে ৩৩টি। কিন্তু বাস্তবে ছয়টি বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩ জন শিক্ষক। এর মধ্যে চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক আছেন তিনজন, দক্ষিণ চরওয়াডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন, চররায়সাহেব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনজন, চরকচুয়া-মিয়াজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন, চরব্যারেট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন ও আসম ফিরোজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুজন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষক সংকটের কারণে কখনো একই কক্ষে একাধিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একসঙ্গে পাঠদান করাতে হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘দারিদ্র্যতার কারণে এখানকার শিশুরা সহজে স্কুলমুখী হয় না। তার ওপর শিক্ষক স্বল্পতার কারণে প্রতিটি বিদ্যালয়ে পাঠদান করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় এখানে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন শিক্ষক বদলি এবং সংযুক্তি বন্ধ করে রাখায় এ সমস্যার সমাধানও হচ্ছে না।’
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার আফরোজা বেগম বলেন, ‘এমনিতেই আমরা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী। তার উপর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা না হলে আরও পিছিয়ে যাব। তিনি বলেন, দুর্গম জনপদ হওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তারা নিয়মিত স্কুল পরিদর্শন করেন না। আমি চন্দ্রদ্বীপের প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকের শূ্ন্যপদ পূরণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ মোল্লা বলেন, ‘প্রতিটি বিদ্যালয়ে মাত্র ২-৩ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। শিক্ষক সংকট দূর করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ ঘোষ বলেন, ‘বদলি ও সংযুক্তি বন্ধ থাকায় সেখানে শিক্ষক পোস্টিং দেওয়া যাচ্ছে না। তবে বদলির আদেশ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ ###