ঢাকা ০৫:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

শায়েস্তাগঞ্জে ফুল কপি চাষে কৃষকের মুখে হাসি

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি ফুলকপি চাষে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয় বাজার গুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। সবজি বিক্রেতারা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ফুলকপি কিনছেন ২০-২৫ টাকায়। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাগুনী পাড়া গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়া জানান, তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে ৬ হাজার ফুলকপি চারা রোপণ করেন আবহাওয়া ভালো হওয়ায় প্রতিটি গাছেই ভালো ফলন এসেছে। একেকটি ফুলকপি এক থেকে দেড় কেজি হয়ে থাকে তিনি আরও জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন তিনি। আশা করছেন অবশিষ্ট ফুলকপি বিক্রি করে আরও এক লাখ টাকা পাবেন।

এছাড়াও তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, সীমসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি আবাদ করেছে। এসব ফসলের পরিচর্যায় নিয়মিত ৪-৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন তার ক্ষেতে। এতে করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি কৃষি শ্রমিক শোয়েব মিয়া জানান, তিনি দৈনিক ৫ শ’ টাকা মজুরিতে রুবেল মিয়ার সবজি ক্ষেতে কাজ করেন। বীজতলা প্রস্তুতি থেকে শুরু করে চারা রোপন, সেচ দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার, বাজারে বিক্রি করা পর্যন্ত তিনি কাজ করেন এতে করে ভালোভাবেই তিনি তার পরিবারের খরচ বহন করতে পারছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর উপজেলায় ৭৭৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি আবাদ হয়েছে,যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৫০ হেক্টর বেশী।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক ইঞ্চি অনাবাদি পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি
সবজি চাষ বাড়ানোর জন্য সরকারিভাবে বীজ সহায়তা ছাড়াও প্রনোদনা কার্যক্রম চলমান আছে। কৃষি বিভাগ সর্বদা কৃষকের পাশে আছে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

শায়েস্তাগঞ্জে ফুল কপি চাষে কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম ১০:০৯:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষের পাশাপাশি ফুলকপি চাষে অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। স্থানীয় বাজার গুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। সবজি বিক্রেতারা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ফুলকপি কিনছেন ২০-২৫ টাকায়। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাগুনী পাড়া গ্রামের কৃষক রুবেল মিয়া জানান, তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে ৬ হাজার ফুলকপি চারা রোপণ করেন আবহাওয়া ভালো হওয়ায় প্রতিটি গাছেই ভালো ফলন এসেছে। একেকটি ফুলকপি এক থেকে দেড় কেজি হয়ে থাকে তিনি আরও জানান, ৫০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন তিনি। আশা করছেন অবশিষ্ট ফুলকপি বিক্রি করে আরও এক লাখ টাকা পাবেন।

এছাড়াও তিনি প্রায় ৩ একর জমিতে টমেটো, বেগুন, সীমসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি আবাদ করেছে। এসব ফসলের পরিচর্যায় নিয়মিত ৪-৫ জন শ্রমিক কাজ করছেন তার ক্ষেতে। এতে করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তিনি কৃষি শ্রমিক শোয়েব মিয়া জানান, তিনি দৈনিক ৫ শ’ টাকা মজুরিতে রুবেল মিয়ার সবজি ক্ষেতে কাজ করেন। বীজতলা প্রস্তুতি থেকে শুরু করে চারা রোপন, সেচ দেওয়া, আগাছা পরিষ্কার, বাজারে বিক্রি করা পর্যন্ত তিনি কাজ করেন এতে করে ভালোভাবেই তিনি তার পরিবারের খরচ বহন করতে পারছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর উপজেলায় ৭৭৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি আবাদ হয়েছে,যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ১৫০ হেক্টর বেশী।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুকান্ত ধর বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক ইঞ্চি অনাবাদি পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি
সবজি চাষ বাড়ানোর জন্য সরকারিভাবে বীজ সহায়তা ছাড়াও প্রনোদনা কার্যক্রম চলমান আছে। কৃষি বিভাগ সর্বদা কৃষকের পাশে আছে।