ঢাকা ০১:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

শাস্ত্রী–কোহলিকে ভয় পান ভারতীয় নির্বাচকেরা!

সৈয়দ কিরমানীই তুললেন ব্যাপারটা। ভারতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচনের দায়িত্ব যাদের, সেই নির্বাচক কমিটি যে কোচ রবি শাস্ত্রী আর অধিনায়ক বিরাট কোহলির চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতা রাখেন না, দুম করে এই অপ্রিয় কথাটা বলেই ফেললেন ভারতের সাবেক এই উইকেটরক্ষক।
কিরমানী কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, এই মুহূর্তে ভারতের নির্বাচক কমিটিতে যে নামগুলো আছে, ক্রিকেটীয় মাপকাঠিতে এরা কেউই শাস্ত্রী ও কোহলির কাছাকাছিও আসার ক্ষমতা রাখেন না। সে কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন পুরোপুরিই শাস্ত্রী আর কোহলির পছন্দ-অপছন্দের ছন্দ মিলিয়েই তৈরি হচ্ছে।
দিল্লির এক অনুষ্ঠানে কিরমানী বলেছেন,‘কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে ভারতীয় ক্রিকেট দলে রবি শাস্ত্রীর ভূমিকাটা কি, তাহলে আমি রাখঢাক না রেখেই বলব, সে একাধারে দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক। কোহলি আর অন্যান্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে টিমটা শাস্ত্রীই ঠিক করে দেয়।’
তাহলে এম এসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি? কিরমানী তাদের ঠুঁটো জগন্নাথই মনে করেন, ‘বর্তমানে যারা নির্বাচক কমিটিতে আছেন, তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি এঁদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম বিশেষ করে শাস্ত্রী এমনকি কোহলির সামনেও। নির্বাচকেরা শাস্ত্রী-কোহলির সঙ্গে কথা বলেই টিম ঠিক করেন। এটাতে তারা নিরাপদও বোধ করেন।’
এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নির্বাচক কমিটিতে আরও আছেন দেবাং গান্ধী, গগন খোড়া, যতীন পরাঞ্জপে ও শরণদীপ সিং। এঁদের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হলেও কারওরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বলার মতো কিছু নয়। প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৬টি টেস্ট ও ১৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। দেবাং গান্ধী ১৯৯৯ সালে ৪টা টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলে আর সুযোগ পাননি। যতীন পরাঞ্জপে ১৯৯৮ সালে খেলেছেন চারটি ওয়ানডে। গগন খোড়াও টেস্ট খেলেননি, খেলেছেন ২টি ওয়ানডে, সেই আটানব্বই সালের দিকেই। শরণদীপ সিং ২০০০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ৩টি টেস্ট ও ৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।
নির্বাচক কমিটির সকলের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এক জায়গায় করলেও তা শাস্ত্রী-কোহলির ধারে-কাছেও নেই। কিরমানীর মতে, এই পার্থক্যটা দল নির্বাচনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে মুরলি বিজয় আর করুন নায়ারদের মতো ক্রিকেটারদের বাদ পড়ার কোনো কার্যকরী ব্যাখ্যা দিতে পারেননি নির্বাচক কমিটি।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

শাস্ত্রী–কোহলিকে ভয় পান ভারতীয় নির্বাচকেরা!

আপডেট টাইম ০৮:০১:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর ২০১৮

সৈয়দ কিরমানীই তুললেন ব্যাপারটা। ভারতীয় ক্রিকেট দল নির্বাচনের দায়িত্ব যাদের, সেই নির্বাচক কমিটি যে কোচ রবি শাস্ত্রী আর অধিনায়ক বিরাট কোহলির চোখে চোখ রেখে কথা বলার ক্ষমতা রাখেন না, দুম করে এই অপ্রিয় কথাটা বলেই ফেললেন ভারতের সাবেক এই উইকেটরক্ষক।
কিরমানী কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেছেন, এই মুহূর্তে ভারতের নির্বাচক কমিটিতে যে নামগুলো আছে, ক্রিকেটীয় মাপকাঠিতে এরা কেউই শাস্ত্রী ও কোহলির কাছাকাছিও আসার ক্ষমতা রাখেন না। সে কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন পুরোপুরিই শাস্ত্রী আর কোহলির পছন্দ-অপছন্দের ছন্দ মিলিয়েই তৈরি হচ্ছে।
দিল্লির এক অনুষ্ঠানে কিরমানী বলেছেন,‘কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে ভারতীয় ক্রিকেট দলে রবি শাস্ত্রীর ভূমিকাটা কি, তাহলে আমি রাখঢাক না রেখেই বলব, সে একাধারে দলের কোচ ও প্রধান নির্বাচক। কোহলি আর অন্যান্য সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে টিমটা শাস্ত্রীই ঠিক করে দেয়।’
তাহলে এম এসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি? কিরমানী তাদের ঠুঁটো জগন্নাথই মনে করেন, ‘বর্তমানে যারা নির্বাচক কমিটিতে আছেন, তাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি এঁদের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত কম বিশেষ করে শাস্ত্রী এমনকি কোহলির সামনেও। নির্বাচকেরা শাস্ত্রী-কোহলির সঙ্গে কথা বলেই টিম ঠিক করেন। এটাতে তারা নিরাপদও বোধ করেন।’
এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় নির্বাচক কমিটিতে আরও আছেন দেবাং গান্ধী, গগন খোড়া, যতীন পরাঞ্জপে ও শরণদীপ সিং। এঁদের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ হলেও কারওরই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বলার মতো কিছু নয়। প্রধান নির্বাচক এমএসকে প্রসাদ ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ভারতের হয়ে ৬টি টেস্ট ও ১৭টি ওয়ানডে খেলেছেন। দেবাং গান্ধী ১৯৯৯ সালে ৪টা টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলে আর সুযোগ পাননি। যতীন পরাঞ্জপে ১৯৯৮ সালে খেলেছেন চারটি ওয়ানডে। গগন খোড়াও টেস্ট খেলেননি, খেলেছেন ২টি ওয়ানডে, সেই আটানব্বই সালের দিকেই। শরণদীপ সিং ২০০০ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ৩টি টেস্ট ও ৫টি ওয়ানডে খেলেছেন।
নির্বাচক কমিটির সকলের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এক জায়গায় করলেও তা শাস্ত্রী-কোহলির ধারে-কাছেও নেই। কিরমানীর মতে, এই পার্থক্যটা দল নির্বাচনে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি ভারতীয় দল নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে মুরলি বিজয় আর করুন নায়ারদের মতো ক্রিকেটারদের বাদ পড়ার কোনো কার্যকরী ব্যাখ্যা দিতে পারেননি নির্বাচক কমিটি।