ঢাকা ০৫:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল অনুকরণীয়:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা :  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার শুধু গাজীপুর নয় ,সারাদেশের কৃতি সন্তান ছিলেন।তিনি শুধু শ্রমজীবী মানুষের নেতা নয় , ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি জাতির জন্য জীবন দান করেছেন । স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে ।তাকে শুধু শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেই হবে না, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করতে হবে । তার জ্ঞান, শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে ,জীবনে কাজে লাগাতে হবে । তার রক্ত যেন বৃথা না যায় এজন্য তার আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন, ঢাকায় শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এর ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একথা বলেন । এই আলোচনা ও স্মরণ সভা আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তখনকার ক্ষমতাসীন সরকার এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ছাড়াই দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে চালিয়ে দেন। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তখন সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের চেষ্টা করলেও তা করতে দেয়া হয়নি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের বর্ণাঢ্য জীবনী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেন । তিনি কিভাবে দেরাদুনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দেশের জন্য যুদ্ধ করেন, স্বাধীনতার পর শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন, সব কিছু সবিস্তারে ববর্ণনা করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের ইচ্ছায় প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, সর্বশেষে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, এডভোকেট আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এমপি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কূর আহমেদ , সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার ।মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ হারুন-অর-রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আতাউর রহমান । বক্তাগণ একবাক্যে বলেন, তার মতো সজ্জন ও জনদরদী মানুষ বিরল। তারা শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডের রায় দ্রুত কার্যকরী করার আহবান জানান। পরিশেষে উক্ত অনুষ্ঠানে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির জন্য দোয়া করা হয়।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ছিল অনুকরণীয়:মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

আপডেট টাইম ০৪:৫৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০১৯

সিনিয়র রিপোর্টার (মাসুদ হাসান মোল্লা রিদম),ঢাকা :  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি বলেছেন, শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার শুধু গাজীপুর নয় ,সারাদেশের কৃতি সন্তান ছিলেন।তিনি শুধু শ্রমজীবী মানুষের নেতা নয় , ছিলেন গণমানুষের নেতা। তিনি জাতির জন্য জীবন দান করেছেন । স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে ।তাকে শুধু শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করলেই হবে না, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অনুসরণ করতে হবে । তার জ্ঞান, শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে ,জীবনে কাজে লাগাতে হবে । তার রক্ত যেন বৃথা না যায় এজন্য তার আদর্শের বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তন, ঢাকায় শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার এর ১৫তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একথা বলেন । এই আলোচনা ও স্মরণ সভা আয়োজন করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, তখনকার ক্ষমতাসীন সরকার এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডের পর তদন্ত ছাড়াই দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে চালিয়ে দেন। এমনকি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তখন সংসদে নিন্দা প্রস্তাব উত্থাপনের চেষ্টা করলেও তা করতে দেয়া হয়নি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের সুযোগ্য সন্তান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টারের বর্ণাঢ্য জীবনী ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরেন । তিনি কিভাবে দেরাদুনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর দেশের জন্য যুদ্ধ করেন, স্বাধীনতার পর শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন, সব কিছু সবিস্তারে ববর্ণনা করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের ইচ্ছায় প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পরে উপজেলা চেয়ারম্যান, সর্বশেষে জাতীয় সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। আজীবন তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, এডভোকেট আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল বাতেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শামসুন্নাহার ভুঁইয়া এমপি ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কূর আহমেদ , সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টার ।মূখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ হারুন-অর-রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আতাউর রহমান । বক্তাগণ একবাক্যে বলেন, তার মতো সজ্জন ও জনদরদী মানুষ বিরল। তারা শহিদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ডের রায় দ্রুত কার্যকরী করার আহবান জানান। পরিশেষে উক্ত অনুষ্ঠানে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপির জন্য দোয়া করা হয়।