শরীয়তপুরে হত্যা মামলার বাদীর মাকেও হত্যা করা হয়েছে।
নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার সেনের চর ইউনিয়নের সাকিমালী মাদবর কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে নিহত বৃদ্ধা মহিলার নাম হনুফা বিবি (৬০)। তার ছেলে তার নাতি রিয়াজ হত্যা মামলার বাদী ছিলেন।
সরজমিন গেলে এলাকাবাসী জানায়, ২০১৯ সালের জুনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। তখন নিহত হনুফা বিবির ছেলের ঘরের নাতি রিয়াজ আহম্মেদ (১৪)কে গুলি করে হত্যা করা হয়। যে মামলার বাদী ছিলেন নিহত রিয়াজের বাবা ও নিহত হনুফা বিবির ছেলে লিটন মাদবর।
এ ঘটনায় রিয়াজ হত্যা মামলার আসামিদের পক্ষ নিয়ে এলাকার প্রভাবশালী রাজ্জাক মাদবর ও আবুল হাওলাদার বারবার মিমাংসা করিয়ে দেবার কথা বলেন রিয়াজ হত্যা মামলার বাদী লিটন মাদবরকে। কিন্তু আবুল হাওলাদার ও রাজ্জাক মাদবরের দেয়া মিমাংসার প্রস্তাবে কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না লিটন মাদবর।
একপর্যায়ে শুরু হয় হুমকি ধমকি। তাতেও দমে যাননি লিটন মাদবর। আপোষে না আসায় শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৪টার সময় দলবেঁধে লিটন মাদবরের বাড়িতে হামলা দেয় রাজ্জাক মাদবর ও আবুল হাওলাদারের লোকজন। এসময় তাদের হামলায় গুরুতর আহত হন হনুফা বিবি ও তার ছেলে লিটন মাদবর, তার দুই নাতি এবং ছেলের বউ। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন নিহত হনুফা বিবি সহ পরিবারের সবাই।
নিহত হনুফা বিবির দেবরের ছেলে মাতৃভূমির খবরকে বলেন, তাদের পুরো পরিবারকেই হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। এ ঘটনায় তার চাচাতো ভাইয়ের গলায় ছুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক হনুফা বিবি সহ তাদের পরিবারের সবাইকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের ভর্তি রাখেন।
হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও বাঁচানো যায়নি হনুফা বিবিকে। এ ঘটনায় নিহত হনুফা বিবির ছেলে লিটন মাদবর বাদি হয়ে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ করেছেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনার বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমানকে মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।