শরীয়তপুরে সম্পত্তির লোভে আপন মা’কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলেদের বিরুদ্ধে।
নিজেস্ব প্রতিনিধি: গত ২৬ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড় গোপালপুর ইউনিয়নের পাচু মাদবর কান্দি গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে নিহত বৃদ্ধার নাম ফুলজান বেগম (৯২)। তার ৬ছেলে ও ৪মেয়ে রয়েছে। মৃত্যুর আগে নিহত ফুলজান বেগমের স্বামী মৃত গহুর শিকদার তার নামে ১৬কাঠা জমি লিখে যান। এই জমি নিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিলো। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও মিমাংসা হয়নি। সর্বশেষ গত ২৬ নভেম্বর ফুলজান বেগমের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পরপরই ফুলজান বেগমের দুই ছেলে সেলিম শিকদার (৪৭) ও হাবিবুর শিকদার (৪০) বাড়িতে থাকা গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি সহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।
এদিকে আত্মগোপনের পরপরই সেলিম শিকদারের শশুর বাড়ি থেকে গরু নিয়ে যায় স্থানীয় প্রভাবশালী ফোরকান মাদবরের ভাতিজা। যা পরবর্তীতে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজু মাদবরের নির্দেশনায় গরু ফিরিয়ে দেন। তবে ঠিক কি কারণে গরু নেয়া হয়েছে এবং কেনই বা ফিরত দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে কিছুই বলেননি আজু মাদবর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে ঘটনার পর নিহত ফুলজান বেগমের ভাতিজা বাবুল খালাসী বাদি হয়ে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ করেন।
নিহত ফুলজান বেগমের ছোট ছেলে আলী হোসেন শিকদার মাতৃভূমির খবরকে বলেন, তার মা আত্মহত্যা করেছে নাকি হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখছে সে বিষয়ে তিনি জানেননা। তিনি ঢাকায় থাকেন এবং মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে এসেছেন। তবে মৃত্যুর পর তার মায়ের শরীরে আঘাতের চিন্হ পাওয়ার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেস্টা করছে কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। ঘটনার পর অভিযুক্তরা বাড়ি ছাড়লেও তাদের পুনরায় বাড়িতে এনে স্থান করে দিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। পুনরায় গ্রাম্য শালিশ বৈঠক বসিয়ে বিচার করার নামে হত্যাকান্ড ঢাকার চেষ্টা করে চলছে একটি প্রভাবশালী মহল। এমন ঘটনার পর এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।
এই বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমানকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।