নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার নাওডোবা ইউনিয়ন এর মান্নান ফকির কান্দি গ্রামে এমন ন্যাক্কারজন ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা জাহানারা বেগম (৪২) বাদি হয়ে আদালতে একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণ চেষ্টায় অভিযুক্ত ব্যাক্তি ভুক্তভোগীর আপন বাবা।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আদালতে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীর মা জাহানারা বেগম বাদি হয়ে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম টিপু সুলতান লিটন (৫০) তিনি ওই এলাকার মৃত মান্নান ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত টিপু সুলতান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত টিপু সুলতান মাদকাসক্ত। তিনি প্রায়শই ভুক্তভোগী ( ওনার নিজের মেয়ে)কে অনৈতিক কাজের জন্য জড়িয়ে ধরতেন। এসব ঘটনা ভুক্তভোগী তার মা’কে বললে তার মা তার ভাইকে বলেন। তবে ঘটনা সম্পর্কে তারা তারা কেউ তেমনভাবে কর্ণপাত না করায় গুরুত্বহীন হয়ে যায়।
সবশেষ গত ২৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে জাহানারা বেগম বাজার করতে নাওডোবা বাজারে যান। এসময় ঘর ফাঁকা পেয়ে মেয়ে সুমাইয়া মেরিনা (১৭)কে অভিযুক্ত টিপু সুলতান (তার বাবা) জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। তার শরীরের জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেললে ধর্ষণ থেকে বাঁচার জন্য ভুক্তভোগী চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। এসময় তাদের প্রতিবেশী কয়েকজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় টিপু সুলতান।
ঘটনার পর ভুক্তভোগী মেয়ে তার মা’কে ঘটনা খুলে বললে ভুক্তভোগীর মা জাহানারা বেগম বিষয়টি তার স্বামীর ভাইদের ও শাশুড়ীকে বলেন। তারা বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে দিবেন বলে আস্বস্ত করলেও পরবর্তীতে উল্টো তাদেরই মেরে ফেলার হুমকি দেন।
পরবর্তীতে কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ঘটনায় অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর বাবা টিপু সুলতান ও মিমাংসা করিয়ে দিবে বলা টিপু সুলতানের ভাইদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।