ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ “২৬শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ” –মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর এলাকা হতে ৫৩ কেজি গাঁজাসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০; মাদক বহনে ব্যবহৃত পিকআপ জব্দ। “মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন” ইন্দুরকানীতে দিনব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি বাগান ও বস্তায় আদা চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ চট্টগ্রামে সড়ক অবরোধ করে চুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন … লালমনিরহাটে বৃষ্টির জন‍্য বিশেষ নামাজ আদায়

শরীয়তপুরে ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক, অভিযোগ মেম্বার প্রার্থীর উপর।

নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক নুর আলম। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খানের লোকজন। আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীয়তপুর সদর (পালং) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিক নুর আলম বলেন, শরীয়তপুর চলমান ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের কাজে দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। সকাল আনুমানিক ১১টার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় পিজাইটিং কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ ইমারত হোসেনের সাথে কথা বলে কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান (ফুটবল মার্কা) আমাকে ডেকে বলে আপনি কিসের সাংবাদিক।

তাকে উত্তেজিত দেখে আমি কেন্দ্র ইনচার্জ এসআই কাদিরকে বিষয়টি জানালে এসআই কাদির আমাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। পিছন থেকে আব্দুল আজিজ খান তার সমর্থদের উদ্দেশ্য করে জোর গলায় বলেন, শালায় কিসের সাংবাদিক, ওরে পিটাইয়া মেরে ফেল। এরপর তার সমর্থকরা বেপরোয়া ভাবে আমাকে কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে আমি রাস্তার পাশে পুকুরে ঝাপ দেই। এসময় আমার সাথে থাকা ডিএসএলআর ক্যামেরা, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ কার্ড ও মানিব্যাগ (যার মধ্যে ৬,৩০০টাকা) নিয়ে যায়। তবে ঠিক কেনো তাকে মেরেছে আব্দুল আজিজ খানের লোকজন তা জানেনা বলেও জানান তিনি। হামলাকারীরা সংখ্যায় ৫০-৬০হবে বলে তার ধারণা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে কথা বলতে পালং মডেল থানায় গেলে ওসি আক্তার হোসেনকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী ডিউটিতে আছেন বলে জানান ডিউটি অফিসার।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।

শরীয়তপুরে ইউপি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে গিয়ে হামলার শিকার সাংবাদিক, অভিযোগ মেম্বার প্রার্থীর উপর।

আপডেট টাইম ০৯:৩৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২২

নুর আলম, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন সাংবাদিক নুর আলম। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খানের লোকজন। আহত অবস্থায় শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে শরীয়তপুর সদর (পালং) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিক নুর আলম বলেন, শরীয়তপুর চলমান ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষকের কাজে দৈনিক মাতৃভূমির খবর পত্রিকার প্রতিনিধি হিসেবে আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম। সকাল আনুমানিক ১১টার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউনিয়নের শ্রীপাশা (৭নং কেন্দ্র) এলাকায় পিজাইটিং কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ ইমারত হোসেনের সাথে কথা বলে কেন্দ্র থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন মেম্বার প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান (ফুটবল মার্কা) আমাকে ডেকে বলে আপনি কিসের সাংবাদিক।

তাকে উত্তেজিত দেখে আমি কেন্দ্র ইনচার্জ এসআই কাদিরকে বিষয়টি জানালে এসআই কাদির আমাকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেয়। পিছন থেকে আব্দুল আজিজ খান তার সমর্থদের উদ্দেশ্য করে জোর গলায় বলেন, শালায় কিসের সাংবাদিক, ওরে পিটাইয়া মেরে ফেল। এরপর তার সমর্থকরা বেপরোয়া ভাবে আমাকে কিল ঘুসি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে আমি রাস্তার পাশে পুকুরে ঝাপ দেই। এসময় আমার সাথে থাকা ডিএসএলআর ক্যামেরা, নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ কার্ড ও মানিব্যাগ (যার মধ্যে ৬,৩০০টাকা) নিয়ে যায়। তবে ঠিক কেনো তাকে মেরেছে আব্দুল আজিজ খানের লোকজন তা জানেনা বলেও জানান তিনি। হামলাকারীরা সংখ্যায় ৫০-৬০হবে বলে তার ধারণা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল আজিজ খানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে কথা বলতে পালং মডেল থানায় গেলে ওসি আক্তার হোসেনকে পাওয়া যায়নি। নির্বাচনী ডিউটিতে আছেন বলে জানান ডিউটি অফিসার।