নুর আলম (শরীয়তপুর প্রতিনিধি) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার বালারবাজারে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ১৮টি দোকান। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার (২৬ জুলাই) রাত আড়াইটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া।
বাজার মালিক সমিতি ও ব্যাবসায়ীদের দেয়া তথ্য মতে ওই বাজারের দুদু মিয়া বেপারী, জহিরুল ইসলাম, নোয়াব আলী, খাজা মোল্লা ভ্যারাইটিজ স্টোর, নুরে আলম ফ্যাশন, আমানুল্লাহ ফার্মেসি, গোপাল স্বর্ণের দোকান, আদু মোল্লা ইলেক্ট্রনিক্স এর দোকান সহ আরও ১১টি দোকান আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়। এতে প্রায় ৫০লক্ষাধিক টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয় বলেও জানান তারা।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৬ জুলাই (সোমবার) রাত ২টার দিকে হঠাৎ বাজারে আগুন দেখতে পায় তারা। পরে স্থানীয় কয়েকজন দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। প্রথমে ডামুড্যা ফায়ার সার্ভিস এসে কাজ শুরু করে। পরে শরীয়তপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও একটি ইউনিট এসে যোগ দেয়। দুই ইউনিটের দেড় ঘণ্টা প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সরজমিন গেলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বলেন, লকডাউনের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকানগুলো খোলা ছিল। তাদের দোকানে অনেক মালামাল ছিল। রাতে কিভাবে আগুন লাগলো তা বলতে পারব না। আমরা সর্বশান্ত হয়ে গেলাম। এসময় অনেক ব্যাবসায়ীকে কান্না করতেও দেখা যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী বলেন, রাত ২টার দিকে বাজারে আগুন লাগে। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব হয়। আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সকল দোকানদারকে তিন হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা করেছি।
জেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সেলিম মিয়া বলেন, রাতে আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসি। ডামুড্যা ও শরীয়তপুর সদর দুই ইউনিট মিলে অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আমরা আসাতে দোকানদারদের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।