ঢাকা ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

শতভাগ বিদ্যুতায়ীত ও প্রথম শ্রেণীর সৈয়দপুর পৌরসভায় একটি মহল্লা ১৯ বছর থেকে বিদ্যুৎহীন ॥ রাস্তা যান চলাচলের অযোগ্য

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পৌর এলাকার একটি মহল্লার ৫০ টি পরিবার ১৯ বছর থেকে অন্ধকারে। সে সাথে মহল্লাটিতে যাতায়াতের রাস্তাটিও যানবাহন চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শতভাগ বিদ্যুৎ সম্পন্ন ঘোষিত উপজেলা ও প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় সম্পূর্ণ একটি এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন বা সংসদ সদস্যদের কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছে ওই মহল্লার মানুষগুলো। সৈয়দপুর পৌর এলাকার কাজীহাট এলাকায় অবস্থিত নুর নগর মহল্লা। যেটা শহরবাসীর কাছে হঠাত বস্তি নামে পরিচিত। এখানে ৫০ টি পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের বসবাস। অথচ গত ১৯ বছর থেকে এই মহল্লায় কোন বিদ্যুত নেই। বলতে গেলে আজও তারা বিদ্যুতের মুখ দেখেনি। আজও তাদের ঘরে জ্বলে কেরোসিন তেলের লেম্পু (প্রদীপ)। এখানে আছে ৫০ জনের মত প্রাথমিক শিক্ষার্থী, আছে মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীও। কিন্তু আজও তাদের লেখা পড়া করতে হয় প্রদীপ বা হারিকেন জ্বালিয়ে। তাহলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কি শুধু কাগজ কলমেই? ওই মহল্লার চিত্র দেখে এমন প্রশ্ন সহসাই বেরিয়ে আসে মুখে। শুধু কি বিদ্যুতের অভাব? আছে মরণফাঁদ রাস্তা। কাজীহাট হয়ে এই মহল্লায় যেতে চাইলে হেটেই যেতে হবে। কারন মহল্লাটি যাওয়ার রাস্তা ধ্বংস প্রায়। অনেক সময় এই মহল্লার গর্ভবতী নারীদের হাসপাতাল নেওয়ার প্রয়োজন হলে কোনমতে ভ্যান বা অন্য কোন বাহন নিয়ে আসা হয় ঠিকই কিন্তু অনেক সময় রাস্তায়ই বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার। মূমূর্ষূ রোগীদের নিয়ে ভীষন বিপাকে পড়তে হয় তাদের। সরেজমিনে গেলে তারা জানায় তাদের কষ্টের কথা। তারা বলে, ভাবতেই অবাগ লাগে যেখানে গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত হচ্ছে সেখানে শহরেই একটি মহল্লা অন্ধকারে আছে গত ১৯ বছর থেকে। আমরাও মানুষ, এদেশের নাগরিক। আমরাও ভোট দিই কিন্তু কোনো সুবিধা পাই না কোনদিন। গরমকালে শিশুদের গায়ে ঘামচি ফোড়ার সীমাহিন কষ্ট আর তারাবী নামাজের বিনা পাখায় নামাজ আদায় যে কত কষ্টকর তা অনুমান করতে পারেন। তারা জানায়, বিদ্যুৎ ও রাস্তার জন্য সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভার কাছে বার বার আবেদন করেও তাদের দুর্ভোগ লাঘবে কোন সুরাহা হয়নি। তাই এলাকাবাসী সবার মন্তব্য একমাত্র প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই হচ্ছেন তাদের শেষ ভরসার ঠিকানা। তাই প্রধানমন্ত্রী সহ সৈয়দপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের আবেদন, একটু নজর দিন। (ছবি আছে)

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

শতভাগ বিদ্যুতায়ীত ও প্রথম শ্রেণীর সৈয়দপুর পৌরসভায় একটি মহল্লা ১৯ বছর থেকে বিদ্যুৎহীন ॥ রাস্তা যান চলাচলের অযোগ্য

আপডেট টাইম ০৫:৪৩:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯

শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার পৌর এলাকার একটি মহল্লার ৫০ টি পরিবার ১৯ বছর থেকে অন্ধকারে। সে সাথে মহল্লাটিতে যাতায়াতের রাস্তাটিও যানবাহন চলাচলের একেবারে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। শতভাগ বিদ্যুৎ সম্পন্ন ঘোষিত উপজেলা ও প্রথম শ্রেণীর পৌরসভায় সম্পূর্ণ একটি এলাকা বিদ্যুৎহীন থাকলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন বা সংসদ সদস্যদের কারও কোন মাথা ব্যাথা নেই। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছে ওই মহল্লার মানুষগুলো। সৈয়দপুর পৌর এলাকার কাজীহাট এলাকায় অবস্থিত নুর নগর মহল্লা। যেটা শহরবাসীর কাছে হঠাত বস্তি নামে পরিচিত। এখানে ৫০ টি পরিবারের প্রায় দেড় শতাধিক মানুষের বসবাস। অথচ গত ১৯ বছর থেকে এই মহল্লায় কোন বিদ্যুত নেই। বলতে গেলে আজও তারা বিদ্যুতের মুখ দেখেনি। আজও তাদের ঘরে জ্বলে কেরোসিন তেলের লেম্পু (প্রদীপ)। এখানে আছে ৫০ জনের মত প্রাথমিক শিক্ষার্থী, আছে মাধ্যমিক ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীও। কিন্তু আজও তাদের লেখা পড়া করতে হয় প্রদীপ বা হারিকেন জ্বালিয়ে। তাহলে শতভাগ বিদ্যুতায়ন কি শুধু কাগজ কলমেই? ওই মহল্লার চিত্র দেখে এমন প্রশ্ন সহসাই বেরিয়ে আসে মুখে। শুধু কি বিদ্যুতের অভাব? আছে মরণফাঁদ রাস্তা। কাজীহাট হয়ে এই মহল্লায় যেতে চাইলে হেটেই যেতে হবে। কারন মহল্লাটি যাওয়ার রাস্তা ধ্বংস প্রায়। অনেক সময় এই মহল্লার গর্ভবতী নারীদের হাসপাতাল নেওয়ার প্রয়োজন হলে কোনমতে ভ্যান বা অন্য কোন বাহন নিয়ে আসা হয় ঠিকই কিন্তু অনেক সময় রাস্তায়ই বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার। মূমূর্ষূ রোগীদের নিয়ে ভীষন বিপাকে পড়তে হয় তাদের। সরেজমিনে গেলে তারা জানায় তাদের কষ্টের কথা। তারা বলে, ভাবতেই অবাগ লাগে যেখানে গ্রামের পর গ্রাম আলোকিত হচ্ছে সেখানে শহরেই একটি মহল্লা অন্ধকারে আছে গত ১৯ বছর থেকে। আমরাও মানুষ, এদেশের নাগরিক। আমরাও ভোট দিই কিন্তু কোনো সুবিধা পাই না কোনদিন। গরমকালে শিশুদের গায়ে ঘামচি ফোড়ার সীমাহিন কষ্ট আর তারাবী নামাজের বিনা পাখায় নামাজ আদায় যে কত কষ্টকর তা অনুমান করতে পারেন। তারা জানায়, বিদ্যুৎ ও রাস্তার জন্য সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিভাগ ও পৌরসভার কাছে বার বার আবেদন করেও তাদের দুর্ভোগ লাঘবে কোন সুরাহা হয়নি। তাই এলাকাবাসী সবার মন্তব্য একমাত্র প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই হচ্ছেন তাদের শেষ ভরসার ঠিকানা। তাই প্রধানমন্ত্রী সহ সৈয়দপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের আবেদন, একটু নজর দিন। (ছবি আছে)