ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

লাল কাঁকড়ার রাজ্য ‘চরবিজয়

’।
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দক্ষিণ উপকূলে গত কয়েক দশকে জেগে উঠেছে বেশ কিছু চর। এসব চরের সৌন্দর্যও অপরূপ। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা বিশাল সম্ভাবনাময় নতুন আর এক চর। প্রায় ১০ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি। দিগন্ত জোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জল রাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। এছাড়া সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে।
মানুষহীন এ চরে মানুষের উপস্থিত টের পেলেই লাল কাঁকড়ার দল ছুটে পালিয়ে যায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। গর্তে লুকিয়ে থেকেও উঁকি দিয়ে পর্যটকদের গতিবিধি লক্ষ্য করে কাঁকড়াগুলো, যা বিমোহিত করে পর্যটকদের। ইতোমধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চরটির সন্ধান পাওয়ায় এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। আর এই চরে প্রতিদিনই আগত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে এক নজর দেখতে।
পর্যটকরা জানান, চরটি পাখি ও লাল কাকঁড়ার দখলে থাকা একটি দ্বীপ, যে কোনো মানুষকে এটি মুগ্ধ করবে। কুয়াকাটায় এসে যদি চর বিজয়ে না যাওয়া হয় তবে অপূর্ণতা থেকেই যাবে।
কুয়াকাটায় দোকানদার হাবিবুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এ চরের সন্ধান পাওয়া যায়। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। এরপর থেকেই কুয়াকাটায় আগত পর্যটক, স্থানীয় ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষ চর বিজয়ে যান। তবে সরকার যদি এই দ্বীপকে ঘিরে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয় তবে এটি কুয়াকাটার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে।
কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক রুমি শরিফ জানান, উপকূলীয় এলাকার দ্বীপ ও চর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও দৃষ্টি দরকার। যদি সী-বোট সহ আধুনিক জাহাজে এসব চর ঘুরে দেখার সুযোগ তৈরি করা যায় তবে তা দ্রুত সেন্টমার্টিনের মতো জনপ্রিয়তা পাবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘চরবিজয়’ বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে। যদিও চরটিতে এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী হয়নি তবে ওখানে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে স্পীডবোট চালু রয়েছে। পাশাপাশি ট্রলারে মাধ্যমে পর্যটকরা যাচ্ছে। এটাকে আরও ডেভেলপ করার জন্য আমরা কাজ করছি যাতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ে।###

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

লাল কাঁকড়ার রাজ্য ‘চরবিজয়

আপডেট টাইম ০৮:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

’।
আঃ মজিদ খান, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দক্ষিণ উপকূলে গত কয়েক দশকে জেগে উঠেছে বেশ কিছু চর। এসব চরের সৌন্দর্যও অপরূপ। এরমধ্যে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা বিশাল সম্ভাবনাময় নতুন আর এক চর। প্রায় ১০ হাজার একর আয়তন নিয়ে জেগে ওঠা এ চরটি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে অবস্থিত। লাল কাঁকড়ার অবাধ ছুটোছুটি আর অতিথি পাখির কলকাকলি। দিগন্ত জোড়া আকাশ আর সমুদ্রের নীল জল রাশি আছড়ে পড়ছে কিনারায়। এছাড়া সাদা গাংচিলের দল এদিক-ওদিক উড়ে যাচ্ছে।
মানুষহীন এ চরে মানুষের উপস্থিত টের পেলেই লাল কাঁকড়ার দল ছুটে পালিয়ে যায় এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। গর্তে লুকিয়ে থেকেও উঁকি দিয়ে পর্যটকদের গতিবিধি লক্ষ্য করে কাঁকড়াগুলো, যা বিমোহিত করে পর্যটকদের। ইতোমধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে চরটির সন্ধান পাওয়ায় এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। আর এই চরে প্রতিদিনই আগত পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছে এক নজর দেখতে।
পর্যটকরা জানান, চরটি পাখি ও লাল কাকঁড়ার দখলে থাকা একটি দ্বীপ, যে কোনো মানুষকে এটি মুগ্ধ করবে। কুয়াকাটায় এসে যদি চর বিজয়ে না যাওয়া হয় তবে অপূর্ণতা থেকেই যাবে।
কুয়াকাটায় দোকানদার হাবিবুর রহমান বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এ চরের সন্ধান পাওয়া যায়। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের সাথে আলাপ করে এর নাম রাখা হয় ‘চরবিজয়’। এরপর থেকেই কুয়াকাটায় আগত পর্যটক, স্থানীয় ব্যাবসায়ীসহ বিভিন্ন মানুষ চর বিজয়ে যান। তবে সরকার যদি এই দ্বীপকে ঘিরে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নেয় তবে এটি কুয়াকাটার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে।
কুয়াকাটা পর্যটন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক রুমি শরিফ জানান, উপকূলীয় এলাকার দ্বীপ ও চর উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদেরও দৃষ্টি দরকার। যদি সী-বোট সহ আধুনিক জাহাজে এসব চর ঘুরে দেখার সুযোগ তৈরি করা যায় তবে তা দ্রুত সেন্টমার্টিনের মতো জনপ্রিয়তা পাবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, ‘চরবিজয়’ বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে। যদিও চরটিতে এখন পর্যন্ত স্থায়ীভাবে বসবাসের উপযোগী হয়নি তবে ওখানে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে স্পীডবোট চালু রয়েছে। পাশাপাশি ট্রলারে মাধ্যমে পর্যটকরা যাচ্ছে। এটাকে আরও ডেভেলপ করার জন্য আমরা কাজ করছি যাতে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়ে।###