ঢাকা ১১:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

লালমনিরহাটে হাজারো লোকের কর্মসংস্থান হবে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার স্থাপন হলে।

সাহিদ বাদশা বাবু, লালমনিরহাট।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী গ্রামে লালমনিরহাটে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড স্থাপন হলে হাজারও লোকের কর্মসংস্থান হবে। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড বিগত ১৮/০৪/২০১৬ ইং তারিখে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এলওআই প্রাপ্ত হয়। সে মোতাবেক বিগত ২৭/০৮/২০১৭ ইং তারিখে সরকারের সহিত পিপিএ স্বাক্ষরিত হয়। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড উক্ত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের জন্য গঙ্গাচড়া উপজেলায় প্রায় ৩০০ একর জমি খরিদ করে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত উক্ত সমুদয় জমি তিস্তার ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে পরিদর্শন করে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী গ্রামের প্রকল্পের বর্তমান স্থান অনুমোদন করেন। অত:পর ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকার জমি ব্যবহারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স ও জমি ব্যবহার ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অনাপত্তি গ্রহণ পূর্বক জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় হতে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে অনুমোদন প্রাপ্ত হবার পর স্থানীয় জমির মালিকগণের নিকট হতে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড সরাসরি জমি খরিদ ও বায়না করা শুরু করে। ইতোমধ্যে কতক জমি রেজিস্ট্রি, কতক জমি বায়না চুক্তির মাধ্যমে (যাহা পর্যায়ক্রমে রেজিস্ট্রি চলমান রয়েছে) এবং কতক খাস জমি স্থানীয় দখলদারের কাছ থেকে বাজার মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে দখলস্বত্ব বুঝে নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বন্ধোবস্তের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে প্রকল্প এলাকার প্রায় সম্পূর্ণ জমি ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছে।
প্রকল্প এলাকায় কাজ করতে গিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকায় জনসাধারনের জন্য বিদ্যুৎ লাইন নেয় এবং কিছু বাড়িতে বিদ্যুৎ প্রদান করে। এন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকায় দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার অবহেলিত মানুষ, কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ১.৭০ কিমি. একটি সড়ক নির্মাণ করে। উক্ত রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে পানির প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ২টি ব্রীজ ও ১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করতে হয়। উক্ত কাজ করতে গিয়ে বিআইডবিøওটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র পর্যালোচনার কারণে উক্ত সময়ের মধ্যে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। উক্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে গত দুই মাস রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়। অত:পর ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহিত যোগাযোগ করেন এবং যাহার কার্যক্রম এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই বর্ষায় চর এলাকার ভাঙ্গন রোধে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড বিভিন্ন স্থানে চার কিলোমিটার সাইড ওয়াল করে ভাঙ্গন রোধ করা হয়। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমতি প্রাপ্ত হলে উক্ত রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ করবে অন্যথায় নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে বলে সম্মত হয়েছে।
বর্তমানে প্রকল্পের জমির চারপাশ ফেন্সিং দিয়ে ঘেরাও করে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ প্রদানের লক্ষ্যে ভিতরে পাইল স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ করছে। বর্তমানে কোম্পানিটি চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়কের নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালীন এই সময়ে কোম্পানিটি মানুষের দূর্দশার কথা চিন্তা করে প্রায় ৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে রেখেছে। এছাড়াও ৬০ জন স্থায়ী কর্মচারী ও সর্বোপরি এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার গতি ফিরে পেয়েছে।
এমতাবস্থায়, কিছু স্বার্থন্বেশী মহল অপতৎপরতা, হুমকি-ধমকি ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের এই অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের কাজে বাধা প্রদানের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড এই সকল বাধা অতিক্রম করে দেশে প্রচলিত সকল আইনকানুন মেনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

লালমনিরহাটে হাজারো লোকের কর্মসংস্থান হবে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার স্থাপন হলে।

আপডেট টাইম ০৯:০৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

সাহিদ বাদশা বাবু, লালমনিরহাট।
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী গ্রামে লালমনিরহাটে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড স্থাপন হলে হাজারও লোকের কর্মসংস্থান হবে। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড বিগত ১৮/০৪/২০১৬ ইং তারিখে রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য এলওআই প্রাপ্ত হয়। সে মোতাবেক বিগত ২৭/০৮/২০১৭ ইং তারিখে সরকারের সহিত পিপিএ স্বাক্ষরিত হয়। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড উক্ত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের জন্য গঙ্গাচড়া উপজেলায় প্রায় ৩০০ একর জমি খরিদ করে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত উক্ত সমুদয় জমি তিস্তার ভাঙ্গনের ফলে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রকল্পের স্থান পরিবর্তনের জন্য সরকারের নিকট আবেদন করলে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সরেজমিনে পরিদর্শন করে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী গ্রামের প্রকল্পের বর্তমান স্থান অনুমোদন করেন। অত:পর ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকার জমি ব্যবহারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স ও জমি ব্যবহার ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য অনাপত্তি গ্রহণ পূর্বক জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় হতে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে অনুমোদন প্রাপ্ত হবার পর স্থানীয় জমির মালিকগণের নিকট হতে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড সরাসরি জমি খরিদ ও বায়না করা শুরু করে। ইতোমধ্যে কতক জমি রেজিস্ট্রি, কতক জমি বায়না চুক্তির মাধ্যমে (যাহা পর্যায়ক্রমে রেজিস্ট্রি চলমান রয়েছে) এবং কতক খাস জমি স্থানীয় দখলদারের কাছ থেকে বাজার মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে দখলস্বত্ব বুঝে নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বন্ধোবস্তের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে প্রকল্প এলাকার প্রায় সম্পূর্ণ জমি ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছে।
প্রকল্প এলাকায় কাজ করতে গিয়ে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকায় জনসাধারনের জন্য বিদ্যুৎ লাইন নেয় এবং কিছু বাড়িতে বিদ্যুৎ প্রদান করে। এন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড প্রকল্প এলাকায় দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ১৫ হাজার অবহেলিত মানুষ, কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর চলাচলের জন্য সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ১.৭০ কিমি. একটি সড়ক নির্মাণ করে। উক্ত রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে পানির প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য ২টি ব্রীজ ও ১৮টি কালভার্ট নির্মাণ করতে হয়। উক্ত কাজ করতে গিয়ে বিআইডবিøওটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র পর্যালোচনার কারণে উক্ত সময়ের মধ্যে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। উক্ত নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকে গত দুই মাস রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়। অত:পর ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহিত যোগাযোগ করেন এবং যাহার কার্যক্রম এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই বর্ষায় চর এলাকার ভাঙ্গন রোধে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড বিভিন্ন স্থানে চার কিলোমিটার সাইড ওয়াল করে ভাঙ্গন রোধ করা হয়। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমতি প্রাপ্ত হলে উক্ত রাস্তা, ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ করবে অন্যথায় নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে বলে সম্মত হয়েছে।
বর্তমানে প্রকল্পের জমির চারপাশ ফেন্সিং দিয়ে ঘেরাও করে ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড সেপ্টেম্বর মাসে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ প্রদানের লক্ষ্যে ভিতরে পাইল স্থাপনসহ অন্যান্য কাজ করছে। বর্তমানে কোম্পানিটি চরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গ্রামের ভিতর দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়কের নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে। করোনাকালীন এই সময়ে কোম্পানিটি মানুষের দূর্দশার কথা চিন্তা করে প্রায় ৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে রেখেছে। এছাড়াও ৬০ জন স্থায়ী কর্মচারী ও সর্বোপরি এলাকার মানুষের ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতার গতি ফিরে পেয়েছে।
এমতাবস্থায়, কিছু স্বার্থন্বেশী মহল অপতৎপরতা, হুমকি-ধমকি ও অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের এই অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পের কাজে বাধা প্রদানের অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড এই সকল বাধা অতিক্রম করে দেশে প্রচলিত সকল আইনকানুন মেনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।