সাহিদ বাদশা বাবু ,লালমনিরহাট ::
সম্প্রতি হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ও জাতির জনকের মুরালসহ গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনার ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ বাঙ্গালি জাতি সত্বার উপরই পৈশাচিক আক্রমন বলে দাবী করেছেন লালমনিরহাট জেলার বীরমুক্তিযোদ্ধারা।
শনিবার (৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলার প্রান কেন্দ্র মিশনমোড় গোলচত্বরে দেড় ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে লালমনিরহাট জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. মতিয়ার রহমান তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ একটি ভয়াবহ ঘটনা। স্বাধীনতা দিবসে এ ধরনের ঘটনা মানে স্বাধীনতার মূলে আঘাত করা।
তিনি আরো বলেন, সেদিনের সহিংসতার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাংবাদিকদের ওপর যে হামলা ও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। সেই সাথে সব সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লালমনিরহাট জেলা ইউনিট কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা প্রানত্যাগ করেছে, শহীদ হয়েছে ৩০ বাঙ্গালী, সম্ভ্রম হারিয়েছে ২ লক্ষ মা-বোন। মুক্তিযুদ্ধে অনেক ত্যাগ রয়েছে কোটি কোটি বাঙ্গালীর। এদেরকে সমুচিত জবাব ও শাস্তিবিধান একান্ত অপরিহার্য বলে মনে করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
এ সময় জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিক তাদের এই মানববন্ধনের সাথে একাত্বতা ঘোষনা করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু বকর সিদ্দিক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোড়ল হুমায়ুন কবীর, জেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা জেলার সকল সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে মুক্তিযোদ্ধারা জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারকলিপি পেশ করেন।