ঢাকা ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সুজাতপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
লাইসেন্সিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে সরকার দ্বিতীয় ধাপে নির্দেশনা দিয়েছে। এরমধ্যে নাম মাত্র অভিযান চলছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়। ফলে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। এমনি একটি প্রতিষ্ঠান সুজাতপুর বাজার জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। লাইসেন্স ছাড়াই প্রায় ৫ বছর যাবৎ চলছে নির্দিধায়।
জানা গেছে, সুজাতপুর বাজার জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে হাসপাতালটি প্রায় ৫ বছর আগে চালু হয়। চালু হওয়ার সময় কোন লাইসেন্স বা কাগজপত্র করে নি কর্তৃপক্ষ। এখনো লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা আছে, যেকোনো প্রাইভেট হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক অনুষ্ঠানিক চালু করার পূর্বেই লাইসেন্স করতে হবে এবং সাথে সিক্স পেপার অনুমোদন লাগবে। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে গিয়ে লাইসেন্স ও কাগজপত্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কোন ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। এছাড়াও রোগীদের সাথে অসদাচরণ ও চিকিৎসার বিল বেশি নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সুজাতপুর বাজার জেনারেল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ফাতেমা আক্তার বলেন, আমরা লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করেছি। লাইসেন্স রেডি হলেই কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বুজিয়ে দিবে। বেশি টাকা আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা অতিরিক্ত টাকা নেই না।
স্থানীয় এলাকার একাধিক মানুষ জানান, এই হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া হয় না। চিকিৎসা দিয়ে আবার বিল বেশি রাখে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও হাসপাতালে অনৈতিক কর্মকান্ড চলে। কিছুদিন আগেও হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা আক্তারের স্বামী এক নার্সের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছিল। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান চালাচ্ছি। যেগুলোর কাগজপত্র ঠিক আছে সেগুলো চালানোর অনুমতি দিচ্ছি। আর যেগুলোর লাইসেন্স নেই সেগুলো বন্ধ থাকবে। সুজাতপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপারে তিনি বলেন, কাগজপত্র মোটামুটি ঠিক আছে। অভিযানের সময় ডাঃ মান্নান উপস্থিত ছিলেন তাই পুরোপুরি অভিযান করতে পারি নি।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা আছে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সুজাতপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার

আপডেট টাইম ০৭:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি :
লাইসেন্সিহীন হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে সরকার দ্বিতীয় ধাপে নির্দেশনা দিয়েছে। এরমধ্যে নাম মাত্র অভিযান চলছে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায়। ফলে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। এমনি একটি প্রতিষ্ঠান সুজাতপুর বাজার জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। লাইসেন্স ছাড়াই প্রায় ৫ বছর যাবৎ চলছে নির্দিধায়।
জানা গেছে, সুজাতপুর বাজার জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে হাসপাতালটি প্রায় ৫ বছর আগে চালু হয়। চালু হওয়ার সময় কোন লাইসেন্স বা কাগজপত্র করে নি কর্তৃপক্ষ। এখনো লাইসেন্স ছাড়াই চলছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা আছে, যেকোনো প্রাইভেট হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক অনুষ্ঠানিক চালু করার পূর্বেই লাইসেন্স করতে হবে এবং সাথে সিক্স পেপার অনুমোদন লাগবে। সম্প্রতি ওই হাসপাতালে গিয়ে লাইসেন্স ও কাগজপত্রের ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষ কোন ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই। এছাড়াও রোগীদের সাথে অসদাচরণ ও চিকিৎসার বিল বেশি নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে সুজাতপুর বাজার জেনারেল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক ফাতেমা আক্তার বলেন, আমরা লাইসেন্স করার জন্য আবেদন করেছি। লাইসেন্স রেডি হলেই কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে বুজিয়ে দিবে। বেশি টাকা আদায়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা অতিরিক্ত টাকা নেই না।
স্থানীয় এলাকার একাধিক মানুষ জানান, এই হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া হয় না। চিকিৎসা দিয়ে আবার বিল বেশি রাখে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও হাসপাতালে অনৈতিক কর্মকান্ড চলে। কিছুদিন আগেও হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা আক্তারের স্বামী এক নার্সের সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছিল। এ ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে অভিযান চালাচ্ছি। যেগুলোর কাগজপত্র ঠিক আছে সেগুলো চালানোর অনুমতি দিচ্ছি। আর যেগুলোর লাইসেন্স নেই সেগুলো বন্ধ থাকবে। সুজাতপুর জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যাপারে তিনি বলেন, কাগজপত্র মোটামুটি ঠিক আছে। অভিযানের সময় ডাঃ মান্নান উপস্থিত ছিলেন তাই পুরোপুরি অভিযান করতে পারি নি।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান বলেন, সরকারি নির্দেশনা আছে অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।