লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি  :

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৪নং চররুহীতা ইউনিয়নের চরমন্ডল গ্রামের ১নং ওয়ার্ড কালার বাড়িতে গত- ( ৭ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার দুপুরে রানী বেগমের শিশু কন্যা রিমু আক্তার( ১৩),কে মরহুম আলী আহম্মদ মেস্তরীর ছেলে শহিদ হোসেন(৪২) টাকার লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ।

সরেজমিনে গিয়ে যানা যায় যে, শিশু রিমু আক্তারের মা রানী বেগম গ্রামে দিনমজুরের কাজ করে, এ সুযোগে শহীদ রানী বেগম এর শিশু কন্যা রিমু আক্তার(১৩),কে একা পেয়ে নারী লোভী শহিদ হোসেন প্রথমে শিশুটিকে টাকার প্রলোভন দেখায়, পরবর্তীতে শিশুটি রাজি না হওয়ায় তার সাথে জোর জবরদস্তি করে তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে । এমন্ত অবস্থায় রিমু আক্তার চিৎকার করলে পার্শ্ববর্তী  জমিতে কাজ করা অবস্থায় তার নানা আবু সিদ্দিক দৌড়ে এসে শহিদের জোর জবরদস্তি করা দেখে তিনি তার হাতে থাকা ডাবের মালা ছুঁড়ে মারলে শহিদ হোসেন রিমু,কে ছেড়ে দেয় ।

এই বিষয়ে স্থানীয়  শফিক মিঞার ছেলে রাজু বলেন, যখন শহিদ হোসেন রানী বেগমের বাড়ি যাচ্ছিলো তখন আমি দেখতে পায়, এবং, যখন হৈচৈ পড়েছে তখন আমি গিয়ে এ ঘটনার বিষয় জানতে পারি  । স্থানীয় নেয়ামত উল্যা ব্যাপারী বাড়ির মরহুম  আহম্মদ আলীর পুত্র আবুল কাশেম মিঞা বলেন, এই বিষয়ে স্থানীয় ভাবে একটি শালিশী বৈঠক হয়েও কোন সমাধান হয়নি । তিনি আরো বলেন, যদি ধর্ষণ চেষ্টার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই । যেনো ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটানোর সাহস না পাই ।

এই বিষয়ে পাশ্ববর্তী সিরাজ মিঞার স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, ঘটনাটি সত্য, দোষী ব্যাক্তির প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি জানাই । এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা জানান, ঐ দিন যদি আমার মেয়ের চিৎকার শুনে আমার বাবা আবু সিদ্দিক ঘটনারস্থলে পৌঁছাতে দেরি করতেন, তাহলে শহিদ হোসেন আমার মেয়েকে মেরেই ফেলতো । আমি প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা কারি শহীদ এর বিচার চাই । এ বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ হোসেন এর কাছে জানতে তার শশুর বাড়িতে গেলে তার শশুর এবং, শহিদের স্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে উশৃংখল আচরন করেন, শশুর, ও স্ত্রীর আচরণ খারাপ দেখে ঘটনার স্থল থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা ফেরত আসেন, এতে করে  শহিদ হোসেনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপপরিদর্শক  জালাল উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি ।  সত্যতা উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে । এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. আজিজুর রহমান মিঞা,র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ রয়েছে । তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।