ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিরন মেম্বার হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত 

আমজাদ হোসেন, লক্ষীপুর:  লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিরন মেম্বার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাঠন করা  হয়েছে। ২ জন আসামিকেও ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বন্দুক, দুটি এলজি, ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সিএনজিসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান গণ-মাধ্যম কর্মীদেরকে এসব তথ্য জানান।  পুলিশ সুপার বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে চন্দ্রগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মিরন মেম্বার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি জসিমকে স্থানীয় বটতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে জসিমকে ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির গোপন হেফাজতের তথ্য দেন। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে সোমবার বিকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার চরচামিতা মিজি বাড়ির কাচারি ঘরের ভিটির নিচ থেকে বস্তা ভর্তি অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্ত্রগুলো মিরন মেম্বার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। হত্যাকাণ্ডে জসিম নিজে এবং জনৈক লোকমান এবং সিএনজি চালক জামালসহ আরও ১ জন জড়িত ছিলেন বলে জানায়। তারা অপর ৫ জনের কাছ থেকে লোকমানের বাড়ির সামনে ওই অস্ত্রগুলো বুঝে নেন।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও চালককে আটক করে পুলিশ।জামাল তার নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এছাড়াও, এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াছ কোবরা গত ১৪ অক্টোবর দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার এ হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে পূর্ব শত্রুতা ও স্থানীয় বিরোধের ফলশ্রুতিতে মিরনকে হত্যা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান।

এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনাসহ যে কোনও অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্সে রয়েছে বলেও জানান লক্ষীপুর জেলার এ পুলিশ প্রধান।

প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার দত্তপাড়ার আলাদাতপুরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় ৪ জন মুখোশপরা অস্ত্রধারী স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিরনকে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিরন মেম্বার হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচিত 

আপডেট টাইম ০২:২৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯

আমজাদ হোসেন, লক্ষীপুর:  লক্ষ্মীপুরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মিরন মেম্বার হত্যা মামলার রহস্য উদঘাঠন করা  হয়েছে। ২ জন আসামিকেও ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি বন্দুক, দুটি এলজি, ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত সিএনজিসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান গণ-মাধ্যম কর্মীদেরকে এসব তথ্য জানান।  পুলিশ সুপার বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে চন্দ্রগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে মিরন মেম্বার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি জসিমকে স্থানীয় বটতলী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে জসিমকে ওই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির গোপন হেফাজতের তথ্য দেন। তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে সোমবার বিকালে চন্দ্রগঞ্জ থানার চরচামিতা মিজি বাড়ির কাচারি ঘরের ভিটির নিচ থেকে বস্তা ভর্তি অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অস্ত্রগুলো মিরন মেম্বার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারের কথা স্বীকার করেন। হত্যাকাণ্ডে জসিম নিজে এবং জনৈক লোকমান এবং সিএনজি চালক জামালসহ আরও ১ জন জড়িত ছিলেন বলে জানায়। তারা অপর ৫ জনের কাছ থেকে লোকমানের বাড়ির সামনে ওই অস্ত্রগুলো বুঝে নেন।

এর আগে গত ১১ অক্টোবর হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত নম্বরবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও চালককে আটক করে পুলিশ।জামাল তার নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এছাড়াও, এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী ইলিয়াছ কোবরা গত ১৪ অক্টোবর দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর গোলাগুলিতে নিহত হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি বন্দুক, ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার এ হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে পূর্ব শত্রুতা ও স্থানীয় বিরোধের ফলশ্রুতিতে মিরনকে হত্যা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান।

এ ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনাসহ যে কোনও অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্সে রয়েছে বলেও জানান লক্ষীপুর জেলার এ পুলিশ প্রধান।

প্রসঙ্গত, সদর উপজেলার দত্তপাড়ার আলাদাতপুরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় ৪ জন মুখোশপরা অস্ত্রধারী স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম মিরনকে গুলি করে হত্যা করে।

এ ঘটনায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়েছে ।