ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশসহ  ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর :  লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বলেন, মামলাটি (সিআর-১০৯/২০২০) আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহি উদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও ৫ জন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়।

এসময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্না ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে তারা নুর আলমকে সেখানে থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারে। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শ্বাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইলফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানী আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টডিতে নুরআলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

লক্ষ্মীপুরে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে পুলিশসহ  ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট টাইম ০১:৫৯:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২০

আমজাদ হোসেন, লক্ষ্মীপুর :  লক্ষ্মীপুরে নুর আলম নুরু নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে নুর আলমের মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

বাদীর আইনজীবী আবদুল আহাদ শাকিল বলেন, মামলাটি (সিআর-১০৯/২০২০) আদালতের বিচারক রায়হান চৌধুরী মামলাটি আমলে নিয়েছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেসটিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ কাওসারুজ্জামান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম, মহি উদ্দিন খন্দকার, কনস্টেবল কবির হোসেন, শহরের দক্ষিণ তেমুহনীর চা দোকানি আবুল হোসেন ও অজ্ঞাত আরও ৫ জন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর থানার একটি মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই নুর আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ৩০ ডিসেম্বর লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে। ওইদিন সন্ধ্যায় জেল হাজতে থেকে বের হওয়ার সময় সাদা পোশাকে ৩ জন লোক নুর আলমকে আটক করতে যায়।

এসময় ভয়ে তিনি কারা পুলিশ ব্যারাকের রান্না ঘরে আশ্রয় নেয়। পরে তারা নুর আলমকে সেখানে থেকে হাতকড়া ও চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে চোখের বাঁধন খুললে তিনি এসআই কাওসারুজ্জামানকে চিনতে পারে। এরপর থেকে প্রায় ৬ দিন পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। ৫ জানুয়ারি তারা নুর আলমের শ্বাশুড়ি ফিরোজা বেগমের মোবাইলফোনে কল করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে নুর আলমকে হত্যা বা অস্ত্র-মাদক মামলায় জড়িয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। এসময় দাবি করা টাকা শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার চা দোকানী আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসতে বলে। ওইদিন দুপুরে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা আবুল হোসেনের কাছে দিয়ে আসা হয়। কিন্তু দাবি করা পুরো টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই ৪৫ পিস ইয়াবা দিয়ে নুর আলমকে তারা গ্রেফতার দেখায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

২১ জানুয়ারি নুর আলমের বিরুদ্ধে মাদক মামলাটি তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। এতে এসআই কাওসারুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ওইদিনই আদালতের পুলিশ কাস্টডিতে নুরআলমকে তিনি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই কাওসারুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সত্য নয়। মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদেরকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।