ঢাকা ০৯:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত গজারিয়ায় বালুয়াকান্দী অটো ড্রাইভার ও মালিক সমিতির উদ্যোগে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী সভা ও দোয়া মাহফিল

লক্ষীপুর রামগঞ্জে আপন চাচাকে ঝলসে দিয়েছে ভাতিজা

আমজাদ হোসেন, লক্ষীপুর: লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে সৌন্দরা গ্রামে নুরুল হক এমরানের শরীরে চার কেটলির গরম লিকার দিয়ে ঝলসে দিয়েছে আপন ভাতিজা। মঙ্গলবার সকালে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাতিজা শাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন চাচা মুমূর্ষ অবস্থায় চাচা নুরুল হক এমরানকে প্রথমে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নুরুল হক এমরানের স্ত্রী মুক্তা বেগম বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে।

সুত্রে জানা যায় যে, উপজেলার সৌন্দরা গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত শামসুল হক সওদাগরের বড় ছেলে আব্দুল হাই ভুলু আমিন তার ছোট ভাই নুরুল হক এমরানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরধরে লক্ষীপুর আদালতে ও রামগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা চলে আসছে। এদিকে সোমবার দুপুরে লক্ষীপুর জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আব্দুল হাই ভুলু আমিনের পুত্র সাহাদাৎ হোসেন টিটু এবং সায়েম হোসেন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সৌন্দরা নয়াবাজারে সাইফুলের চা দোকানে চাচা নুরুল হক এমরানকে একা পেয়ে মারধর করে এবং দোকানের চা কেটলির গরম লিকার টেলে দেয়। প্রত্যক্ষর্দী ফজল হক,স্বপন হোসেনসহ কয়েকজন বলেন,ভাতিজা শাহাদাৎ হোসেন টিটু চা কেটলির গরম পানি চাচার উপর ছুড়ে মারে। এতে চাচা নুরুল হক এমরানের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। হাসপাতালে নুরুল হক এমরানের স্ত্রী মুক্তা বেগম বলেন, আমার ভাসুর আব্দুল হাই ভুলু আমিনের নির্দেশে তার দুই পুত্র শাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করে শরীরে চা কেটলির গরম পানি ঢেলে দেয়।

এব্যাপারে  জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন কাউকে পাওয়া যায়নি। রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গরম পানি নিক্ষেপে আহতের স্ত্রী মুক্তা বেগম দায়ের করা এজাহারটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল

লক্ষীপুর রামগঞ্জে আপন চাচাকে ঝলসে দিয়েছে ভাতিজা

আপডেট টাইম ০৬:০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

আমজাদ হোসেন, লক্ষীপুর: লক্ষীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নে সৌন্দরা গ্রামে নুরুল হক এমরানের শরীরে চার কেটলির গরম লিকার দিয়ে ঝলসে দিয়েছে আপন ভাতিজা। মঙ্গলবার সকালে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ভাতিজা শাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন চাচা মুমূর্ষ অবস্থায় চাচা নুরুল হক এমরানকে প্রথমে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নুরুল হক এমরানের স্ত্রী মুক্তা বেগম বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে।

সুত্রে জানা যায় যে, উপজেলার সৌন্দরা গ্রামের সওদাগর বাড়ির মৃত শামসুল হক সওদাগরের বড় ছেলে আব্দুল হাই ভুলু আমিন তার ছোট ভাই নুরুল হক এমরানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরধরে লক্ষীপুর আদালতে ও রামগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা চলে আসছে। এদিকে সোমবার দুপুরে লক্ষীপুর জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আব্দুল হাই ভুলু আমিনের পুত্র সাহাদাৎ হোসেন টিটু এবং সায়েম হোসেন মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সৌন্দরা নয়াবাজারে সাইফুলের চা দোকানে চাচা নুরুল হক এমরানকে একা পেয়ে মারধর করে এবং দোকানের চা কেটলির গরম লিকার টেলে দেয়। প্রত্যক্ষর্দী ফজল হক,স্বপন হোসেনসহ কয়েকজন বলেন,ভাতিজা শাহাদাৎ হোসেন টিটু চা কেটলির গরম পানি চাচার উপর ছুড়ে মারে। এতে চাচা নুরুল হক এমরানের শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। হাসপাতালে নুরুল হক এমরানের স্ত্রী মুক্তা বেগম বলেন, আমার ভাসুর আব্দুল হাই ভুলু আমিনের নির্দেশে তার দুই পুত্র শাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন পরিকল্পিত ভাবে প্রকাশ্যে পিটিয়ে আহত করে শরীরে চা কেটলির গরম পানি ঢেলে দেয়।

এব্যাপারে  জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহাদাৎ হোসেন টিটু ও সায়েম হোসেন কাউকে পাওয়া যায়নি। রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই ভাইয়ের পরিবারে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলে আসছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। গরম পানি নিক্ষেপে আহতের স্ত্রী মুক্তা বেগম দায়ের করা এজাহারটি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।