ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

লক্ষীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১ ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা

আমজাদ হোসেন, লক্ষীপুরঃ লক্ষীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো.আক্তার হোসেন (২৯) কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিবেশী ৫ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গত (২০ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে। ভু্ক্তভুগী মো.আক্তার হোসেন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড লামচরী এলাকার শহর বক্স এর বাড়ীর আবদুল মালেক এর ছেলে।
গণ-মাধ্যম কর্মীদেরকে আক্তার বলেন, আমাকে আমার সৎ ভাই মোরশেদ আলম এর পাকানো সন্ত্রাসী আমার সৎ ভাইয়ের শালা মো.আরিফুর রহমান (দিপু) সহ অপর ৪ সহযোগী আমার উপর আক্রমন করে।আমার মায়ের সম্পত্তি আমার সৎ ভাই একক ভাবে ভোগ করতে চায়। একক ভাবে ভোগ করতে না পেরে সে আমাকে সন্ত্রাসী দিয়ে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত,নগদ টাকা লুট,এবং প্রাণ নাশের ও হুমকি দেয়। এবং আমার ২৫,৫০০ টাকা জোর পূ্র্বক লুট করে নিয়ে যায়।
পরে আক্তার হোসেনের বাবা আবদুল মালেক বলেন,আমার ছেলেকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে লক্ষীপুর সরকারী কলেজের পশ্চিমে (দুদক) কর্মকর্তা এমরানের বাসার সামনে রাতের  অন্ধকারে আমার ছেলে আক্তারকে অতর্কিত ভাবে ধারলো ছুরি দিয়ে মাথায় এবং হাতে পায়ে আঘাত করে মাথা  থেকে অতিরিক্ত রক্ত খরন করানো হয়েছে । এবং মাথায় ৪ সিঁলাই দেওয়া হয়েছে।  সে সময় স্থানীয়রা আক্তারকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আক্তার হোসেনের মা নুর জাহান বেগম (৪৮)বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে লক্ষীপুর মড়েল থানাতে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ এ বে-আইনী জনতা বদ্ধে গতিরোধ করত হত্যার উদ্দেশ্যে ধারায় মামলা করা হয়। যার মামলা নং ৩৯,জিআর নং ৪১২/১৯। মামলার আসামীরা হলেন,(১)মো.আরিফুর রহমান দিপু (৩৩),পিতা-মমিন উল্ল্যা হাবিব  উল্ল্যা সর্দার বাড়ী লামছড়ি। (২) রিপন (২২),পিতা মমিন উল্ল্যা হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী লামছড়ি। (৩) মো.রাজু (৩৮), পিতা- মমিন উল্ল্যা হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী,লামছড়ি। (৪) মো.আক্কাস (৩৭),পিতা -আবুল কালাম সর্দার হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী, লামছড়ি। (৫), মো.শহীদ (৩৭), পিতা-মো.ইউসুফ আলী হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী লামছড়ি। এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকেও উক্ত মামলার আসামী করা হয়েছে ভুক্তভুগীদের দাবি গত ২২-৮-১৯ তারিখ  প্রাই ২ মাস আগে  মামলা করা হয়েছে লক্ষীপুর মডেল থানায়। এখনো আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং আসামীরা আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়া জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
মামলা থেকে তাদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বলেও জানাই ভুক্তভুগীরা। সমাজে বুক পুলিয়ে তারা প্রকাশ্যে চলা ফেরা করে।  আমরা প্রসাসনের প্রতি তিব্র দাবি জানাই যেনো এ ধরনের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হয়। ভুক্তভুগীদের এখন প্রশ্ন একটায় মামলা হওয়ার ২ মাস পরেও কেন আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

লক্ষীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১ ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা

আপডেট টাইম ০১:৩১:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
আমজাদ হোসেন, লক্ষীপুরঃ লক্ষীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মো.আক্তার হোসেন (২৯) কে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিবেশী ৫ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে গত (২০ আগষ্ট) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে। ভু্ক্তভুগী মো.আক্তার হোসেন পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড লামচরী এলাকার শহর বক্স এর বাড়ীর আবদুল মালেক এর ছেলে।
গণ-মাধ্যম কর্মীদেরকে আক্তার বলেন, আমাকে আমার সৎ ভাই মোরশেদ আলম এর পাকানো সন্ত্রাসী আমার সৎ ভাইয়ের শালা মো.আরিফুর রহমান (দিপু) সহ অপর ৪ সহযোগী আমার উপর আক্রমন করে।আমার মায়ের সম্পত্তি আমার সৎ ভাই একক ভাবে ভোগ করতে চায়। একক ভাবে ভোগ করতে না পেরে সে আমাকে সন্ত্রাসী দিয়ে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত,নগদ টাকা লুট,এবং প্রাণ নাশের ও হুমকি দেয়। এবং আমার ২৫,৫০০ টাকা জোর পূ্র্বক লুট করে নিয়ে যায়।
পরে আক্তার হোসেনের বাবা আবদুল মালেক বলেন,আমার ছেলেকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে লক্ষীপুর সরকারী কলেজের পশ্চিমে (দুদক) কর্মকর্তা এমরানের বাসার সামনে রাতের  অন্ধকারে আমার ছেলে আক্তারকে অতর্কিত ভাবে ধারলো ছুরি দিয়ে মাথায় এবং হাতে পায়ে আঘাত করে মাথা  থেকে অতিরিক্ত রক্ত খরন করানো হয়েছে । এবং মাথায় ৪ সিঁলাই দেওয়া হয়েছে।  সে সময় স্থানীয়রা আক্তারকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আক্তার হোসেনের মা নুর জাহান বেগম (৪৮)বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে লক্ষীপুর মড়েল থানাতে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ এ বে-আইনী জনতা বদ্ধে গতিরোধ করত হত্যার উদ্দেশ্যে ধারায় মামলা করা হয়। যার মামলা নং ৩৯,জিআর নং ৪১২/১৯। মামলার আসামীরা হলেন,(১)মো.আরিফুর রহমান দিপু (৩৩),পিতা-মমিন উল্ল্যা হাবিব  উল্ল্যা সর্দার বাড়ী লামছড়ি। (২) রিপন (২২),পিতা মমিন উল্ল্যা হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী লামছড়ি। (৩) মো.রাজু (৩৮), পিতা- মমিন উল্ল্যা হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী,লামছড়ি। (৪) মো.আক্কাস (৩৭),পিতা -আবুল কালাম সর্দার হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী, লামছড়ি। (৫), মো.শহীদ (৩৭), পিতা-মো.ইউসুফ আলী হাবিব উল্ল্যা সর্দার বাড়ী লামছড়ি। এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকেও উক্ত মামলার আসামী করা হয়েছে ভুক্তভুগীদের দাবি গত ২২-৮-১৯ তারিখ  প্রাই ২ মাস আগে  মামলা করা হয়েছে লক্ষীপুর মডেল থানায়। এখনো আসামিদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। বরং আসামীরা আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়া জন্য হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
মামলা থেকে তাদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বলেও জানাই ভুক্তভুগীরা। সমাজে বুক পুলিয়ে তারা প্রকাশ্যে চলা ফেরা করে।  আমরা প্রসাসনের প্রতি তিব্র দাবি জানাই যেনো এ ধরনের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেওয়া হয়। ভুক্তভুগীদের এখন প্রশ্ন একটায় মামলা হওয়ার ২ মাস পরেও কেন আসামীরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে।