ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

লকডাউনে দ্বিতীয় দিনেও রাজশাহীতে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

লকডাউনে দ্বিতীয় দিনেও রাজশাহীতে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

সানোয়ারআরিফ  রাজশাহীঃ

রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনেও ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে রাজশাহী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া মহল্লার গলিপথেও টহল দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অন্য সময় সাপ্তাহিক বাজারের জন্য শুক্রবার কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় থাকলেও সকালে তা লক্ষ্য করা যায়নি। এখন পর্যন্ত শহর প্রায় ফাঁকাই রয়েছে।

তবে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় জরুরি সেবাসমূহ চালু রয়েছে আগের মতোই। এর মধ্যে রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, ঔষুধ ও খাবার পরিবহনের যানবাহনগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে ঔষুধের প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি রাজশাহী সিটি এবং প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুইটি করে টিম টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি মাঠ পর্যায়ে ‘লকডাউন’ কার্যকরের দায়িত্ব পালন করছে। সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিনেও তাই রাজশাহী জুড়েই কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজশাহী শহরের তিনটি প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। শহরের তিন দিকের প্রবেশমুখ আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। এসব পয়েন্ট মানুষ ও যানবাহনের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে মহানগর পুলিশ।

পণ্যবাহী পরিবহন, পিকআপ ভ্যান ও মালবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন রাজশাহী শহরে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বেলা ১১টা পর্যন্ত জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া মূল সড়কে রিকশা চলতে দেখা যায়নি৷ তবে পাড়া-মহল্লার ভেতরে ভেতরে রিকশা চলছে।

এছাড়া প্রাইভেটকারগুলো বিভিন্ন স্টিকার লাগিয়ে বাইরে বের হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে শহরের সব মার্কেট, বিপণী বিতান এবং সব ধরনের দোকানপাট। লকডাউনের কঠোরতায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছেদ ঘটেছে। অতিমারির মধ্যে শহরের জনবহুল এখন সুনশান।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক জানিয়েছেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্মক ‘বিধিনিষেধ’ বা ‘লকডাউন’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে। সিটি করপোর্রেশন ছাড়া উপজেলাগুলোতেও সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব টহল দিচ্ছে। এ অবস্থায় কেউ অহেতুক বাইরে ঘোরাঘুরি করলে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজশাহী জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইনে (দণ্ডবিধি-১৮৬০, ২০১৮ সাল) ৫০ জনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ জনের কাছ থেকে ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তিনি সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

লকডাউনে দ্বিতীয় দিনেও রাজশাহীতে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

আপডেট টাইম ১০:২৯:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
লকডাউনে দ্বিতীয় দিনেও রাজশাহীতে কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

সানোয়ারআরিফ  রাজশাহীঃ

রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনেও ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। শুক্রবার (২ জুলাই) সকাল থেকে রাজশাহী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ও পাড়া মহল্লার গলিপথেও টহল দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অন্য সময় সাপ্তাহিক বাজারের জন্য শুক্রবার কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় থাকলেও সকালে তা লক্ষ্য করা যায়নি। এখন পর্যন্ত শহর প্রায় ফাঁকাই রয়েছে।

তবে রাজশাহী মহানগর ও জেলায় জরুরি সেবাসমূহ চালু রয়েছে আগের মতোই। এর মধ্যে রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স, ঔষুধ ও খাবার পরিবহনের যানবাহনগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলাচল করছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে ঔষুধের প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি রাজশাহী সিটি এবং প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর দুইটি করে টিম টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি তিন প্লাটুন বিজিবি মাঠ পর্যায়ে ‘লকডাউন’ কার্যকরের দায়িত্ব পালন করছে। সর্বাত্মক লকডাউন শুরুর দ্বিতীয় দিনেও তাই রাজশাহী জুড়েই কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে রয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রাজশাহী শহরের তিনটি প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। শহরের তিন দিকের প্রবেশমুখ আমচত্বর, কাশিয়াডাঙ্গা ও কাটাখালী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন। এসব পয়েন্ট মানুষ ও যানবাহনের অবাধ প্রবেশ ঠেকাতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে মহানগর পুলিশ।

পণ্যবাহী পরিবহন, পিকআপ ভ্যান ও মালবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন রাজশাহী শহরে ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। বেলা ১১টা পর্যন্ত জরুরি সেবার যানবাহন ছাড়া মূল সড়কে রিকশা চলতে দেখা যায়নি৷ তবে পাড়া-মহল্লার ভেতরে ভেতরে রিকশা চলছে।

এছাড়া প্রাইভেটকারগুলো বিভিন্ন স্টিকার লাগিয়ে বাইরে বের হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে শহরের সব মার্কেট, বিপণী বিতান এবং সব ধরনের দোকানপাট। লকডাউনের কঠোরতায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছেদ ঘটেছে। অতিমারির মধ্যে শহরের জনবহুল এখন সুনশান।

রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শরিফুল হক জানিয়েছেন, সরকারি প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্মক ‘বিধিনিষেধ’ বা ‘লকডাউন’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ‘কঠোর লকডাউন’ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ ও আনসার সার্বক্ষণিক মাঠে রয়েছে। সিটি করপোর্রেশন ছাড়া উপজেলাগুলোতেও সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব টহল দিচ্ছে। এ অবস্থায় কেউ অহেতুক বাইরে ঘোরাঘুরি করলে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজশাহী জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইনে (দণ্ডবিধি-১৮৬০, ২০১৮ সাল) ৫০ জনকে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫০ জনের কাছ থেকে ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তাই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তিনি সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান।