ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার: সেনাপ্রধান

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকার দ্রুত ফেরত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদেরও মিয়ানমার পাঠানো হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিমানবহরে নতুন চারটি ডায়মন্ড ডিএ ফরটি এনজি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সেনাপ্রধান।

আরো পড়ুন: জানুয়ারির শেষে ঢাকার দুই সিটির ভোট

আজিজ আহমেদ বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরতের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সীমান্তে ড্রোন উড়ানো ও স্থল মাইন স্থাপন না করতেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি এ সফর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে আরো উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান।

উল্লেখ্য, বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সময় সাপেক্ষে বিষয়গুলো কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দেয় উভয়পক্ষ।

আলোচনার প্রথমেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গারা কেন মিয়ানমারে ফেরত যেতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে- তা তুলে ধরা হয়। এই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আশিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিকে খুব শীগগিরই সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ কর্তৃক বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পরিকল্পিত বর্ডার রোড নির্মাণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি সর্বাত্মক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেয়। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন এবং আইইডি (IED)-এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়।

বাংলাদেশের আকাশ সীমায় মিয়ানমার সামরিক হেলিকপ্টার এবং ড্রোন অনুপ্রবেশের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপেও তাদের ড্রোন পাঠানোর বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে এ বিষয়ে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়।

সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং সেই মাদক প্রবেশে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বুঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে সম্মত হয়।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবল কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনের জন্য সীমান্ত এলাকায় তাদের সৈন্য সমাবেশ ঘটায় বলে জানায়। তারা কখনো দুই দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফেরত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে মিয়ানমার: সেনাপ্রধান

আপডেট টাইম ১২:৪৫:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকার দ্রুত ফেরত নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করতে শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদেরও মিয়ানমার পাঠানো হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিমানবহরে নতুন চারটি ডায়মন্ড ডিএ ফরটি এনজি প্রশিক্ষণ বিমান সংযোজন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সেনাপ্রধান।

আরো পড়ুন: জানুয়ারির শেষে ঢাকার দুই সিটির ভোট

আজিজ আহমেদ বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে দেশটির সেনাপ্রধানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরতের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সীমান্তে ড্রোন উড়ানো ও স্থল মাইন স্থাপন না করতেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি এ সফর দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে আরো উন্নতিতে ভূমিকা রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সেনাপ্রধান।

উল্লেখ্য, বৈঠকে উভয়পক্ষের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সাতটি বিষয়ে আলোচনা হয় এবং সময় সাপেক্ষে বিষয়গুলো কার্যকরের প্রতিশ্রুতি দেয় উভয়পক্ষ।

আলোচনার প্রথমেই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গারা কেন মিয়ানমারে ফেরত যেতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে- তা তুলে ধরা হয়। এই লক্ষ্যে মিয়ানমার কর্তৃক বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আশিয়ান হিউম্যানিটারিয়ান ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম এবং রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিকে খুব শীগগিরই সেটেলমেন্ট এলাকা পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ কর্তৃক বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে পরিকল্পিত বর্ডার রোড নির্মাণে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিজিপি সর্বাত্মক সহযোগিতার নিশ্চয়তা দেয়। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থল মাইন এবং আইইডি (IED)-এর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়।

বাংলাদেশের আকাশ সীমায় মিয়ানমার সামরিক হেলিকপ্টার এবং ড্রোন অনুপ্রবেশের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। সেন্টমার্টিন দ্বীপেও তাদের ড্রোন পাঠানোর বিষয় তুলে ধরে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানো হলে এ বিষয়ে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে জানায়।

সীমান্ত এলাকার মিয়ানমারের অভ্যন্তরে মাদক কারখানার উপস্থিতি এবং সেই মাদক প্রবেশে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি জানানো হয়। মাদক পাচারের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে ভুল বুঝাবুঝি নিরসনে কাজ করতে সম্মত হয়।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী কেবল কাউন্টার ইনসার্জেন্সি অপারেশনের জন্য সীমান্ত এলাকায় তাদের সৈন্য সমাবেশ ঘটায় বলে জানায়। তারা কখনো দুই দেশের সীমানা অতিক্রম না করার বিষয়ে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে।