মাসুদ হাসান রিদম : রেলকে যুগোপযোগী উন্নয়নে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, রেলের মাধ্যমে মানুষকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়ার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। নতুন ইঞ্জিন পাওয়া গেলে অধিক সংখ্যায় বিভিন্ন রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
রেলওয়ের জন্য ৪০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কিনতে গতকাল সোমবার দুপুরে রেলভবনে যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রগ্রেস রেলের সঙ্গে চুক্তি সই শেষে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. শামসুজ্জামান এবং প্রগ্রেস রেলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক ওডনেল।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, নতুন ইঞ্জিন পাওয়া গেলে অধিক পরিমাণে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
রেলমন্ত্রী জানান, রেল খাতকে একটি উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন। নতুন কোচগুলোকে পয়ঃনিষ্কাশনের পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা করার জন্য এরই মধ্যে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেন,রেলওয়েতে জনবল সংকটে সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত জনবল নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী জানান,চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৪ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে ইঞ্জিনগুলো সরবরাহ করবে মেসার্স প্রগ্রেস রেএডিবির অর্থায়নে ইঞ্জিনগুলো কেনা হচ্ছে। বাংলাদেশি টাকায় চুক্তি মূল্য এক হাজার ১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৯৪টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টির অথনৈতিক মেয়াদ (২০ বছর হিসাবে) শেষ হয়ে গেছে। কাজেই দ্রুত এসব ইঞ্জিন প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন ইঞ্জিন পাওয়া খুবই প্রয়োজন।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মো. কাজী রফিকুল আলম এবং মেসার্স প্রগ্রেস রেলের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।