ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে বেলখাইন স্পোটিং ক্লাবের অলনাইট ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল সম্পন্ন বগুড়ায় চাঞ্চ্যল্যকর শিশু বন্ধনকে গলাকেটে হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন গজারিয়ায় দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম এর পক্ষে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ০৪ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। চট্টগ্রামে দুই চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে-২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ঘোষণা বিএমএর হকার আর যত্রতত্র আবর্জনা কমাতে অভিযানের ঘোষণা মেয়র রেজাউলের রামগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত। অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার রুটিন পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

রায়পুরে দু-গ্রুপের সংর্ঘষের জেরে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : আমজাদ হোসেন ।  কুয়েতে মানব পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের সমর্থক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয় ও বসতবাড়ি হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা । এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে তারা । গত- ১৪ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেলে রায়পুর উপজেলা পরিষদের সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়েছে । এ্যামপি পাপুলের সমর্থকদের হামলা ও মামলার ভয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে দাবী তাদের ।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খাসেরহাট এলাকার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের চিত্র । ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক সাইদুর রহমান, আওয়ামীলীগ কর্মী এমরান খলিফা ও আমিনুল ইসলাম বাবুলসহ কয়েকজনের সাথে কথা হয়, এ সময় তারা জানান, এ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচার মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তার বিচারের দাবী করার জের ধরে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় ও বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর ও লুটপাট করে। গত ১১ জুলাই রাতে এ হামলা ও ভাংচুরের নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একদল যুবক । এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন খলিফার বাড়িসহ বাজারের আশপাশের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের কয়েকটি বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় । এ হামলা ও ভাংচুর থেকে বাদ যায়নি নারী এবং শিশুও। এ ঘটনায় আলতাফ হোসেনসহ কয়েক শ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় । এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ । ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আসামীরা ।

ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামা আক্তার, তিনি আক্তার ও রেশমা বেগম, আবদুৃল আজিজ, সিদ্দিক খলিফা ও সেলিম খলিফা জানান, সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের সমর্থকদের হামলা-মামলা ও হুমকি-ধুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়রা । তাদের অভিযোগ, এমপি পাপুলের বিচার চাওয়ায় আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটায় । এ্যামপি পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচারে কুয়েতে গ্রেপ্তার থাকলেও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের ইন্ধনে এ হামলা ও ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা । এমপি দম্পতির বিপক্ষে কথা বললে নেমে আসে নানা হয়রানী ও নির্যাতন। টাকার বিনিময়ে এলাকায় লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের ।

এ দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র ইছমাইল হোসেন খোকন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জানান, এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার হলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ হচ্ছেনা। বিশেষ করে তার স্ত্রীও এমপি । এমপির প্রভাব বিস্তার করে দলীয় কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা ও ভাংুচর চালানো হচ্ছে। টাকা দিয়ে লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। গত কয়েকদিন ধরে এ নির্যাতন চলছে । আর বাড়িবাড়ি জ¦ালিয়ে দেয়ার হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের। এমপি পাপুলের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা। তবে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন ও সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

এদিকে ত্রিশ বছর আগে মারাতিয়া কুয়েতি গ্রুপ অব কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করেন শহীদ ইসলাম পাপুল। পরে নিজেই হয়ে ওঠেন সেই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। গত ৬জুন মানবপাচার অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতের মুশরেফ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের সিআইডি।

আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে রায়পুর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুগ্ন আহ্বায়ক রহুল আমিন খালিফা ও এমপি পাপুলের সমর্থক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় ।

উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টারকে কেন্দ্র করে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আ’লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মকান্ড চলছিলো । কয়েকবার সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ও পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলাও হয়েছে । মামলাগুলোও বর্তমানে চলমান । এ অবস্থায় আ’লীগ নেতা ওসমান খাঁ ও আলাউদ্দিন খাঁ আলতাফ মাষ্টারের সাথে মিমাংসা হয়ে যান, এবং, মামলা তুলে নেয়ার প্রক্রিয়াও করেছিল । এর জের ধরে ওইদিন রাতে রুহুল আমিন ও রাশেদ খলিফার নের্তৃত্বে ৭/৮ জন কর্মী আলতাফ মাষ্টারের কার্যালয়ের সামনে দেশীয় অস্রসস্ত্র দিয়ে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করে । এ সময় বাধা দেয়ায় আরো ১৫ জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত ও কার্যালয়, কয়েকটি বসতবাড়িসহ একটি পাইভেটকার ভাংচুর করে পালিয়ে যায় । এক পর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয় । তবে এ হামলা ও সংঘষের্র জন্য একে অপরকে দায়ী করে । তবে উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় দল থেকে বহিস্কৃত হন আলতাফ হোসেন । ওই সময় তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন ।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রাঙ্গুনিয়ায় নববর্ষ বৈশাখী উৎসবে জলকেলি ও বলি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে

রায়পুরে দু-গ্রুপের সংর্ঘষের জেরে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেট টাইম ০৮:১৬:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জুলাই ২০২০

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি : আমজাদ হোসেন ।  কুয়েতে মানব পাচারের মামলায় গ্রেপ্তার লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলের সমর্থক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয় ও বসতবাড়ি হামলা,ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা । এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে তারা । গত- ১৪ জুলাই) মঙ্গলবার বিকেলে রায়পুর উপজেলা পরিষদের সামনে এ কর্মসুচি পালন করা হয়েছে । এ্যামপি পাপুলের সমর্থকদের হামলা ও মামলার ভয়ে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে দাবী তাদের ।

মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার খাসেরহাট এলাকার ২নং উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয় ভাংচুরের চিত্র । ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহবায়ক সাইদুর রহমান, আওয়ামীলীগ কর্মী এমরান খলিফা ও আমিনুল ইসলাম বাবুলসহ কয়েকজনের সাথে কথা হয়, এ সময় তারা জানান, এ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচার মামলায় কুয়েতে গ্রেপ্তার রয়েছেন। তার বিচারের দাবী করার জের ধরে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয় ও বসতবাড়িতে হামলা ও ভাংচুর ও লুটপাট করে। গত ১১ জুলাই রাতে এ হামলা ও ভাংচুরের নেতৃত্বে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জনের একদল যুবক । এছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন খলিফার বাড়িসহ বাজারের আশপাশের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের কয়েকটি বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয় । এ হামলা ও ভাংচুর থেকে বাদ যায়নি নারী এবং শিশুও। এ ঘটনায় আলতাফ হোসেনসহ কয়েক শ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয় । এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ । ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন আসামীরা ।

ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামা আক্তার, তিনি আক্তার ও রেশমা বেগম, আবদুৃল আজিজ, সিদ্দিক খলিফা ও সেলিম খলিফা জানান, সংসদ সদস্য কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের সমর্থকদের হামলা-মামলা ও হুমকি-ধুমকির ভয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে স্থানীয়রা । তাদের অভিযোগ, এমপি পাপুলের বিচার চাওয়ায় আলতাফ হোসেনের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটায় । এ্যামপি পাপুল মানবপাচার ও অর্থপাচারে কুয়েতে গ্রেপ্তার থাকলেও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের ইন্ধনে এ হামলা ও ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা । এমপি দম্পতির বিপক্ষে কথা বললে নেমে আসে নানা হয়রানী ও নির্যাতন। টাকার বিনিময়ে এলাকায় লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতদের ।

এ দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক পৌর মেয়র ইছমাইল হোসেন খোকন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ জানান, এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে গ্রেপ্তার হলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ হচ্ছেনা। বিশেষ করে তার স্ত্রীও এমপি । এমপির প্রভাব বিস্তার করে দলীয় কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা ও ভাংুচর চালানো হচ্ছে। টাকা দিয়ে লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। গত কয়েকদিন ধরে এ নির্যাতন চলছে । আর বাড়িবাড়ি জ¦ালিয়ে দেয়ার হুমকি-ধুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের। এমপি পাপুলের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তারা। তবে অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন ও সংরক্ষিত আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। এ বিষয়ে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

এদিকে ত্রিশ বছর আগে মারাতিয়া কুয়েতি গ্রুপ অব কোম্পানিতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ শুরু করেন শহীদ ইসলাম পাপুল। পরে নিজেই হয়ে ওঠেন সেই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী। গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থন নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। গত ৬জুন মানবপাচার অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতের মুশরেফ শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সে দেশের সিআইডি।

আধিপত্য বিস্তার ও দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে রায়পুর চরবংশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ যুগ্ন আহ্বায়ক রহুল আমিন খালিফা ও এমপি পাপুলের সমর্থক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় ।

উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ মাষ্টারকে কেন্দ্র করে উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন আ’লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দলীয় কর্মকান্ড চলছিলো । কয়েকবার সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ও পাল্টাপাল্টি একাধিক মামলাও হয়েছে । মামলাগুলোও বর্তমানে চলমান । এ অবস্থায় আ’লীগ নেতা ওসমান খাঁ ও আলাউদ্দিন খাঁ আলতাফ মাষ্টারের সাথে মিমাংসা হয়ে যান, এবং, মামলা তুলে নেয়ার প্রক্রিয়াও করেছিল । এর জের ধরে ওইদিন রাতে রুহুল আমিন ও রাশেদ খলিফার নের্তৃত্বে ৭/৮ জন কর্মী আলতাফ মাষ্টারের কার্যালয়ের সামনে দেশীয় অস্রসস্ত্র দিয়ে ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করে । এ সময় বাধা দেয়ায় আরো ১৫ জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত ও কার্যালয়, কয়েকটি বসতবাড়িসহ একটি পাইভেটকার ভাংচুর করে পালিয়ে যায় । এক পর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয় । এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয় । তবে এ হামলা ও সংঘষের্র জন্য একে অপরকে দায়ী করে । তবে উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করায় দল থেকে বহিস্কৃত হন আলতাফ হোসেন । ওই সময় তিনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন ।