ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব । চন্দনাইশে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু ইষ্টার্ণ হাউজিংয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের উপর হামলা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কোরআন শরিফ অবমাননা করায় মানববন্ধন রাঙ্গুনিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনার চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিঘলিয়া উপজেলার প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। চট্টগ্রামে সাতকানিয়ায় গভীর রাতে কৃষি জমির মাটি কাটার দায়ে দুইজনকে কারাদণ্ড … নড়াইলে মসজিদ ইমামের স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার, ভাড়াটিয়া পলাতক চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ব্যাটারি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেছেন: প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা প্রচণ্ড দাবদাহে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের স্বস্তির উদ্যোগ।

রামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

রামগঞ্জ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মমিন উল্যা নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে চাপাতি, রামদা ও ছেনী দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে একই বাড়ির লোকজন। ঘটনায় মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক আহত বৃদ্ধ মমিন উল্যাহকে আশেপাশের লোকেরা উদ্ধার করে প্রথমে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকগন রক্তাক্ত ভিকটিমকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনাটি গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামের রহিমউদ্দিন ব্যাপারী বাড়ীর দরজায় ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মমিন উল্যার পুত্র সালাউদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এতে আসামী করা হয় একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদ্বয় দ্বীন ইসলাম ও নুর ইসলাম, এবং নুরুল ইসলামের পুত্র সুজন ও রহিমা বেগমসহ মোট চারজনকে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ীর মমিন উল্যাহর সাথে একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদের সঙ্গে জমি নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাত আটটার দিকে বৃদ্ধ মমিন উল্যাহ এশার নামাজ পড়ার জন্য একা মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদ্বয় দ্বীন ইসলাম ও নুর ইসলাম, এবং নুরুল ইসলামের পুত্র সুজন ও রহিমা বেগম চাপাতি, রামদা, ছেনী দিয়ে মমিন উল্যাহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। প্রতিপক্ষের হামলায় শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত মমিন উল্যাহকে আশে পাশের লোকজন উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এসময় হাসপাতালের উপস্থিত ডিউটি ডাক্তার গুরুতর আহত ভিকটিম মমিন উল্যাহকে জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগীর ছোট ছেলে সালাউদ্দিন আহম্মেদ এ প্রতিবেদককে বলেন আমাদের বাড়ীর দ্বীন ইসলাম, নরুল ইসলাম ও সুজন গংরা মসজিদে যাওয়ার পথে আমার বৃদ্ধ পিতাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে রামদা, চাপাতি ও ছেনী দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এতে করে আমার বৃদ্ধ পিতার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক জখম হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। আমার পিতার উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য দ্বীন ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক রাজীব কুমার দাসের নিকট ২৭ এপ্রিল সকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোন এ প্রতিবেদককে বলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নাই।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

–গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা এলাকায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শ্রী রুপেন দাশ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ।

রামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম

আপডেট টাইম ০৪:৫২:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

রামগঞ্জ প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মমিন উল্যা নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে চাপাতি, রামদা ও ছেনী দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে একই বাড়ির লোকজন। ঘটনায় মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক আহত বৃদ্ধ মমিন উল্যাহকে আশেপাশের লোকেরা উদ্ধার করে প্রথমে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকগন রক্তাক্ত ভিকটিমকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ঘটনাটি গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাত আটটার দিকে উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামের রহিমউদ্দিন ব্যাপারী বাড়ীর দরজায় ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মমিন উল্যার পুত্র সালাউদ্দিন আহম্মেদ বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এতে আসামী করা হয় একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদ্বয় দ্বীন ইসলাম ও নুর ইসলাম, এবং নুরুল ইসলামের পুত্র সুজন ও রহিমা বেগমসহ মোট চারজনকে।

মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের পশ্চিম শোশালিয়া গ্রামের রহিম উদ্দিন ব্যাপারী বাড়ীর মমিন উল্যাহর সাথে একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদের সঙ্গে জমি নিয়ে পূর্ব থেকে বিরোধ চলে আসছে। গত ২৩ এপ্রিল রোববার রাত আটটার দিকে বৃদ্ধ মমিন উল্যাহ এশার নামাজ পড়ার জন্য একা মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা একই বাড়ীর মৃত আবদুল জব্বারের পুত্রদ্বয় দ্বীন ইসলাম ও নুর ইসলাম, এবং নুরুল ইসলামের পুত্র সুজন ও রহিমা বেগম চাপাতি, রামদা, ছেনী দিয়ে মমিন উল্যাহকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। প্রতিপক্ষের হামলায় শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত মমিন উল্যাহকে আশে পাশের লোকজন উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এসময় হাসপাতালের উপস্থিত ডিউটি ডাক্তার গুরুতর আহত ভিকটিম মমিন উল্যাহকে জরুরি ভিত্তিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দেন।
ভুক্তভোগীর ছোট ছেলে সালাউদ্দিন আহম্মেদ এ প্রতিবেদককে বলেন আমাদের বাড়ীর দ্বীন ইসলাম, নরুল ইসলাম ও সুজন গংরা মসজিদে যাওয়ার পথে আমার বৃদ্ধ পিতাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে রামদা, চাপাতি ও ছেনী দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এতে করে আমার বৃদ্ধ পিতার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে মারাত্মক জখম হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। আমার পিতার উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য দ্বীন ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নাই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রামগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক রাজীব কুমার দাসের নিকট ২৭ এপ্রিল সকালে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোন এ প্রতিবেদককে বলেন, মামলার এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে। পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত আসামিদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নাই।