ঢাকা ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার। “কোলোরেক্টাল ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের আয়োজন করেছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা” বরিশালে পথ শিশুদের সহযোগিতায় কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। গজারিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান দুই প্রতিষ্ঠান কে অর্থদন্ড টেকপাড়া ও ইয়াকুব নগরের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্হদের মাঝে নগর অর্থ ও বস্ত্র বিতরণ বাস ও ফুটওভার ব্রিজ মুখোমুখি সংঘর্ষ

রাতের অন্ধকারে পুলিশের চাঁদাবাজি,ভিডিও করতে গিয়ে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা

জোবাইর বিন জিহাদী,চট্টগ্রামঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে রাতের আঁধারে দূর্ঘটনায় কবলিত যানবাহন থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছিল পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা।চাঁদাবাজির এই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে চাইলে দুই সাংবাদিককে হেনস্তা করে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা। এসময় মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া, গ্রেফতারের হুমকিসহ চরম দুর্ব্যবহার করে সাংবাদিকদের প্রতি। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগ দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করার সময় ভিডিও ধারণ করতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় জনতা ও যানবাহনের যাত্রীদের রোষানলে পড়ে ওই স্থান ত্যাগ করে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন, সময়ের নিউজ পত্রিকার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ফারহান সিদ্দিক ও একুশে পত্রিকার স্টাপ রিপোর্টার এম কে মনির।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাজী এক্সপ্রেস বাসের (ঢাকা মেট্রো-১১-১২-১৫) যাত্রীরা বলেন, রাত এগারোটায় চট্টগ্রাম থেকে ভোলা যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ড উপজেলার সামনে আমাদের বাসের চাকা নষ্ট হয়ে গেলে চালক বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করে দ্রুত চাকা পরিবর্তনের কাজ সারছিল। কিন্তুু হঠাৎ হাইওয়ে পুলিশের একটি গাড়ি উল্টো দিক থেকে এসে (১৪১২৯৫) বাসের সামনে থামে। হাইওয়ে পুলিশের ওই গাড়িতে একজন এসআইসহ ৫ জন পুলিশ সদস্য থাকলেও একজন কনস্টেবল এসে বাস চালককে কাগজপত্র দেখাতে বলে। বাস চালক চাকা পরিবর্তন স্থগিত করে কাগজপত্র দেখায়। এসময় কাগজপত্রে ত্রুটি পেলে র‌্যাকার ভাড়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা দাবি করে। চালক ১ হাজার টাকা দিতে চাইলে তাকে ধমক দিয়ে গাড়ির চাবি ও কাগজপত্র কেড়ে নেয়। একই কায়দায় একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাককে থামিয়ে টাকা দাবি করে হাইওয়ে পুলিশের ওই দলের সদস্যরা। ঘটনার একপর্যায়ে দুটি গাড়ির চালকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিল পুলিশ সদস্যরা। এ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে চাইলে একজন সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় দায়িত্বরত পুলিশ মাসুদ রানা। একপর্যায়ে সাংবাদিককে গলাধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে তারা এবং চরম দুর্ব্যবহার করে ও গ্রেফতারের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে সবাই হৈচৈ শুরু করে। পরে পুলিশ সদস্যরা গাড়ি চালিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক সময়ের নিউজ পত্রিকার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ফারহান সিদ্দিক বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত একটি বাস ও একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাক থেকে অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করছিল কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। নিয়মানুযায়ী যানবাহনের কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে মামলা দেয়ার কথা থাকলেও তারা টাকা করেই রফদফা করছিল।
এসময় টাকা লেনদেনের ভিডিও করতে চাইলে মাসুদ রানা নামের একজন পুলিশ সদস্য আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তার সাথে যোগ দেয় করিম, লোকমানসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও তারা আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়। আমার সহকর্মী আমাকে বাঁচাতে এলে তার সাথে খারাপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। পরে জনতার রোষানলে পড়ে স্থান ত্যাগ করে।

অপর ভুক্তভোগী একুশে পত্রিকার প্রতিবেদক এম কে মনির বলেন, সহকর্মী ফারহান সিদ্দিক যানবাহন চালকদের কাছ থেকে পুলিশের টাকা আদায়ের দৃশ্য ভিডিও করতে চাইলে তারা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। গলাধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। চরম দুর্ব্যবহার করে এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়। আমি সেখানে এসে সহকর্মীকে বাঁচাতে চাইলে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা বলেন, আপনারা কিসের সাংবাদিক? কোন পত্রিকার সাংবাদিক? ভিডিও করার সাহস দিলো কে?বেশি কথা বললে মোবাইল ভেঙে ফেলব। সংবাদকর্মীদের সাথে একজন পুলিশ সদস্যের এমন আচরণে আমরা মর্মাহত হলাম।

হাজী এক্সপ্রেস বাসের যাত্রী মোঃ জসিম বলেন, একজন পুলিশ সদস্য ২ হাজার দাবি করে। চাহিদামতো না দিলে গাড়ি থেকে নেমে আসেন মাসুদ রানা নামে আরেকজন। তিনিও ২ হাজার টাকা দাবি করেন। সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে গেলে মোবাইল কেড়ে নেয়, ধাক্কাধাক্কি করে। একপর্যায়ে আমরা যাত্রীরা মোবাইলে ভিডিও করতে চাইলে তারা সবাই নিজেদের পোশাকে থাকা নামের ফলক খুলে পকেটে নিয়ে নেয়।

বাস চালক সুজন বলেন, বাসের চাকা হয়ে গেলে সড়কের পাশে বাস ভর্তি যাত্রীদের অপেক্ষায় রেখে চাকা পরিবর্তন করছিলাম। এসময় হাইওয়ে পুলিশ এসে বলেন, কারা নাকি ৯৯৯ এ ফোন করেছে যে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট লেগেছে। অথচ কোন যানজটই ছিলোনা। পরে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলে। তাদের কথামতো কাগজপত্র দেখাই। এসময় গাড়ি ডাম্পিং করার হুমকি দিয়ে বলেন র‌্যাকার আসলে খরচ বাড়বে তাড়াতাড়ি করে ২ হাজার বের কর। আমি ১ হাজার টাকা দিতে চাইলে ধমক দিয়ে কাগজপত্র কেড়ে নেয়।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করে ড্রাম ট্রাক চালক বলেন, বালু নিয়ে যাওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশ আমাকে থামায়। কোন দায়িত্বশীল কেউ না এসে একজন কনস্টেবল গাড়িতে ওঠে পড়ে। পরে আমাকে টাকার ইঙ্গিত দেয়।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আমি অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং উপরমহলেও বিষয়টি অবহিত করেছি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত

রাতের অন্ধকারে পুলিশের চাঁদাবাজি,ভিডিও করতে গিয়ে দুই সাংবাদিকের উপর হামলা

আপডেট টাইম ০৯:৪০:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

জোবাইর বিন জিহাদী,চট্টগ্রামঃ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডে রাতের আঁধারে দূর্ঘটনায় কবলিত যানবাহন থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করছিল পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা।চাঁদাবাজির এই দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে চাইলে দুই সাংবাদিককে হেনস্তা করে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা। এসময় মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া, গ্রেফতারের হুমকিসহ চরম দুর্ব্যবহার করে সাংবাদিকদের প্রতি। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগ দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায় করার সময় ভিডিও ধারণ করতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় জনতা ও যানবাহনের যাত্রীদের রোষানলে পড়ে ওই স্থান ত্যাগ করে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন, সময়ের নিউজ পত্রিকার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ফারহান সিদ্দিক ও একুশে পত্রিকার স্টাপ রিপোর্টার এম কে মনির।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হাজী এক্সপ্রেস বাসের (ঢাকা মেট্রো-১১-১২-১৫) যাত্রীরা বলেন, রাত এগারোটায় চট্টগ্রাম থেকে ভোলা যাওয়ার পথে সীতাকুণ্ড উপজেলার সামনে আমাদের বাসের চাকা নষ্ট হয়ে গেলে চালক বাসটি সড়কের পাশে পার্ক করে দ্রুত চাকা পরিবর্তনের কাজ সারছিল। কিন্তুু হঠাৎ হাইওয়ে পুলিশের একটি গাড়ি উল্টো দিক থেকে এসে (১৪১২৯৫) বাসের সামনে থামে। হাইওয়ে পুলিশের ওই গাড়িতে একজন এসআইসহ ৫ জন পুলিশ সদস্য থাকলেও একজন কনস্টেবল এসে বাস চালককে কাগজপত্র দেখাতে বলে। বাস চালক চাকা পরিবর্তন স্থগিত করে কাগজপত্র দেখায়। এসময় কাগজপত্রে ত্রুটি পেলে র‌্যাকার ভাড়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা দাবি করে। চালক ১ হাজার টাকা দিতে চাইলে তাকে ধমক দিয়ে গাড়ির চাবি ও কাগজপত্র কেড়ে নেয়। একই কায়দায় একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাককে থামিয়ে টাকা দাবি করে হাইওয়ে পুলিশের ওই দলের সদস্যরা। ঘটনার একপর্যায়ে দুটি গাড়ির চালকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিল পুলিশ সদস্যরা। এ দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করতে চাইলে একজন সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় দায়িত্বরত পুলিশ মাসুদ রানা। একপর্যায়ে সাংবাদিককে গলাধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে তারা এবং চরম দুর্ব্যবহার করে ও গ্রেফতারের হুমকি দেয়। পরে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে সবাই হৈচৈ শুরু করে। পরে পুলিশ সদস্যরা গাড়ি চালিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক সময়ের নিউজ পত্রিকার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি ফারহান সিদ্দিক বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত একটি বাস ও একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাক থেকে অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করছিল কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। নিয়মানুযায়ী যানবাহনের কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে মামলা দেয়ার কথা থাকলেও তারা টাকা করেই রফদফা করছিল।
এসময় টাকা লেনদেনের ভিডিও করতে চাইলে মাসুদ রানা নামের একজন পুলিশ সদস্য আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় এবং আমাকে ধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। তার সাথে যোগ দেয় করিম, লোকমানসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও তারা আমার সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়। আমার সহকর্মী আমাকে বাঁচাতে এলে তার সাথে খারাপ ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। পরে জনতার রোষানলে পড়ে স্থান ত্যাগ করে।

অপর ভুক্তভোগী একুশে পত্রিকার প্রতিবেদক এম কে মনির বলেন, সহকর্মী ফারহান সিদ্দিক যানবাহন চালকদের কাছ থেকে পুলিশের টাকা আদায়ের দৃশ্য ভিডিও করতে চাইলে তারা তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। গলাধাক্কা দিয়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। চরম দুর্ব্যবহার করে এবং গ্রেফতারের হুমকি দেয়। আমি সেখানে এসে সহকর্মীকে বাঁচাতে চাইলে পুলিশ সদস্য মাসুদ রানা বলেন, আপনারা কিসের সাংবাদিক? কোন পত্রিকার সাংবাদিক? ভিডিও করার সাহস দিলো কে?বেশি কথা বললে মোবাইল ভেঙে ফেলব। সংবাদকর্মীদের সাথে একজন পুলিশ সদস্যের এমন আচরণে আমরা মর্মাহত হলাম।

হাজী এক্সপ্রেস বাসের যাত্রী মোঃ জসিম বলেন, একজন পুলিশ সদস্য ২ হাজার দাবি করে। চাহিদামতো না দিলে গাড়ি থেকে নেমে আসেন মাসুদ রানা নামে আরেকজন। তিনিও ২ হাজার টাকা দাবি করেন। সাংবাদিকরা তাদের ছবি তুলতে গেলে মোবাইল কেড়ে নেয়, ধাক্কাধাক্কি করে। একপর্যায়ে আমরা যাত্রীরা মোবাইলে ভিডিও করতে চাইলে তারা সবাই নিজেদের পোশাকে থাকা নামের ফলক খুলে পকেটে নিয়ে নেয়।

বাস চালক সুজন বলেন, বাসের চাকা হয়ে গেলে সড়কের পাশে বাস ভর্তি যাত্রীদের অপেক্ষায় রেখে চাকা পরিবর্তন করছিলাম। এসময় হাইওয়ে পুলিশ এসে বলেন, কারা নাকি ৯৯৯ এ ফোন করেছে যে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট লেগেছে। অথচ কোন যানজটই ছিলোনা। পরে গাড়ির কাগজপত্র দেখাতে বলে। তাদের কথামতো কাগজপত্র দেখাই। এসময় গাড়ি ডাম্পিং করার হুমকি দিয়ে বলেন র‌্যাকার আসলে খরচ বাড়বে তাড়াতাড়ি করে ২ হাজার বের কর। আমি ১ হাজার টাকা দিতে চাইলে ধমক দিয়ে কাগজপত্র কেড়ে নেয়।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করে ড্রাম ট্রাক চালক বলেন, বালু নিয়ে যাওয়ার পথে হাইওয়ে পুলিশ আমাকে থামায়। কোন দায়িত্বশীল কেউ না এসে একজন কনস্টেবল গাড়িতে ওঠে পড়ে। পরে আমাকে টাকার ইঙ্গিত দেয়।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিরা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, আমি অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং উপরমহলেও বিষয়টি অবহিত করেছি।