মাতৃভূমির খবর ডেস্ক: সড়ক দুর্ঘটনায় রাজধানীরর তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
আদালত থেকে বের হওয়ার পর কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, রুলের শুনানির জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কমিটি যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সে প্রতিবেদনের কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে- তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীব যে মারা গেছেন। তাতে তার কোনো দায় তারা পাননি। দ্বিতীয়ত. উভয় চালক অর্থাৎ বিআরটিসি ও স্বজন পরিহন দুই বাসের চালকদের সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স ছিল না। অর্থাৎ বড় গাড়ি চালানোর যে লাইসেন্স থাকার দরকার সেটি ছিল না। তাদের হালকা যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল।
প্রতিবেদনের আরেকটি বিষয় হচ্ছে- শমরিতা হাসপাতালকেও দায়ী করা হয়েছে। তারা দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে পারেনি। তাদের কিছু অবহেলা রয়েছে। এই কমিটি জরিমানার পাশাপাশি সামগ্রিক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা আনার জন্য কিছু সাধারণ পরামর্শ দিয়েছে প্রতিবেদনে। চূড়ান্ত রুল শুনানিতে এইসব বিষয় আসবে।
প্রসঙ্গত, সড়ক দুর্ঘটনায় তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত কমিটি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে চালকদের ট্রিপ ভিত্তিক গণপরিবহন চালানোর বিষয়টি বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মাসিক ভিত্তিতে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কমিটি ১৮ দফা সুপারিশ পেশ করেছে। গতকাল রোববার এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
গত ৩ এপ্রিল বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের বাসের চাপায় তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী রাজীব হাসানের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ৮ মে হাইকোর্ট এক আদেশে রাজীবের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন। পরে আপিল বিভাগ ওই আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্টকে দুর্ঘটনার দায় নিরূপণে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, সিভিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়।