ঢাকা ০১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার বগুড়ায় অবকাশ হোটেলে অবৈধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৯ জন খরিদ্দারকে দুই দিনের কারাদণ্ড দিলেন আদালত নানা বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে কিশোর কিশোরীর মৃত্যু চরফ্যাসনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৯।। দুমকিতে নবজাতক শিশুকে হসপিটালে রেখে পালিয়ে গেলো মা। গজারিয়ার বালুয়াকান্দীতে আমিরুল ইসলাম এর নির্বাচনী কর্মী সভা রাঙ্গুনিয়ায় দাওয়াতে তাবলীগের নিছবতে ওলামায়েকেরামের আলোচনা সভা চট্টগ্রামে উপজেলা নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গরমিল, ২ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল নিয়ামতপুরে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাড়াইপাড়া খাল খননের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ মেয়র রেজাউলের

রাজশাহী সিটি করর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডে, সহযোগীতার নামে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে ৮ নারী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনা পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তন অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের নগর ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ অসহায় জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার আর্থিক সহযোগিতার কার্ড বিতরণের চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডে এই অনিয়ম দুর্নীতির ব্যপক আলোচনা সমালোচনার খোব বয়ে চলছে জনমনে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল, দুর্নীতি গ্রস্হ ৮ জন নারী মাঠ কর্মী সহ কয়েকজন সহকারীর নাম।(১)মোছাঃ মোনোয়ারা বেগম(৪০)স্বামী,মোঃরেজাউল করিম, (২) মোছাঃনাজমা বেগম (৪২)স্বামী,মোঃমানিক হোসেন, (৩)মোছাঃবিপাশা বেগম(২৮) পিতা,মোঃকামাল হোসেন( ৪) মোসাঃ আখি খাতুন,পিতা,মোঃ রেজাউল করিম,(৫)মোসাঃকেয়া খাতুন,পিতা,আবুল বাসার, ও সহকারী মতি,মুক্তি, টুলির নাম ও যোগ সাজসে উঠে এসেছে। র্সব সাং ধরমপুর, চরকাজলা, বাধেঁরধার,মতিহার রাজশাহী।প্রতারনার সাথে আরও নাম জড়িত আছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। কারিতাস এনজিও অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এর সাথে জড়িত রয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা । কারিতাস এনজিও অফিসের কর্মকর্তার তথ্য মতে তিন বারে একেকজন ৫০০০ হাজার টাকা করে মোট ১৫০০০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। দুঃস্হ অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের নিজ বিকাশ নম্বরে এই টাকা পাবে। ইতি পূর্বে তিনবারে মোট ১৫০০০ টাকা করে সদস্য প্রতি দেওয়া হয়েছে ।

২৮ নং ওয়ার্ডে এই প্রকল্পের অফিসের তথ্য মতে মোট ৩৭৭ জন, সদস্য আর্থিক সহায়তার কার্ড পাবে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভিন্ন চিত্র ২৭১জন সদস্য উৎকোচ দিয়ে পান আর্থিক সহযোগিতা।
সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো দূনীতির চিত্র :— এই প্রকল্পের কার্ড বিতরণের আগে ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের কাছে থেকে নেয়া হয়েছে ২০০০থেকে ৩০০০ টাকা। আবার যখন ৫০০০ টাকা করে নিজ বিকাশে সদস্যদের একাউন্টে এসেছে তখনও নেয়া হয়েছে ১০০০ থেকে-২০০০ টাকা। ১ম ধাপে দূনীতি ৩৭৭× ২০০০= ৭৫৪০০০ টাকা। ২য় ধাপে দুর্নীতি ৩৭৭× ২০০০ = ৭৫৪০০০ টাকা। ৩য় ধাপে দুর্নীতি ৩৭৭× ২০০০= ৭৫৪০০০, ৪র্থ ধাপে দুর্নীতি ৩৭৭×২০০০=৭৫৪০০০ টাকা মোট- ৩০,১৬০০০(এিশ লক্ষ ষোল হাজার টাকা) দুর্নীতি করা প্রতারক চক্রটি পু্র্ব পরিকল্পনা করে বিতারণ করেছে এই প্রকল্পের সহায়তার কার্ড। একই পরিবারে ৫-৬ জন সদস্য হয়েছে, আত্মীয়করন। পাশাপাশি ৪০০০০ হাজার টাকা থেকে ৮০০০০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া সরকারী চাকুরিজীবী ব্যক্তি সদস্যদের নাম পাওয়া যায় ক্ষতি গ্রস্হ অসহায়দের তালিকায়। অল্প সংখ্যক ক্ষতি গ্রস্হ অসহায় ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে এই সহায়তা। যাদের কাছে কার্ড দেবার নামে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়েছে। তাদের কয়েকজন ব্যাক্তিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি দিচ্ছে এই নারী প্রতারক চক্রটি। কোন দুর্নীতি বাজ অপ শক্তির ক্ষমতায় এতোবড়ো দুর্নীতি করে। এই চক্রটির পেছনে কোন শক্তিশালী ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে সেটিও দেখার বিষয়। মানবতার সেবায় বিশ্বের দরবারে যার নামটি আসে প্রথমে, সেই প্রধানমন্ত্রী মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন কঠোর হস্তে দমন করছে দেশের দুর্নীতি বাজ অপরাধীদের, ঠিক তখনি মানুষ রুপি হায়েনার আবির্ভাব ঘটছে এই সমাজে।তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শিত সৈনিক দ্বারা এসকল দুর্নীতি বাজদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক এই চক্রটিকে।এই কথাগুলো ভুক্তভোগীরা বলতে গিয়ে চোখের জল ফেলে আফসোস করে।

ভুক্তভোগী হনুফা বলেন আমার কাছ থেকে সহয়তার কার্ড বাবদ ৭০০০(সাত হাজার) টাকা নিয়েছে, সে টাকা আমি মানুষের কাছ থেকে সুদে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়েছি।সে টাকার আমি এখন পর্যন্ত সুদ টানছি।মূর্খ সূর্খ মানুষ বলে জোর পূর্বক টাকা নিয়েছে।টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্ন মামলা-হামলার ভয় দেখায়।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আরেক ভুক্তভোগী পাপিয়া বলেন আমার কাছ থেকেও ৮০০০(আট হাজার)টাকা নিয়েছে।সেই টাকা আমি আমার একটা ছাগল ছিলো বিক্রি করে, মনোয়ারাকে দিয়েছি।জনো নেত্রী শেখ হাসিনা মায়ের কাছে আমাদের সকলের আকুল আবেদন সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই এবং আমাদের ন্যায্য টাকাগুলি আমাদের কে ফিরিয়ে দিক।ভুক্তভোগী জেসমিন বলেন আমার কাছ থেকে কার্ড বাবদ ৫০০০(পাঁচ হাজার)টাকা নিয়েছে।এই প্রতারকদের শাস্তি চাই।এবং আমার হালাল টাকা ফেরত চাই।

হাজরা নামে এক ভুক্তভোগী বলেন আমার মোবাইলে তিন বার টাকা এসেছে মনোয়ারার বাসায় মোবাইল নিয়ে গেছি ৪০০০ হাজার টাকা করে আমাকে দিয়েছে তারা বলেন এটাই নিয়ম তাই জানি। ভানু নামে আর এক ভুক্তভোগী বলেন আমার পরিবারে দুইজন সদস্য দুই টি নাম আমরা বিকাশে তিন বার টাকা পেয়েছি, তিন বারে ৬ হাজার টাকা চেয়েছে, আমার চোখের চিকিৎসা করব বলে ৪ হাজার টাকা দিয়েছি,আমাদের ২ হাজার টাকা ছাড় দিয়েছে। ভুক্তভোগী আরও বলেন ৩ হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম কিন্ত মনোয়ারা ও তার মেয়ে আঁখি বাসায় বিকাশের দোকান খুলেছে, তারা ভালো আমাকে ছাড় দিয়েছে।রোজিনা নামে আর এক ভুক্তভোগী বলেন– এই প্রকল্পের কার্ড দেওয়ার আগে আমার কাছে ২ হাজার টাকা নিয়েছে আরও বলেন– আগে দিলে দুই হাজার টাকা। পাওয়ার পরে দিলে তিন বারে ১০০০ করে তিন হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম তাই আগেই দুই হাজার দিয়েছি। এক হাজার ছাড় পেয়েছি।

এ বিষয়ে প্রতারক চক্রের মোনোয়ারা,নাজমা,বিপাশাদের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমরাএ ব্যপারে কিছুই জানিনা,আমরা সিডিসির সমিতি করি।এই প্রোগ্রামের সিটে যাদের নাম আছে তাদেরকে ধরেন।

২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে,এবং দুর্ণীতি প্রমাণিত যদি হয় তাহলে অবশ্যই টাকা ফেরত দেয়া হবে এবংআইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সংরক্ষিত আসন জোন-৯ এর মহিলা কাউন্সিলর লাইলী বেগম বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা তবে কারিতাসের এক লোকের সাথে মনোয়ারা,নাজমা,বিপাশা,কেয়া সহ এলাকায় কারিতাস এর এই সহায়তার কার্ড বিতরণ করেছেন।এবং এলাকার লোকজন আমাকে ধরে বলেছে, যে তারা মানুষের কাছ থেকে কার্ড দিয়ে টাকা নিয়েছে।এবং জনস্বার্থে এলাকার একজন সমাজ সেবক আলমগীর হোসেন লিখিত অভিযোগও আমাকে দিয়েছে।

জনস্বার্থে এলাকার একজন সমাজ সেবক আলমগীর হোসেন,২৮নং ওযার্ডের সম্মানিত দুই জন কাউন্সিলর আসরাফুল হাসান বাচ্চু,এবং লাইলী বেগমকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেননি।

কারিতাস এনজিওর দায়িত্বরত কর্মকর্তা(সুপার ভাইজারও সদস্য সচিব,GIZ-BMZ,Project) মার্টিন সরেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, যে মাঠকর্মীরা টাকা নিয়েছে তারা আমাদের কর্মী নয়, পরে সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রশ্নে অবশ্য স্বীকার করেন যে তারা তাদেরই কর্মী। তাহলে কি নিভ্রিতে নিরবে কাদবে বিচারের বানি?।

উক্ত বিষয়টির ব্যাপারে ২৮নং পূর্ব ওযার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকসেদ আলী “দৈনিক মাতৃভূমির খবরের প্রতিনিধীকে বলেন,বিষয়টি মহিলারা করেছে।তাই এই বিষয়টি নিয়ে আর লিখালেখি করার দরকার নাই।কিছু উতকোচ নিয়ে চেপে যান।তিনি এলাকার ভুক্তভোগী দুস্ত অসহায়দেরকে দুরে সরিয়ে ব্যক্তিও প্রতারক চক্রের পক্ষে অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটিে কর্পোরেশনের সিডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজিজ আহাম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়গুলি মেয়র মহোদয়কে জানাতে নিষেধ করেন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

রাজশাহী সিটি করর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডে, সহযোগীতার নামে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে ৮ নারী প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে

আপডেট টাইম ০৪:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনা পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তন অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের নগর ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুঃস্থ অসহায় জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তার আর্থিক সহযোগিতার কার্ড বিতরণের চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডে এই অনিয়ম দুর্নীতির ব্যপক আলোচনা সমালোচনার খোব বয়ে চলছে জনমনে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল, দুর্নীতি গ্রস্হ ৮ জন নারী মাঠ কর্মী সহ কয়েকজন সহকারীর নাম।(১)মোছাঃ মোনোয়ারা বেগম(৪০)স্বামী,মোঃরেজাউল করিম, (২) মোছাঃনাজমা বেগম (৪২)স্বামী,মোঃমানিক হোসেন, (৩)মোছাঃবিপাশা বেগম(২৮) পিতা,মোঃকামাল হোসেন( ৪) মোসাঃ আখি খাতুন,পিতা,মোঃ রেজাউল করিম,(৫)মোসাঃকেয়া খাতুন,পিতা,আবুল বাসার, ও সহকারী মতি,মুক্তি, টুলির নাম ও যোগ সাজসে উঠে এসেছে। র্সব সাং ধরমপুর, চরকাজলা, বাধেঁরধার,মতিহার রাজশাহী।প্রতারনার সাথে আরও নাম জড়িত আছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা। কারিতাস এনজিও অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা এর সাথে জড়িত রয়েছে বলেও জানান ভুক্তভোগীরা । কারিতাস এনজিও অফিসের কর্মকর্তার তথ্য মতে তিন বারে একেকজন ৫০০০ হাজার টাকা করে মোট ১৫০০০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। দুঃস্হ অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের নিজ বিকাশ নম্বরে এই টাকা পাবে। ইতি পূর্বে তিনবারে মোট ১৫০০০ টাকা করে সদস্য প্রতি দেওয়া হয়েছে ।

২৮ নং ওয়ার্ডে এই প্রকল্পের অফিসের তথ্য মতে মোট ৩৭৭ জন, সদস্য আর্থিক সহায়তার কার্ড পাবে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ভিন্ন চিত্র ২৭১জন সদস্য উৎকোচ দিয়ে পান আর্থিক সহযোগিতা।
সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো দূনীতির চিত্র :— এই প্রকল্পের কার্ড বিতরণের আগে ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের কাছে থেকে নেয়া হয়েছে ২০০০থেকে ৩০০০ টাকা। আবার যখন ৫০০০ টাকা করে নিজ বিকাশে সদস্যদের একাউন্টে এসেছে তখনও নেয়া হয়েছে ১০০০ থেকে-২০০০ টাকা। ১ম ধাপে দূনীতি ৩৭৭× ২০০০= ৭৫৪০০০ টাকা। ২য় ধাপে দুর্নীতি ৩৭৭× ২০০০ = ৭৫৪০০০ টাকা। ৩য় ধাপে দুর্নীতি ৩৭৭× ২০০০= ৭৫৪০০০, ৪র্থ ধাপে দুর্নীতি ৩৭৭×২০০০=৭৫৪০০০ টাকা মোট- ৩০,১৬০০০(এিশ লক্ষ ষোল হাজার টাকা) দুর্নীতি করা প্রতারক চক্রটি পু্র্ব পরিকল্পনা করে বিতারণ করেছে এই প্রকল্পের সহায়তার কার্ড। একই পরিবারে ৫-৬ জন সদস্য হয়েছে, আত্মীয়করন। পাশাপাশি ৪০০০০ হাজার টাকা থেকে ৮০০০০ হাজার টাকা বেতন পাওয়া সরকারী চাকুরিজীবী ব্যক্তি সদস্যদের নাম পাওয়া যায় ক্ষতি গ্রস্হ অসহায়দের তালিকায়। অল্প সংখ্যক ক্ষতি গ্রস্হ অসহায় ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে এই সহায়তা। যাদের কাছে কার্ড দেবার নামে ছবি ও জাতীয় পরিচয় পত্র নিয়েছে। তাদের কয়েকজন ব্যাক্তিকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি হুমকি দিচ্ছে এই নারী প্রতারক চক্রটি। কোন দুর্নীতি বাজ অপ শক্তির ক্ষমতায় এতোবড়ো দুর্নীতি করে। এই চক্রটির পেছনে কোন শক্তিশালী ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে সেটিও দেখার বিষয়। মানবতার সেবায় বিশ্বের দরবারে যার নামটি আসে প্রথমে, সেই প্রধানমন্ত্রী মানস কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন কঠোর হস্তে দমন করছে দেশের দুর্নীতি বাজ অপরাধীদের, ঠিক তখনি মানুষ রুপি হায়েনার আবির্ভাব ঘটছে এই সমাজে।তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শিত সৈনিক দ্বারা এসকল দুর্নীতি বাজদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক এই চক্রটিকে।এই কথাগুলো ভুক্তভোগীরা বলতে গিয়ে চোখের জল ফেলে আফসোস করে।

ভুক্তভোগী হনুফা বলেন আমার কাছ থেকে সহয়তার কার্ড বাবদ ৭০০০(সাত হাজার) টাকা নিয়েছে, সে টাকা আমি মানুষের কাছ থেকে সুদে নিয়ে এসে তাদেরকে দিয়েছি।সে টাকার আমি এখন পর্যন্ত সুদ টানছি।মূর্খ সূর্খ মানুষ বলে জোর পূর্বক টাকা নিয়েছে।টাকা দিতে অস্বীকার করলে বিভিন্ন মামলা-হামলার ভয় দেখায়।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। আরেক ভুক্তভোগী পাপিয়া বলেন আমার কাছ থেকেও ৮০০০(আট হাজার)টাকা নিয়েছে।সেই টাকা আমি আমার একটা ছাগল ছিলো বিক্রি করে, মনোয়ারাকে দিয়েছি।জনো নেত্রী শেখ হাসিনা মায়ের কাছে আমাদের সকলের আকুল আবেদন সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই এবং আমাদের ন্যায্য টাকাগুলি আমাদের কে ফিরিয়ে দিক।ভুক্তভোগী জেসমিন বলেন আমার কাছ থেকে কার্ড বাবদ ৫০০০(পাঁচ হাজার)টাকা নিয়েছে।এই প্রতারকদের শাস্তি চাই।এবং আমার হালাল টাকা ফেরত চাই।

হাজরা নামে এক ভুক্তভোগী বলেন আমার মোবাইলে তিন বার টাকা এসেছে মনোয়ারার বাসায় মোবাইল নিয়ে গেছি ৪০০০ হাজার টাকা করে আমাকে দিয়েছে তারা বলেন এটাই নিয়ম তাই জানি। ভানু নামে আর এক ভুক্তভোগী বলেন আমার পরিবারে দুইজন সদস্য দুই টি নাম আমরা বিকাশে তিন বার টাকা পেয়েছি, তিন বারে ৬ হাজার টাকা চেয়েছে, আমার চোখের চিকিৎসা করব বলে ৪ হাজার টাকা দিয়েছি,আমাদের ২ হাজার টাকা ছাড় দিয়েছে। ভুক্তভোগী আরও বলেন ৩ হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম কিন্ত মনোয়ারা ও তার মেয়ে আঁখি বাসায় বিকাশের দোকান খুলেছে, তারা ভালো আমাকে ছাড় দিয়েছে।রোজিনা নামে আর এক ভুক্তভোগী বলেন– এই প্রকল্পের কার্ড দেওয়ার আগে আমার কাছে ২ হাজার টাকা নিয়েছে আরও বলেন– আগে দিলে দুই হাজার টাকা। পাওয়ার পরে দিলে তিন বারে ১০০০ করে তিন হাজার টাকা দেওয়ার নিয়ম তাই আগেই দুই হাজার দিয়েছি। এক হাজার ছাড় পেয়েছি।

এ বিষয়ে প্রতারক চক্রের মোনোয়ারা,নাজমা,বিপাশাদের কাছে জানতে চাইলে বলেন আমরাএ ব্যপারে কিছুই জানিনা,আমরা সিডিসির সমিতি করি।এই প্রোগ্রামের সিটে যাদের নাম আছে তাদেরকে ধরেন।

২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হাসান বাচ্চু এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে,এবং দুর্ণীতি প্রমাণিত যদি হয় তাহলে অবশ্যই টাকা ফেরত দেয়া হবে এবংআইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে সংরক্ষিত আসন জোন-৯ এর মহিলা কাউন্সিলর লাইলী বেগম বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা তবে কারিতাসের এক লোকের সাথে মনোয়ারা,নাজমা,বিপাশা,কেয়া সহ এলাকায় কারিতাস এর এই সহায়তার কার্ড বিতরণ করেছেন।এবং এলাকার লোকজন আমাকে ধরে বলেছে, যে তারা মানুষের কাছ থেকে কার্ড দিয়ে টাকা নিয়েছে।এবং জনস্বার্থে এলাকার একজন সমাজ সেবক আলমগীর হোসেন লিখিত অভিযোগও আমাকে দিয়েছে।

জনস্বার্থে এলাকার একজন সমাজ সেবক আলমগীর হোসেন,২৮নং ওযার্ডের সম্মানিত দুই জন কাউন্সিলর আসরাফুল হাসান বাচ্চু,এবং লাইলী বেগমকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনো পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেননি।

কারিতাস এনজিওর দায়িত্বরত কর্মকর্তা(সুপার ভাইজারও সদস্য সচিব,GIZ-BMZ,Project) মার্টিন সরেন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, যে মাঠকর্মীরা টাকা নিয়েছে তারা আমাদের কর্মী নয়, পরে সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রশ্নে অবশ্য স্বীকার করেন যে তারা তাদেরই কর্মী। তাহলে কি নিভ্রিতে নিরবে কাদবে বিচারের বানি?।

উক্ত বিষয়টির ব্যাপারে ২৮নং পূর্ব ওযার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকসেদ আলী “দৈনিক মাতৃভূমির খবরের প্রতিনিধীকে বলেন,বিষয়টি মহিলারা করেছে।তাই এই বিষয়টি নিয়ে আর লিখালেখি করার দরকার নাই।কিছু উতকোচ নিয়ে চেপে যান।তিনি এলাকার ভুক্তভোগী দুস্ত অসহায়দেরকে দুরে সরিয়ে ব্যক্তিও প্রতারক চক্রের পক্ষে অবস্থান নেন।

এ ব্যাপারে রাজশাহী সিটিে কর্পোরেশনের সিডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজিজ আহাম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়গুলি মেয়র মহোদয়কে জানাতে নিষেধ করেন।