রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীতে ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
নির্বাচনকে ঘিরে পবা উপজেলার বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারনার অফিস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
সরোজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত্রী আনুমানিক ১১টা ৫০ মিনিটে উপজেলার ৮নং বড়গাছী ইউনিয়নের সুর্যপুর, ইটাঘাটি,মথুরায় অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের প্রচরণার অফিস ভাংচুর করে ও পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এঘটনায় পবা থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যন প্রার্থী মোঃ সোহেল রানা। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৮নং বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সোহেল রানা আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণা চালালে প্রতিদ্বন্দী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সাগর ও তার পিতা মোঃ এমদাদুল হক এবং তাদের সমর্থক কর্মীরা আমার নির্বাচনী প্রচার, পোস্টার ছিড়ে ফেলেছেন এবং আমার ভোটার ও কর্মীদের ভোট না করার জন্য ভয়-ভীতি প্রদান করছেন। ইতিমধ্যে তারা আমার ৮নং বড়গাছী ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ভেড়াপোড়া বাজার ও ভালাম উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১নং ওয়ার্ডের তালগাছী হাটের ভোটের পোস্টার ছিড়ে পুড়িয়ে ফেলেছেন। এছাড়াও তারা আমার ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না আসার জন্য হুমকী দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রীতে পুনঃরায় আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন সাগর, হাসিব ও আসাদুলের নেতৃত্বে ইটাঘাটি, মথুরা ও সূর্যপুর মোড়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর, পোস্টার ছিড়ে, অস্ত্রসস্ত্র (পিস্তল, চাইনিজ কুড়াল) নিয়ে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেছে। তারা আমার নির্বাচনী অফিসের পোস্টারের উপর তাদের পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন।
এভাবে তারা আমার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় বাঁধা দিতে থাকলে নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোট প্রদান করতে পারবেন না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে তিনি যেন সমর্থকদের নিয়ে নিরাপদে ভোটের প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যেতে পারি এবং ভোটারগণ নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন এই প্রার্থী।
এবিষয়ে ইউএনও এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনির বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য বড়গাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার ৭৭৫ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১টি। চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী মটর সাইকেল প্রতীকে মনজুর মোর্শেদ মুক্তি, ঘোড়া মার্কায় আবজাল হোসেন সুমন।