ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল। গজারিয়া বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে সিকদার পরিবারে আমিরুল ইসলাম এর সর্মথনে আলোচনা সভা ও ইফতার দোয়া মাহফিল চসিকের ৬ ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮ তম সাধারণ সভায় মশা কমাতে কার্যক্রম বাড়াবে : মেয়র রেজাউল “বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুর শ্রমিকদের মানববন্ধন” ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবে ইফতার মাহফিল বরিশাল চকবাজার এবায়দুল্লাহ মসজিদে অগ্নিকান্ড। টাঙ্গাইলে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার পাঠক ফোরাম গঠিত চট্টগ্রাম পাহাড়তলীতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে জালনোটসহ প্রতারকচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ রমজান মাসের পবিত্রতা লঙ্ঘন করছে নারায়ণগঞ্জ চিশতিয়া বাউল সমিত

রাজশাহীর বাজারে বাড়ছে নকল ঔষুধের আগ্রাসনতা

সানোয়ার আরিফ (রাজশাহী):-
রাজশাহীর বাজারে নকল ওষুধের আগ্রাসন বাড়ছে। নাম সর্বস্ব বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির লোগো আবার কখনো নামিদামি কোম্পানির মোড়কজাত করে নকল ঔষুধ বাজারজাত করা হচ্ছে। বেশি লাভের নেশায় কম দামে এসব ঔষুধ কিনে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে অসাধু ফার্মেসি মালিকরা।
এই ঔষুধ ব্যবসায়ীরা পুষছেন দালালও। হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কখনো মানহীন ঔষুধ কিংবা নকল ঔষুধ ধরিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন কৌশলে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। দুই বছর থেকে নগরীর একটি বাসায় নকল ঔষুধ প্রস্তুত করে আসছিলো আনিস নামের এক ব্যক্তি। সেই বাক্তির কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার নকল ঔষুধ সহ পুলিশ হাতে -নাতে গ্রেফতার করে আনিসকে।

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীর বাজারে কোটি কোটি টাকা মূল্যের নকল ঔষুধ আছে। অথচ রাজশাহী ঔষুধ প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনিই বাজার থেকে ঔষুধের স্যাম্পল সংগ্রহের কথা জানিয়েছে। এক্ষেত্রে গত দুই বছরে তারা নকল ঔষুধের কারখানার সন্ধান বা ফার্মেসিতে নকল ঔষুধ বিক্রয়কারী কোনো ব্যবসায়ীর সন্ধান পেয়েছেন কী ? এ বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এসময় জনবল সংকট ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার অজুহাত তুলে ধরেন, রাজশাহী জেলা ঔষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মাখনুম তাবাসসুম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে , রাজশাহীর বাজারে নকল ঔষুধ এটা নতুন কিছু বিষয় নই। তবে সম্প্রতি করোনাকালীন এটা বেড়েছে। আর এর সঙ্গে পুরো একটি চক্র জড়িয়ে আছে। উৎপাদক থেকে শুরু করে মেডিকেলের দালালসহ অসাধু ফার্মেসি ব্যবসায়ী চক্র এর সঙ্গে জড়িত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় জেনেশুনেই এসব ঔষুধ কিনছেন। এক্ষেত্রে মাঝে মাঝে প্রশাসনিক কিছু অভিযান চললেও তা খুব একটা ফলপ্রস্যূ হয় না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এসব নকল ঔষুধের সিংহভাগই বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। আর এসব ঔষুধ সুকৌশলে সংরক্ষণ করা হয়। আর এটার সঙ্গে কোনো সাধারণ ঔষুধ ব্যবসায়ীরা জড়িত নয়। প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত অসাধু চক্র কাজ করছে। আর এ কারণেই পুলিশি অভিযানে কেউ কেউ ধরা পড়লেও দ্রুতই বেরিয়ে এসে গ্রাহক প্রতারণার কাজে আবারও লিপ্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মেসির মালিক জানান , নকল ঔষুধের দাম সাধারণত কম হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় এটা ক্রয় করে। আর শহরে কিছু চিহ্নিত ফার্মেসিও আছে। যেখানে অভিযানও চলে। প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত। নকল ও নিম্নমানের ঔষুধ গোপনভাবেই রাখা হয়। যেটা সচরাচর কোনো স্পেশালিস্ট ছাড়া ধরতে পারবে না। তবে তার দাবি এটা নকল হলেও ক্ষতিকর নয়। আবার উপকারীও নয়।

আর ভিটামিন জাতীয় ঔষুধই বেশি নকল হয় থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকল যে কোনো কিছুই ক্ষতিকর। আর যদি তা ,জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ হয় তবে তা রোগির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে,ঔষুধের বাজারেও নকলের দৌরাত্ম বাড়ছে। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অভিযানও পরিচালনা করছে। কিন্তু এর নিয়মিত তদারকির দায়িত্বে থাকা ঔষুধ প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

রাজশাহীতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের মতো ফার্মেসি রয়েছে। এই অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এটার কার্যকর মনিটর সম্ভব নয়। নকলের আগ্রাসনের চিত্র শহরে এমন হলে প্রান্তিক এলাকাগুলোর অবস্থা আরো নাজুক হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সুতরাং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারকে এখনিই পদক্ষেপ নিতে হবে। ফার্মেসিগুলোতেও নজরদারি বাড়াতে হবে। আর করোনাকালীন এ সময়ে যারা সাধারণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে তারা যতই শক্তিশালী হোক তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির রাজশাহীর যুগ্ম আহ্বায়ক ড. ফয়সাল চৌধুরী বলেন , বাজারে নকল ঔষুধের দৌরাত্ম আছে। এক্ষেত্রে গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীযুক্ত আছে। তারা অতিমুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব ঔষুধ বিক্রি করছে। তবে তারা সচেষ্ট আছেন। নানা সীমাবদ্ধতাও আছে তাদের।তবে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি প্রশাসনের অভিযানগুলোতেও সহযোগিতা করে থাকেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের নানা সীমাবন্ধতার চিত্রই তুলে ধরছে রাজশাহী ঔষুধ প্রশাসন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে ২০ টি অ্যালোপ্যাথিক ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আছে। নিবন্ধিত অ্যালোপ্যাথিক ও ভ্যাটেরিনারি ফার্মেসি রয়েছে ৩ হাজার ২৩৪ টি, হোমিওপ্যাথি র্ফামেসি ১১৬ টি, আয়ুর্বেদ ২২ টি ও ইউনানী ২২ টি। এসব ফার্মেসির লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নসহ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের। কিন্তু জেলা ঔষুধ প্রশাসনে ১ জন সহকারী পরিচালক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছে। এইসব স্যাম্পল নিজেরা টেস্ট করার পাশাপাশি ঢাকায় পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, ঔষুধের নকল রোধে ব্যবসায়ীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা তারা সচেতন না হলে এটা রোধ করা কঠিন হবে। দেখা যাচ্ছে তারা হয়তো কোনো জায়গায় অভিযানে যাচ্ছেন,একটি দোকানে ঢুকতেই পাশের দোকানগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে অভিযানগুলোও তেমন কার্যকর হচ্ছে না। তারা ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জদি এই নকল ঔষুধ কারবার বন্ধ না হয় তাহলে মানব সমাজ ধংস হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

রোজা মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকশিত করে-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল।

রাজশাহীর বাজারে বাড়ছে নকল ঔষুধের আগ্রাসনতা

আপডেট টাইম ০৮:৩২:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২

সানোয়ার আরিফ (রাজশাহী):-
রাজশাহীর বাজারে নকল ওষুধের আগ্রাসন বাড়ছে। নাম সর্বস্ব বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানির লোগো আবার কখনো নামিদামি কোম্পানির মোড়কজাত করে নকল ঔষুধ বাজারজাত করা হচ্ছে। বেশি লাভের নেশায় কম দামে এসব ঔষুধ কিনে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছে দিচ্ছে অসাধু ফার্মেসি মালিকরা।
এই ঔষুধ ব্যবসায়ীরা পুষছেন দালালও। হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কখনো মানহীন ঔষুধ কিংবা নকল ঔষুধ ধরিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন কৌশলে ক্রেতাদের ঠকানো হচ্ছে। দুই বছর থেকে নগরীর একটি বাসায় নকল ঔষুধ প্রস্তুত করে আসছিলো আনিস নামের এক ব্যক্তি। সেই বাক্তির কাছ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার নকল ঔষুধ সহ পুলিশ হাতে -নাতে গ্রেফতার করে আনিসকে।

তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীর বাজারে কোটি কোটি টাকা মূল্যের নকল ঔষুধ আছে। অথচ রাজশাহী ঔষুধ প্রশাসন প্রায় প্রতিদিনিই বাজার থেকে ঔষুধের স্যাম্পল সংগ্রহের কথা জানিয়েছে। এক্ষেত্রে গত দুই বছরে তারা নকল ঔষুধের কারখানার সন্ধান বা ফার্মেসিতে নকল ঔষুধ বিক্রয়কারী কোনো ব্যবসায়ীর সন্ধান পেয়েছেন কী ? এ বিষয়ে তারা কোনো তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এসময় জনবল সংকট ও বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার অজুহাত তুলে ধরেন, রাজশাহী জেলা ঔষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক মাখনুম তাবাসসুম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে , রাজশাহীর বাজারে নকল ঔষুধ এটা নতুন কিছু বিষয় নই। তবে সম্প্রতি করোনাকালীন এটা বেড়েছে। আর এর সঙ্গে পুরো একটি চক্র জড়িয়ে আছে। উৎপাদক থেকে শুরু করে মেডিকেলের দালালসহ অসাধু ফার্মেসি ব্যবসায়ী চক্র এর সঙ্গে জড়িত। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় জেনেশুনেই এসব ঔষুধ কিনছেন। এক্ষেত্রে মাঝে মাঝে প্রশাসনিক কিছু অভিযান চললেও তা খুব একটা ফলপ্রস্যূ হয় না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এসব নকল ঔষুধের সিংহভাগই বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই। আর এসব ঔষুধ সুকৌশলে সংরক্ষণ করা হয়। আর এটার সঙ্গে কোনো সাধারণ ঔষুধ ব্যবসায়ীরা জড়িত নয়। প্রভাবশালীদের ছত্র-ছায়ায় উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যায়ে পৌঁছানো পর্যন্ত অসাধু চক্র কাজ করছে। আর এ কারণেই পুলিশি অভিযানে কেউ কেউ ধরা পড়লেও দ্রুতই বেরিয়ে এসে গ্রাহক প্রতারণার কাজে আবারও লিপ্ত হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ফার্মেসির মালিক জানান , নকল ঔষুধের দাম সাধারণত কম হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় এটা ক্রয় করে। আর শহরে কিছু চিহ্নিত ফার্মেসিও আছে। যেখানে অভিযানও চলে। প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত। নকল ও নিম্নমানের ঔষুধ গোপনভাবেই রাখা হয়। যেটা সচরাচর কোনো স্পেশালিস্ট ছাড়া ধরতে পারবে না। তবে তার দাবি এটা নকল হলেও ক্ষতিকর নয়। আবার উপকারীও নয়।

আর ভিটামিন জাতীয় ঔষুধই বেশি নকল হয় থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নকল যে কোনো কিছুই ক্ষতিকর। আর যদি তা ,জীবন রক্ষাকারী ঔষুধ হয় তবে তা রোগির জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে,ঔষুধের বাজারেও নকলের দৌরাত্ম বাড়ছে। এক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী অভিযানও পরিচালনা করছে। কিন্তু এর নিয়মিত তদারকির দায়িত্বে থাকা ঔষুধ প্রশাসনকে আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

রাজশাহীতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের মতো ফার্মেসি রয়েছে। এই অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে এটার কার্যকর মনিটর সম্ভব নয়। নকলের আগ্রাসনের চিত্র শহরে এমন হলে প্রান্তিক এলাকাগুলোর অবস্থা আরো নাজুক হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সুতরাং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারকে এখনিই পদক্ষেপ নিতে হবে। ফার্মেসিগুলোতেও নজরদারি বাড়াতে হবে। আর করোনাকালীন এ সময়ে যারা সাধারণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে তারা যতই শক্তিশালী হোক তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির রাজশাহীর যুগ্ম আহ্বায়ক ড. ফয়সাল চৌধুরী বলেন , বাজারে নকল ঔষুধের দৌরাত্ম আছে। এক্ষেত্রে গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীযুক্ত আছে। তারা অতিমুনাফার লোভে মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এসব ঔষুধ বিক্রি করছে। তবে তারা সচেষ্ট আছেন। নানা সীমাবদ্ধতাও আছে তাদের।তবে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি প্রশাসনের অভিযানগুলোতেও সহযোগিতা করে থাকেন তারা।

এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের নানা সীমাবন্ধতার চিত্রই তুলে ধরছে রাজশাহী ঔষুধ প্রশাসন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে ২০ টি অ্যালোপ্যাথিক ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আছে। নিবন্ধিত অ্যালোপ্যাথিক ও ভ্যাটেরিনারি ফার্মেসি রয়েছে ৩ হাজার ২৩৪ টি, হোমিওপ্যাথি র্ফামেসি ১১৬ টি, আয়ুর্বেদ ২২ টি ও ইউনানী ২২ টি। এসব ফার্মেসির লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নসহ পর্যবেক্ষণের দায়িত্বও তাদের। কিন্তু জেলা ঔষুধ প্রশাসনে ১ জন সহকারী পরিচালক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছে। এইসব স্যাম্পল নিজেরা টেস্ট করার পাশাপাশি ঢাকায় পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, ঔষুধের নকল রোধে ব্যবসায়ীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা তারা সচেতন না হলে এটা রোধ করা কঠিন হবে। দেখা যাচ্ছে তারা হয়তো কোনো জায়গায় অভিযানে যাচ্ছেন,একটি দোকানে ঢুকতেই পাশের দোকানগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। এতে অভিযানগুলোও তেমন কার্যকর হচ্ছে না। তারা ফার্মেসি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়সহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। জদি এই নকল ঔষুধ কারবার বন্ধ না হয় তাহলে মানব সমাজ ধংস হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।