রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের অভিযানে
১৩ গ্রাম হেরোইন ও ১০৫ গ্রাম গাঁজাসহ ১ মাদক সম্রাজ্ঞী কমেলা বেগম (৪৫)কে গ্রেফতার করে।
করোনাকালেও থেমে নেই মাদকের ব্যবসা। করোনার ভয়াবহতাকে ভর করে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী শহীদমিনার এলাকায় কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী কমেলা প্রকাশে চালিয়ে যাচ্ছিলেন তার মাদকের ব্যবসা।
শুক্রবার (১৯ জুন) রাত ৭টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকা থেকে তাকে গাঁজাসহ গ্রেফতার করে ডিবি ইন্সপেক্টর মতিউর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স।
গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীর নাম কমেলা বেগম (৪৫) সে নগরীর তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার মৃত্যু মালু শেখ এর মেয়ে। ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতি নিয়ত মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছে এই কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী কমেলা,হেরোইন ও গাঁজা ব্যবসাই তার একমাত্র পেশা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অধিক মাদক মামলার আসামী কমেলা,মাদকের ব্যবসা করে নগরীর বালিয়াপুকুর এলাকায় গড়ে তুলেছেন ৫ তলা ভবন ২৫ নং ওয়ার্ডেও জমি ক্রয় করেন, এবং গড়ে তুলে কালো টাকার পাহাড়। ওই এলাকায় ১৯৯৪ সাল থেকে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ২৬ বছর ধরে খুচরা ও পাইকারীভাবে মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসলেও তাকে ধরতে এতে দিন অক্ষম হয়ে ছিলেন পুলিশ।তার এ মাদক ব্যবসায় সহযোগিতায় আছেন আপন বোন আমেলা। এই আমেলার নামেও রয়েছে একাধিক মামলা। এছাড়া, রকি, চাঁমেলী ও সজীব কমেলার মাদক সম্রাজ্যের অন্যতম প্রতিনিধি। যারা দিনের পর দিন পুলিশের নাকের ডগায় মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসলেও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকেন তারা।
মাদকের ব্যবসার কারণে অতিষ্ঠ তালাইমারীর বাসিন্দারা জানান, মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য বলতে গিয়ে একাধিক বার স্থানীয়দের উপর মাদক সেবী সন্ত্রাসীদের দিয়ে হামলা মারধর-ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এতেও ক্ষিপ্ত হয় এলাকাবাসী। তবুও মেলেনি মাদকের প্রতিকার। কিন্তু কমেলা(ব্রেস্ট ক্যান্সার) রোগী বেশী দিন বাঁচবে না, এসব বলে বরাবরের মতন অজুহাত দেখিয়ে আর সেই সার্টিফিকেট কাজে লাগিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো কুখ্যাত মাদক সম্রাজ্ঞী কমেলা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নগরীতে এমন কেউ জানে না যে তালাইমারী এলাকা মাদকের আখড়া নয়। সকলের আমলে থাকার পরেও এমন মাদকের ব্যবসা হয় কিভাবে? প্রশ্ন এলাকাবাসীর! তাদের অভিযোগ কমেলার নিকট মাসোহারা নেওয়ার কারণেই সে দাম্ভিকতার সাথে ব্যবসা চালাচ্ছে। কোনো মাদক সেবী বা ব্যবসায়ী আসার খবর দিলে পুলিশ দেরীতে আসে। এতে মাদক সরিয়ে আরামে সরে পড়েন মাদক ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর গোয়েন্দা শাখা’র ডিবি (ডিসি) আরেফিন জুয়েল জানান, খদ্দেরের কাছে গাঁজা বিক্রির সময় মাদক কারবারী কমেলাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও রেকর্ড পত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী কমেলা খাতুনের বিরুদ্ধে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় ৫ টি মাদকসহ অন্যান্য আইনে মামলা রুজু আছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।