এলিট ফোর্স র্যাব প্রতিষ্ঠার পর হতে অদ্যবধি চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে আপোষহীন এবং নিরলস গ্রেফতার অভিযান চলমান রয়েছে। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের লক্ষ্যে চোরাচালানকারীদের গ্রেফতার এবং আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাবের ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত আছে।
গত ২৪/১২/২০২০ খ্রিঃ তারিখ ১৪.৫০ ঘটিকায়র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান থানাধীন ৫০ নং ওয়ার্ড গুলবার মুন্সি স্মরণী রোডস্থ এলাকায়কয়েকজন আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রের সদস্য বিপুল পরিমান সাপের বিষ নিয়ে চোরাচালানের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের আভিযানিক দল ১৫.২০ ঘটিকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালেচোরাচালান চক্রের সদস্য ১। মোঃ মাসুদ রানা(২৪) ২। মোঃ ছফির উদ্দিন শানু(৫০), ৩। মোঃ তমজিদুল ইসলাম @ মনির(৩৪), ৪। মোঃ আলমগীর হোসেন(২৬), ৫। ফিরোজা বেগম(৫৭), ৬। আসমা বেগম(৪২), কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সাপের বিষ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে তাদের সাথে থাকা ব্যাগের ভিতর তল্লাশি করে কাচের জারে রক্ষিত অবস্থায় ৮.৯৬ কেজি (জারসহ) সাপের বিষ পাওয়া যায়, যার আনুমানিক মূল্য ৭৫ কোটি টাকা।এছাড়াও তাদেরসাথে থাকাসাপের বিষ সংক্রান্ত সিডি এবং সাপের বিষের ম্যানুয়াল বই উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, একটি নিদিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে সাপের বিষ ব্যাপক চাহিদা থাকায় অধিক মুনাফার লোভে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত হতে সাপের বিষ সংগ্রহ করে চোরাচালান করেআসছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক সাপের বিষ চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য। এছাড়াও আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই-বাছাই করে ভবিষ্যতেও র্যাব-২ কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
৪। উদ্ধারকৃত মালামাল ঃ
ক। সাপের বিষ(মেইড ইন ফ্রান্স) -০৬ (ছয়) টি কাঁচের জার।
খ। পুস্তিকা – ০১ (এক) টি।
গ। ডিভিডি – ০১ (এক) টি।
ঘ। মোবাইল ফোন – ০৫ (পাঁচ) টি ।
ঙ। ব্যাগ – ০১ (এক) টি।