ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন “বাংলাদেশের হিট অফিসার কী করছেন? হিট নিয়ন্ত্রণে “ অগ্নিকাণ্ড ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদানের নগদ অর্থ সহায়তায়: আ জ ম নাসির “স্মার্ট সুদহারে বিপাকে ব্যবসায়ীরা ঢাকা মতিঝিলে ইসতেস্কার নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠিত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাস্তুচ্যুত মানুষের শহরে অভিবাসন ও জীনবমান নিয়ে মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত রাঙ্গুনিয়ায় আ: লীগ নেতার মৃত্যুতে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর শোক বরিশালে বৃষ্টি কামনায় নামাজ আদায়। রুপগঞ্জ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে এক দুর্ধর্ষ ডাকাত ওমর ফারুক গ্রেফতার বানারীপাড়ায় কিশোরী অপহরণ করে ধর্ষণ। বাকেরগঞ্জ থেকে ধর্ষক গ্রেফতার।

যে গ্রামের কোনো বাড়িতে দরজা নেই

ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম শনি শিঙ্গনাপুর। বসবাস করেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। মূলত আখ চাষিদের বাস এই গ্রামে। আর দীর্ঘদিন ধরেই অদ্ভুত এক কারণে খবরের শিরোনামে রয়েছে শনি শিঙ্গনাপুর।

এই গ্রামের বাড়িগুলোতে আসলে কোনো দরজা নেই। সবসময় খোলা থাকে বাড়ি। খোলা ঘরেই যেখানে সেখানে পড়ে থাকে টাকা–পয়সা, গয়নাগাটি। চুরি হয় না। চুরি করবে কে? চোরই যে নেই সেই গ্রামে। তাই থানাও নেই। শুধু কি বাড়ি! দোকান, বাজার, ব্যাংকের দরজাতেও তালা পড়ে না।

আর এর কারণও অদ্ভুত। গ্রামের মানুষ মনে করেন, এই গ্রামের রক্ষাকর্তা শনি দেবতা। তিনিই অলক্ষ্যে সবার ঘর, সম্পদ রক্ষা করেন। সকলেরই অগাধ বিশ্বাস শনিদেবের উপরে। আর সেই বিশ্বাসের জেরে দেশে একমাত্র এই গ্রামেই রয়েছে ইউকো ব্যাংকের শাখা, যার কোনও দরজায় তালা লাগানোর ব্যবস্থা নেই।

এমনকি এই গ্রামের মানুষেরা বলেন, পূর্বপুরুষেরা তাদের বলে গিয়েছেন দরজায় যেন পাল্লা না লাগানো হয়। সেই নির্দেশ এখনও তারা মেনে চলেন এবং এর জেরে কোনো বিপদও হয় না।

শোনা যায়, প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই রেওয়াজ চলছে মহারাষ্ট্রের এই গ্রামে। তবে নামে গ্রাম হলেও এখন রীতিমতো শহর এই শনি শিঙ্গনাপুর। এখানেই কেউ একজন শনি ঠাকুরের স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন— ‘কোনও বিপদের ভয় নেই এই গ্রামে। আমি তোমাদের রক্ষা করব।’ সেই বিশ্বাস থেকেই চলে আসছে দরজা না রাখার রেওয়াজ। প্রচলিত আছে আরো একটি কথা। বহু বছর আগে বন্যার সময়ে নদীর জল গ্রামে ঢুকে যায় আর সেই পানিতে ভেসে আসে একটি শনি দেবতার মূর্তি। এখনো গ্রামের মূল আরাধ্য সেই মূর্তি।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক নির্যাতনের প্রতিবাদে বিসিআরসি’র মানববন্ধন

যে গ্রামের কোনো বাড়িতে দরজা নেই

আপডেট টাইম ০১:৫৬:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :   ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম শনি শিঙ্গনাপুর। বসবাস করেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। মূলত আখ চাষিদের বাস এই গ্রামে। আর দীর্ঘদিন ধরেই অদ্ভুত এক কারণে খবরের শিরোনামে রয়েছে শনি শিঙ্গনাপুর।

এই গ্রামের বাড়িগুলোতে আসলে কোনো দরজা নেই। সবসময় খোলা থাকে বাড়ি। খোলা ঘরেই যেখানে সেখানে পড়ে থাকে টাকা–পয়সা, গয়নাগাটি। চুরি হয় না। চুরি করবে কে? চোরই যে নেই সেই গ্রামে। তাই থানাও নেই। শুধু কি বাড়ি! দোকান, বাজার, ব্যাংকের দরজাতেও তালা পড়ে না।

আর এর কারণও অদ্ভুত। গ্রামের মানুষ মনে করেন, এই গ্রামের রক্ষাকর্তা শনি দেবতা। তিনিই অলক্ষ্যে সবার ঘর, সম্পদ রক্ষা করেন। সকলেরই অগাধ বিশ্বাস শনিদেবের উপরে। আর সেই বিশ্বাসের জেরে দেশে একমাত্র এই গ্রামেই রয়েছে ইউকো ব্যাংকের শাখা, যার কোনও দরজায় তালা লাগানোর ব্যবস্থা নেই।

এমনকি এই গ্রামের মানুষেরা বলেন, পূর্বপুরুষেরা তাদের বলে গিয়েছেন দরজায় যেন পাল্লা না লাগানো হয়। সেই নির্দেশ এখনও তারা মেনে চলেন এবং এর জেরে কোনো বিপদও হয় না।

শোনা যায়, প্রায় ৩০০ বছর ধরে এই রেওয়াজ চলছে মহারাষ্ট্রের এই গ্রামে। তবে নামে গ্রাম হলেও এখন রীতিমতো শহর এই শনি শিঙ্গনাপুর। এখানেই কেউ একজন শনি ঠাকুরের স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন— ‘কোনও বিপদের ভয় নেই এই গ্রামে। আমি তোমাদের রক্ষা করব।’ সেই বিশ্বাস থেকেই চলে আসছে দরজা না রাখার রেওয়াজ। প্রচলিত আছে আরো একটি কথা। বহু বছর আগে বন্যার সময়ে নদীর জল গ্রামে ঢুকে যায় আর সেই পানিতে ভেসে আসে একটি শনি দেবতার মূর্তি। এখনো গ্রামের মূল আরাধ্য সেই মূর্তি।