ঢাকা ১০:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত রানীশংকৈল মডেল স্কুলের আলোচিত ধীরেন্দ্রনাথ সহ ৪ শিক্ষক বদলি । কুষ্টিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তার পুরুষাঙ্গ কর্তন মামলায় স্ত্রীর কারাদন্ড টাঙ্গাইলে বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা, যুক্ত হচ্ছে মাদক সেবনের সাথেও জবি ছাত্রী অবন্তিকার আত্মহত্যা: সহপাঠি ও প্রক্টরের ২জনের রিমান্ড মঞ্জুর। “পাঁচ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন” যুবলীগ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে.. দিদারুল ইসলাম চৌধুরী দুমকিতে ১২ ঘন্টার মধ্যে র‍্যাবের ফাঁদে পলায়নরত ধর্ষক আটক। সন্তানের চাকরি স্থায়ীকরন চেয়ে লক্ষ্মীপুরে পঙ্গু বাবার আকুতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোডে মই বিক্রেতার মূল হোতা গ্রেফতার

যে কারনে রমজান মাসকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

হাঃমাওঃমুফঃমুহাঃআল আমীন সাইফ
রোজার মাস উপলক্ষে আমাদের দেশে বহু প্রতিষ্ঠান ক্যালেন্ডার ছাপে। ক্যালেন্ডারে রমজানের তিন দশককে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথম দশক রহমত। দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত। আর তৃতীয় দশক নাজাত।

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। বিষয়টি আমাদের সবারই জানা। হজরত সালমান (ফার্সি) রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, রমজান এমন এক মাস, যার শুরুতে রহমত, মাঝে মাগফিরাত এবং শেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (ইবন খুজাইমা ১৮৮৭)

রমজান পুরোটাই তো রহমতের। প্রশ্ন জাগে তাহলে এভাবে ভাগ করার কী অর্থ থাকতে পারে?

তিরমিজির হাদিসে রয়েছে, ‘প্রতি রাতেই জাহান্নাম থেকে অসংখ্য মানুষকে মুক্ত করা হয় রমজানে।’ রহমত মাগফিরাত ও নাজাতে ভাগ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনেকেই বুঝতে পারেন না।

কোনো কোনো হাদিস বিশারদ এজন্য হাদিসের সনদ নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছেন। এ হাদিসের সনদে আলি ইবন যায়েদ নামে একজন বর্ণনাকারী আছেন।

তার ব্যাপারে অনেক মুহাদ্দিসের অভিমত হচ্ছে- তার স্মৃতি শক্তি ছিল দুর্বল; অনেক সময় তিনি বর্ণনা করতে গিয়ে ভুল করেছেন। কাজেই তার থেকে বর্ণিত হাদিস বোধগম্য না হলে গ্রহণ করা উচিত নয়।

একজন বর্ণনাকারীর স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে রাসুল সা.-এর একটি হাদিসকে অস্বীকার করার দুঃসাহস করা উচিত নয়। চলমান পৃথিবীর মানুষের জন্য এ হাদিস বোঝা দুস্কর কিছু নয়। পাঠক আপনি চিন্তা ভাবনা করলে আপনার কাছেও এর অর্থ আশা করা যায় স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আজকের মানুষ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের ভাগের ব্যাপারে সহজ একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে নিতে পারে। আসুন কিছুক্ষণ একটি হাদিসের মর্মার্থ বোঝার চেষ্টা করি।

সারা বিশ্বেই বর্তমানে অসংখ্য দিবস পালিত হয়। নারী দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস, শ্রমিক দিবস, ভাষা দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস আরও কত যে দিবস রয়েছে তার হিসেব করা সহজ কথা নয়।

বৎসরের এমন কোনো দিন নেই যে দিনে কোথাও না কোথাও কোনো দিবস পালিত হয় না। তো মা দিবসের অর্থ এ নয় যে, সে দিনই মায়ের খোঁজ খবর নিতে হবে। মূলত এসব দিবস করা হয় বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার উদ্দেশ্যে।

কোনো বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য প্রকাশ করা হয় এভাবে দিবস ঠিক করে। দিবস ছাড়া সপ্তাহও ঘোষণা করা হয়। যেমন পুলিশ সপ্তাহ বা আরও অনেক বিষয়েই সপ্তাহ পালন করার রীতি রয়েছে।

এসব হচ্ছে প্রতীকি অর্থে করা হয়। এর আক্ষরিক কোনো ব্যাখ্যা করা যায় না।

সভ্যতার উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে এধরনের নানান সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। একটি সমাজ ও সভ্যতার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এসব কালচারের বিশেষ গুরুত্ব থাকে।

অবাক হতে হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে আমাদের প্রিয় রাসুল সা. এই ধারাটি চালু করে গেছেন। সভ্য পৃথিবীকে শিখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য এভাবে দিবস নির্ধারণ করে সমাজে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে হয়।

এটি প্রিয় নবীজীর উদ্ভাবনী ক্ষমতার দৃষ্টান্ত যেমন পাশাপাশি ইসলামের সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতার অনন্য পরিচায়কও বটে।
প্রথম দশক রহমত। এই দশকে দশকে ভাগ করার বিষয়টি প্রতীকী অর্থে ধরে নিলে আর কোনো সমস্যা থাকে না।

এটাকে আলঙ্কারিকও বলতে পারেন। এর মাধ্যমে রমজানের প্রতিটি দশকের গুরুত্ব যেমন বোঝায়, রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের প্রয়োজনীয়তার প্রতিও স্পষ্ট দিক নির্দেশনা করে।

সাধারণত আমাদের রমজানের শুরুতে ইবাদত বন্দেগির প্রতি আগ্রহ থাকে প্রচুর। পরে ধীরে ধীরে এ আগ্রহে ভাটা পড়ে।
এ হাদিসের মাধ্যমে রাসুল সা. আমাদেরকে একটা ম্যাসেজ দিতে চেয়েছেন। আর তা হচ্ছে এই যে, রমজান পুরোটাই রহমত। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সিক্ত হয়ে হয়ে তোমাকে সব পাপ ক্ষমা করিয়ে নিতে হবে। তারপর চূড়ান্ত মুক্তি ও নাজাতের জন্য তোমাকে রমজানের শেষ পর্যন্ত সিয়াম সাধনা করে যেতে হবে।

রমজানের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে মুমিন মুসলিমদের। প্রতিদিন নাজাত দেয়া হলেও শেষ রোজায় মূলত সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষকে নাজাত দেওয়া হয়। তাই শেষ দশককে নাজাতের দশক বলা হয়েছে।

সব রোজাদারই পাপমুক্ত নির্মলতায় স্নিগ্ধ হয়ে ঈদ উদযাপন করে। রোজার শেষে ঈদ দেয়ার তাৎপর্যও এখান থেকে স্পষ্ট হয়।

আরাফার দিন জিলহজের নয় তারিখেও আল্লাহ অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। তাই এরপর দিন ঈদুল আজহা উদযাপন হয়।

একইভাবে রমজানের পর ঈদুল ফিতর মহা খুশি হয়ে হাজির হয় মুসলিমদের জীবনে। কারণ তারা সূচিতার সায়রে অবগাহন শেষে পূত পবিত্র হয়ে এসেছে।

প্রথম দশকে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দারা রহমতে সিক্ত হয়ে যায়। রমজানের শুরুতেই তারা পবিত্র মাসের পূর্ণ বরকত পেতে থাকে।

দ্বিতীয় দশকে যাদের ছোট খাটো পাপ আছে তারা নিজেদের সব পাপ মাফ করিয়ে নিতে পারে। ইসলামের অনুসারীদের ভেতর যাদের মন খুব কঠোর তাদের হৃদয় গলতে সময় লাগে।

কিন্তু আল্লাহ এমাসে কাউকেই বঞ্চিত করেন না। মাস শেষ হবার আগে আগে প্রতিটি মুমিনই নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে নেওয়ার মহা সুযোগ পায়।

সত্যি, কী সুন্দর নবীজীর একেকটি হাদিস! আর আমাদের মালিক পরওয়ার কত দয়াময়! তার পাপী তাপী বান্দাদেরকে কাছে টানার কী সুন্দর পথ তৈরি করে রেখেছেন।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে এ রমজানে নিজেদের সত্যিকার মুমিন মুসলিম হওয়ার তাওফিক দিন। আমীন।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়ার শিবগঞ্জে ট্রাকচাপায় দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র নিহত

যে কারনে রমজান মাসকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।

আপডেট টাইম ০৭:৪০:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

হাঃমাওঃমুফঃমুহাঃআল আমীন সাইফ
রোজার মাস উপলক্ষে আমাদের দেশে বহু প্রতিষ্ঠান ক্যালেন্ডার ছাপে। ক্যালেন্ডারে রমজানের তিন দশককে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। প্রথম দশক রহমত। দ্বিতীয় দশক মাগফিরাত। আর তৃতীয় দশক নাজাত।

রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস রমজান। বিষয়টি আমাদের সবারই জানা। হজরত সালমান (ফার্সি) রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, রমজান এমন এক মাস, যার শুরুতে রহমত, মাঝে মাগফিরাত এবং শেষে জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (ইবন খুজাইমা ১৮৮৭)

রমজান পুরোটাই তো রহমতের। প্রশ্ন জাগে তাহলে এভাবে ভাগ করার কী অর্থ থাকতে পারে?

তিরমিজির হাদিসে রয়েছে, ‘প্রতি রাতেই জাহান্নাম থেকে অসংখ্য মানুষকে মুক্ত করা হয় রমজানে।’ রহমত মাগফিরাত ও নাজাতে ভাগ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি অনেকেই বুঝতে পারেন না।

কোনো কোনো হাদিস বিশারদ এজন্য হাদিসের সনদ নিয়ে ঘাটাঘাটি করেছেন। এ হাদিসের সনদে আলি ইবন যায়েদ নামে একজন বর্ণনাকারী আছেন।

তার ব্যাপারে অনেক মুহাদ্দিসের অভিমত হচ্ছে- তার স্মৃতি শক্তি ছিল দুর্বল; অনেক সময় তিনি বর্ণনা করতে গিয়ে ভুল করেছেন। কাজেই তার থেকে বর্ণিত হাদিস বোধগম্য না হলে গ্রহণ করা উচিত নয়।

একজন বর্ণনাকারীর স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে রাসুল সা.-এর একটি হাদিসকে অস্বীকার করার দুঃসাহস করা উচিত নয়। চলমান পৃথিবীর মানুষের জন্য এ হাদিস বোঝা দুস্কর কিছু নয়। পাঠক আপনি চিন্তা ভাবনা করলে আপনার কাছেও এর অর্থ আশা করা যায় স্পষ্ট হয়ে যাবে।

আজকের মানুষ রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের ভাগের ব্যাপারে সহজ একটি ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে নিতে পারে। আসুন কিছুক্ষণ একটি হাদিসের মর্মার্থ বোঝার চেষ্টা করি।

সারা বিশ্বেই বর্তমানে অসংখ্য দিবস পালিত হয়। নারী দিবস, মা দিবস, বাবা দিবস, শ্রমিক দিবস, ভাষা দিবস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস আরও কত যে দিবস রয়েছে তার হিসেব করা সহজ কথা নয়।

বৎসরের এমন কোনো দিন নেই যে দিনে কোথাও না কোথাও কোনো দিবস পালিত হয় না। তো মা দিবসের অর্থ এ নয় যে, সে দিনই মায়ের খোঁজ খবর নিতে হবে। মূলত এসব দিবস করা হয় বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার উদ্দেশ্যে।

কোনো বিষয়ের গুরুত্ব ও তাৎপর্য প্রকাশ করা হয় এভাবে দিবস ঠিক করে। দিবস ছাড়া সপ্তাহও ঘোষণা করা হয়। যেমন পুলিশ সপ্তাহ বা আরও অনেক বিষয়েই সপ্তাহ পালন করার রীতি রয়েছে।

এসব হচ্ছে প্রতীকি অর্থে করা হয়। এর আক্ষরিক কোনো ব্যাখ্যা করা যায় না।

সভ্যতার উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে এধরনের নানান সংস্কৃতি গড়ে ওঠে। একটি সমাজ ও সভ্যতার এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এসব কালচারের বিশেষ গুরুত্ব থাকে।

অবাক হতে হয় আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে আমাদের প্রিয় রাসুল সা. এই ধারাটি চালু করে গেছেন। সভ্য পৃথিবীকে শিখিয়ে গিয়েছেন কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য এভাবে দিবস নির্ধারণ করে সমাজে তার প্রভাব প্রতিষ্ঠা করতে হয়।

এটি প্রিয় নবীজীর উদ্ভাবনী ক্ষমতার দৃষ্টান্ত যেমন পাশাপাশি ইসলামের সাংস্কৃতিক উৎকর্ষতার অনন্য পরিচায়কও বটে।
প্রথম দশক রহমত। এই দশকে দশকে ভাগ করার বিষয়টি প্রতীকী অর্থে ধরে নিলে আর কোনো সমস্যা থাকে না।

এটাকে আলঙ্কারিকও বলতে পারেন। এর মাধ্যমে রমজানের প্রতিটি দশকের গুরুত্ব যেমন বোঝায়, রহমত মাগফিরাত ও নাজাতের প্রয়োজনীয়তার প্রতিও স্পষ্ট দিক নির্দেশনা করে।

সাধারণত আমাদের রমজানের শুরুতে ইবাদত বন্দেগির প্রতি আগ্রহ থাকে প্রচুর। পরে ধীরে ধীরে এ আগ্রহে ভাটা পড়ে।
এ হাদিসের মাধ্যমে রাসুল সা. আমাদেরকে একটা ম্যাসেজ দিতে চেয়েছেন। আর তা হচ্ছে এই যে, রমজান পুরোটাই রহমত। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সিক্ত হয়ে হয়ে তোমাকে সব পাপ ক্ষমা করিয়ে নিতে হবে। তারপর চূড়ান্ত মুক্তি ও নাজাতের জন্য তোমাকে রমজানের শেষ পর্যন্ত সিয়াম সাধনা করে যেতে হবে।

রমজানের প্রতিটি মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে মুমিন মুসলিমদের। প্রতিদিন নাজাত দেয়া হলেও শেষ রোজায় মূলত সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষকে নাজাত দেওয়া হয়। তাই শেষ দশককে নাজাতের দশক বলা হয়েছে।

সব রোজাদারই পাপমুক্ত নির্মলতায় স্নিগ্ধ হয়ে ঈদ উদযাপন করে। রোজার শেষে ঈদ দেয়ার তাৎপর্যও এখান থেকে স্পষ্ট হয়।

আরাফার দিন জিলহজের নয় তারিখেও আল্লাহ অসংখ্য মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। তাই এরপর দিন ঈদুল আজহা উদযাপন হয়।

একইভাবে রমজানের পর ঈদুল ফিতর মহা খুশি হয়ে হাজির হয় মুসলিমদের জীবনে। কারণ তারা সূচিতার সায়রে অবগাহন শেষে পূত পবিত্র হয়ে এসেছে।

প্রথম দশকে আল্লাহর নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দারা রহমতে সিক্ত হয়ে যায়। রমজানের শুরুতেই তারা পবিত্র মাসের পূর্ণ বরকত পেতে থাকে।

দ্বিতীয় দশকে যাদের ছোট খাটো পাপ আছে তারা নিজেদের সব পাপ মাফ করিয়ে নিতে পারে। ইসলামের অনুসারীদের ভেতর যাদের মন খুব কঠোর তাদের হৃদয় গলতে সময় লাগে।

কিন্তু আল্লাহ এমাসে কাউকেই বঞ্চিত করেন না। মাস শেষ হবার আগে আগে প্রতিটি মুমিনই নিজেদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে নেওয়ার মহা সুযোগ পায়।

সত্যি, কী সুন্দর নবীজীর একেকটি হাদিস! আর আমাদের মালিক পরওয়ার কত দয়াময়! তার পাপী তাপী বান্দাদেরকে কাছে টানার কী সুন্দর পথ তৈরি করে রেখেছেন।

আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের সবাইকে এ রমজানে নিজেদের সত্যিকার মুমিন মুসলিম হওয়ার তাওফিক দিন। আমীন।